কাভারাডোনা!

৩৩ বছর পর নাপোলিকে সিরি ‘আ’ জেতানোর পথে ডিয়েগো ম্যারাডোনাকে মনে করিয়ে দিয়েই তকমাটা পেয়েছিলেন খিচা কাভারাস্কেইয়া। জর্জিয়ান উইঙ্গার এখন আর নাপোলিতে খেলেন না। কাভারাডোনা এখন প্যারিসে, খেলেন ফ্রেঞ্চ লিগ আঁ চ্যাম্পিয়ন পিএসজিতে। প্রথম মৌসুমেই পিএসজির হয়ে এরই মধ্যে ‘ডাবল’ জিতে গেছেন কাভারাস্কেইয়া। লিগ ‘আঁ’ জয়ের পর শনিবার রাতে কুপ দে ফ্রান্সও জিতেছে তাঁর দল। এরপর চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে ইন্টার মিলানকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হলে ‘ট্রেবল’ও জিতে যাবেন কাভারাস্কেইয়া।

‘ট্রেবল কোথায়, আমি তো কোয়াড্রপল জিতব’—কাভারাস্কেইয়া প্রতিবাদ করে বলতেই পারেন! সেই প্রতিবাদের জবাবে পাল্টা যুক্তি দেওয়ার কিন্তু উপায় নেই। ২৪ বছর বয়সী তারকা তো এরই মধ্যে এই মৌসুমে তিনটি শিরোপা জিতেই গেছেন।    

কীভাবে?

শুক্রবার রাতে কালিয়ারিকে ২-০ গোলে হারিয়ে তাঁর সাবেক ক্লাব নাপোলি আবারও সিরি ‘আঁ’ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। আর তাতেই তো মৌসুমে দ্বিতীয়বার চ্যাম্পিয়নের পদক পেয়ে গেছেন কাভারাস্কেইয়া। মৌসুমে শুরুটা তো তিনি নাপোলিতেও করেছিলেন।

মৌসুমের শুরুতে নাপোলির হয়ে ১৭টি লিগ ম্যাচ খেলেছেন খিচা কাভারাস্কেইয়া.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

‘ফিরিয়ে দাও’ থেকে ‘ধূসর সময়’: সিডনিতে একই মঞ্চে মাইলস ও আর্টসেল

সিডনির বসন্তের সন্ধ্যা। লিভারপুলের হুইটল্যাম লেজার সেন্টারের বাইরে তখন লম্বা লাইন—হাতে পতাকা, কাঁধে ব্যাগ, চোখে প্রত্যাশা। সাউন্ডচেকের শব্দ ভেসে আসছে বাইরে। ভেতরে যেন উন্মুখ এক ‘সাগর’, যেখানে মিশে আছে দুই প্রজন্মের মুখ, কণ্ঠ আর স্মৃতি। শনিবার রাতটি হয়ে উঠেছিল প্রবাসী বাঙালিদের জন্য এক ব্যতিক্রমী উৎসব—বাংলাদেশের ব্যান্ড সংগীতের দুই যুগের দুই প্রতীক, মাইলস ও আর্টসেল; প্রথমবারের মতো একই মঞ্চে গান করল সিডনিতে।
‘গ্রিনফিল্ড এন্টারটেইনমেন্ট’ আয়োজিত এই ‘মিউজিক ফেস্ট’ ঘিরে প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে যে উচ্ছ্বাস তৈরি হয়েছিল, তা যেন উপচে পড়ল সেই রাতে। টিকিট বিক্রি শুরু হওয়ার পরপরই সব শেষ। অনুষ্ঠান শুরুর ঘণ্টাখানেক আগে থেকেই সিডনির দক্ষিণ-পশ্চিম উপশহর লিভারপুলের রাস্তাগুলো ভরে গেল গানের ভক্তে।

আয়োজনের আগে ভিডিও বার্তায় মাইলস জানায় তাদের উচ্ছ্বাস। ব্যান্ডের অন্যতম সদস্য হামিন আহমেদ বলেন, ‘সিডনি বরাবরই আমাদের কাছে বিশেষ কিছু। সম্ভবত ১৯৯৬ সালে আমরাই প্রথম বাংলাদেশি ব্যান্ড হিসেবে অস্ট্রেলিয়ায় পারফর্ম করি। এরপর এ নিয়ে অন্তত পঞ্চমবারের মতো সিডনিতে এলাম। এখানকার দর্শকদের ভালোবাসা সব সময়ই অবিশ্বাস্য।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা জানতাম এটি স্মরণীয় একটি আয়োজন হতে যাচ্ছে। আমরা চেয়েছি সবাই একসঙ্গে গাইবে, চিৎকার করবে—ভক্তরা সেটাই করেছেন।’ গিটারিস্ট তুজো যোগ করেন, ‘অস্ট্রেলিয়ার পাঁচটি শহরে ট্যুর করছি, কিন্তু সিডনির আবহ একেবারেই আলাদা। দর্শকেরা আমাদের রাতটিকে স্মরণীয় করে দিয়েছেন।’

মঞ্চে আর্টসেল

সম্পর্কিত নিবন্ধ