মৌসুমের শেষ লিগ ম্যাচ। প্রতিদ্বন্দ্বীর চেয়ে এক পয়েন্টে এগিয়ে থাকলেও নিশ্চিত নয় শিরোপা। শেষ ম্যাচটা যেকোনো মূল্যে জিততেই হবে। সামান্য একটা ভুল শেষ করে দিতে পারে সব স্বপ্ন। এমন পরিস্থিতিতে শুধু খেলাটাই যথেষ্ট নয়, প্রয়োজন অলৌকিক কোনো শক্তিরও। আর দলটির নাম যদি নাপোলি হয়, তবে তাদের অলৌকিক শক্তির নাম নিঃসন্দেহে ডিয়েগো ম্যারাডোনা।

ফুটবলের সব সমীকরণ একদিকে আর ম্যারাডোনা–নাপোলি জোড় অন্যদিকে। এমনকি নাপোলির তিনটি প্রতীকেরও একটি হচ্ছেন ম্যারাডোনা। অন্য দুটি হচ্ছে পিৎজা এবং ফুটবল। কিন্তু নেপলসের ফুটবলকে আবার ম্যারাডোনা ছাড়া কল্পনা করা যায় না। সে অর্থে নাপোলির প্রতীক আসলে দুটি পিৎজা এবং ম্যারাডোনা।

নাপোলির দেয়াল, বিলবোর্ড, বাড়িঘর কিংবা দোকানপাট—সবটাই যখন ম্যারাডোনাময়, তখন এমন স্বর্গীয় রাতে ম্যারাডোনা মাঠে থাকবেন না.

তা হয় নাকি? ছিলেন কালও, গ্যালারিতে এবং মাঠেও।  প্রশ্ন হচ্ছে, ২০২০ সালের নভেম্বরে যিনি অন্যলোকে পাড়ি জমিয়েছেন, তিনি কীভাবে কাল মাঠে ছিলেন?

আরও পড়ুনম্যারাডোনা, নাপোলি এবং এক অমর ভালোবাসার গল্প ৩০ অক্টোবর ২০২৪

উত্তরটা অবশ্য যাঁরা কাল মাঠে বসে বা টেলিভিশনের পর্দায় কিংবা অন্য কোনো উপায়ে খেলাটা দেখেছেন, তাঁরা ঠিকই বুঝতে পেরেছেন ম্যারাডোনার উপস্থিতি। অন্তত দুইবার তো বটেই। প্রথমবার ম্যারাডোনা ফিরেছিলেন স্কট ম্যাকটমিনের ওপর ভর করে, আর পরেরবার রোমেলু লুকাকুর মধ্য দিয়ে।

গতকাল রাতে ইতালিয়ান সিরি ‘আ’তে একই সময়ে মাঠে নেমেছিল শিরোপাপ্রত্যাশী দুই দল ইন্টার মিলান ও নাপোলি। ক্যালিয়ারির বিপক্ষে জিতলে কোনো হিসাব ছাড়া চ্যাম্পিয়ন নাপোলি, কিন্তু পয়েন্ট হারোনোর সুযোগ নেই। তেমনটা হলে নিজেদের ম্যাচে ইন্টার জিতলে ট্রফি উঠবে তাদের হাতেই।

ম্যারাডোনাকে যেভাবে স্মরণ করেছে নেপলসবাসী

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়ায় গুলিতে ৩ পুলিশ নিহত

যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যে গুলিতে অন্তত তিনজন পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও দুজন পুলিশ সদস্য।

অঙ্গরাজ্যটির পুলিশ কমিশনার ক্রিস্টোফার প্যারিস বুধবার সংবাদমাধ্যমকে হতাহতের এ তথ্য জানান।

ক্রিস্টোফার প্যারিসের বরাতে বিবিসি জানিয়েছে, স্থানীয় সময় বুধবার দুপুরের এ ঘটনায় সন্দেহভাজন বন্দুকধারীও পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন। আহত দুই পুলিশ সদস্যের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

পেনসিলভানিয়ার গভর্নর জশ শাপিরো ফিলাডেলফিয়া থেকে প্রায় ১৮৫ কিলোমিটার বা প্রায় ১১৫ মাইল পশ্চিমে নর্থ কোডোরাস টাউনশিপে ঘটনাস্থলে গেছেন।

কে বা কারা এ গুলিবর্ষণের পেছনে জড়িত, সে সম্পর্কে প্রাথমিকভাবে পুলিশ কোনো তথ্য দেয়নি।

অ্যাটর্নি জেনারেল পামেলা বন্ডি পুলিশের বিরুদ্ধে সহিংসতাকে ‘আমাদের সমাজের জন্য একটি অভিশাপ’ বলে অভিহিত করেছেন।

পামেলা বন্ডি আরও বলেন, স্থানীয় কর্মকর্তাদের সহায়তার জন্য ফেডারেল এজেন্টরা ঘটনাস্থলে গিয়েছেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ