টিসিবির ট্রাক দেখলেই হুড়োহুড়ি খালি হাতে ফেরেন অনেকে
Published: 25th, May 2025 GMT
ঈদুল আজহা উপলক্ষে সারাদেশের মতো কিশোরগঞ্জেও ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে পণ্য বিক্রি করছে টিসিবি। বাজারের চেয়ে কম দামে পণ্য বিক্রি করায় টিসিবির ট্রাক দেখলেই হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। চাহিদার তুলনায় বরাদ্দ কম থাকায় অধিকাংশ ক্রেতাকেই ফিরতে হচ্ছে খালি হাতে।
গত বৃহস্পতিবার থেকে দেশব্যাপী সাধারণ মানুষের জন্য ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে সয়াবিন তেল, ডাল ও চিনি বিক্রি শুরু করেছে টিসিবি। সাশ্রয়ী মূল্যে টিসিবির এসব পণ্য বিক্রির কার্যক্রম চলবে আগামী ৩ জুন পর্যন্ত। বিভাগীয় শহর ছাড়াও প্রতিটি জেলা শহরে পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে।
গতকাল রোববার দুপুরে কিশোরগঞ্জ শহরের শহীদি মসজিদের সামনে একটি ট্রাক থেকে পণ্য বিক্রি করা হচ্ছিল। খোলাবাজার থেকে অনেক কম দামে পণ্য বিক্রি হওয়ায় টিসিবির ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের পেছনে নারী-পুরুষের দীর্ঘ লাইন দেখা গেছে। ডিলার দেলোয়ার হোসেন জানান, তিনি ৪০০ জনের মাল বরাদ্দ পেয়েছেন। প্রত্যেককে দুই লিটার সয়াবিন তেল, দুই কেজি ডাল আর এক কেজি চিনি দিচ্ছেন। ৪০০ জনের পরে বাকিদের খালি হাতে ফেরত যেতে হবে।
খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, টিসিবির ট্রাক থেকে দুই লিটার তেল, দুই কেজি ডাল ও এক কেজি চিনির দাম ৫৩৫ টাকা। খোলাবাজার থেকে একই পরিমাণে এ তিনটি পণ্য কিনতে ক্রেতাদের ৭১৩ টাকা ব্যয় হবে। টিসিবির ট্রাক থেকে কিনলে ১৭৮ টাকা সাশ্রয় হচ্ছে। এ কারণে টিসিবির ট্রাক দেখলেই কাছাকাছি যেতে মানুষের মধ্যে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়।
মিঠামইন কলেজ এলাকার রেহেনা বেগম (৩৫) মামলার কাজে শহরে এসেছিলেন। ফেরার পথে টিসিবির ট্রাক দেখে তিনিও লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন পণ্য কেনার জন্য। শহরতলির সতাল এলাকার মামুন মিয়াসহ (৫০) বহু নারী-পুরুষকে প্রখর রোদে লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে দেখা গেছে। মামুন মিয়ার ভাষ্য, টিসিবির ট্রাকে বাজার থেকে বেশ কিছুটা কম দামে পণ্য পাওয়া যায়। এ কারণে ট্রাক থেকে পণ্য কিনতে মানুষ হুমড়ি খেয়ে পড়ে। শেষ পর্যন্ত অনেকেই খালি হাতে বাড়ি ফেরেন। তিনি আজ দুই ঘণ্টা ধরে লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন। শেষ পর্যন্ত পণ্য পাবেন কিনা, বুঝতে পারছেন না।
টিসিবির আরেক ডিলার মাসুদ রানা জুয়েল জানান, কিশোরগঞ্জ পৌর এলাকায় টিসিবির
৩৯ জন ডিলার রয়েছেন। ঈদের আগে প্রত্যেক ডিলার তিন দিন করে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে পণ্য বিক্রি করতে পারবেন।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
আফগানিস্তানে মধ্যরাতে শক্তিশালী ভূমিকম্পের আঘাত
আফগানিস্তানের উত্তরাঞ্চলীয় হিন্দুকুশ অঞ্চলে ৬ দশমিক ৩ মাত্রার একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। যুক্তরাষ্ট্র ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) এ তথ্য জানিয়েছে। দুই মাস আগেই দেশটিতে এক ভূমিকম্পে কয়েক হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছিল।
ইউএসজিএস জানায়, রোববার দিবাগত রাতে আফগানিস্তানের হিন্দুকুশ অঞ্চলে মাজার-ই-শরিফ শহরের কাছে খোলম এলাকায় ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। স্থানীয় সময় রাত ১২টা ৫৯ মিনিটে আঘাত হানা এই ভূমিকম্পের গভীরতা প্রথমে ১০ কিলোমিটার বলা হয়। পরে তা সংশোধন করে গভীরতা ২৮ কিলোমিটার বলে জানায় সংস্থাটি।
আফগানিস্তানের জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা জানিয়েছে, হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য পরে জানানো হবে।
উল্লেখ্য, গত ৩১ আগস্ট আফগানিস্তানের সাম্প্রতিক ইতিহাসে সবচেয়ে প্রাণঘাতী ভূমিকম্পটি আঘাত হেনেছিল। দেশটির পূর্বাঞ্চলে আঘাত হানা রিখটার স্কেলে ৬ মাত্রার ওই ভূমিকম্পে ২ হাজার ২০০ জনেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারান।
আরও পড়ুনআফগানিস্তানে ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ২২০৫, খোলা আকাশের নিচে মানুষ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫আফগানিস্তানে প্রায়শই ভূমিকম্প আঘাত হানে। বিশেষ করে হিন্দুকুশ পর্বতমালা বরাবর, যেখানে ইউরেশীয় এবং ভারতীয় টেকটোনিক প্লেটগুলো মিলিত হয়েছে।
ব্রিটিশ ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থার ভূমিকম্পবিদ ব্রায়ান ব্যাপটির দেওয়া তথ্য মতে, ১৯০০ সাল থেকে উত্তর-পূর্ব আফগানিস্তানে রিখটার স্কেলে ৭ মাত্রার বেশি ১২টি ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে।
আরও পড়ুন৩৫ বছরে আফগানিস্তানে ভয়াবহ যত ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫