মানুষকে সহযোগিতা করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি : আহমাদুল্লাহ
Published: 26th, May 2025 GMT
আস সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেছেন, ‘‘জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে আমরা মানুষ হিসেবে মানুষকে সহযোগিতা করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। মানুষের মধ্যে সেই মানুষটিই উত্তম যিনি মানুষ ও মানবতার কাজ করেন। মানবতার জন্য ভালো কাজ করে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করাই আমাদের মূল উদ্দেশ্য।’’
সোমবার (২৬ মে) সকালে ঝিনাইগাতী উপজেলা অডিটোরিয়ামে উপকারভোগীদের মাঝে ঘরের প্রতীকী চাবি হস্তান্তরের সময় তিনি এ কথাগুলো বলেন।
শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেন, ‘‘সেই ধারাবাহিকতায় আজকে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ১৬০টি পরিবারকে ঘর দেওয়া হলো। যারা এই মহান কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন, আল্লাহ সবাইকে উত্তম প্রতিদান দিবেন।’’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো.
ঘর পেয়ে ঝিনাইগাতী উপজেলার বাসিন্দা দীপঙ্কর হাজং বলেন, ‘‘বন্যায় সব হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছিলাম। সৃষ্টিকর্তার অশেষ কৃপায় আপনাদের সহযোগিতায় এ ঘর পেয়ে আমার এবং আমার পরিবারের সদস্যদের মাথা গোঁজার ঠাঁই ফিরে পেয়েছি। এখন আমরা খুব খুশি।’’
‘আস সুন্নাহ ফাউন্ডেশন’ এর মানবসেবা বিভাগের প্রকল্প নির্বাহী জোবায়ের ইবনে কামাল জানান, গত বছরের ৪ অক্টোবরের স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় শেরপুর জেলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। বন্যা পরবর্তী ‘আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের’ উদ্যোগে তিন হাজার পরিবারকে ত্রাণ সহায়তা, আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত ১৯৯টি পরিবারের মাঝে নগদ ৪০ হাজার টাকা করে মোট ৭৯ লাখ ৬০ হাজার টাকা প্রদান এবং যাদের ঘর একেবারেই নিশ্চিহ্ন হয়েছিল এ রকম ১৬০টি পরিবার মাঝে একটি করে সেমি পাকা ঘর নির্মাণ করে দেওয়া হচ্ছে।
তিনি জানান, এর মধ্যে ঝিনাইগাতীতে ১০৫টি, নালিতাবাড়ীতে ৪৯টি, নকলায় ২টি এবং শেরপুর সদর উপজেলায় ৪টি ঘর রয়েছে।
‘আস সুন্নাহ ফাউন্ডেশন’ কর্মকর্তা ও স্বেচ্ছাসেবীদের তত্ত্বাবধানে ঘরগুলোর নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করেন ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ঢাকা ভার্টেক্স ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড ও শামীম ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড।
ঢাকা/তারিকুল/বকুল
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর পর ব র উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
চট্টগ্রাম–কক্সবাজার রুটে দুই ট্রেনের সময় বদলে যাচ্ছে
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে চলা সৈকত এক্সপ্রেস ও প্রবাল এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচি পরীক্ষামূলকভাবে নতুন করে নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। নতুন সময়সূচি আগামী ১০ আগস্ট থেকে কার্যকর হবে।
রেলওয়ে সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারগামী সৈকত এক্সপ্রেস (৮২১ নম্বর ট্রেন) ট্রেনটি এখন সকাল সোয়া ৬টায় চট্টগ্রাম স্টেশন ছেড়ে যায়। নতুন সূচি অনুযায়ী, পরীক্ষামূলকভাবে এ ট্রেন চলাচল করবে ভোর ৫টা ৫০ মিনিটে।
আর কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রামগামী প্রবাল এক্সপ্রেস (৮২২ নম্বর ট্রেন) ট্রেনটি কক্সবাজার স্টেশন ছাড়বে সকাল ১০টায়। এখন এ ট্রেন ছাড়ে ১০টা ২০ মিনিটে। গত মঙ্গলবার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেলওয়ে।
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে চলাচলরত সৈকত এক্সপ্রেস ও প্রবাল এক্সপ্রেসের সময়সূচি পরীক্ষামূলকভাবে পরিবর্তনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের উপপ্রধান পরিচালন কর্মকর্তা তারেক মুহাম্মদ ইমরান।
রেলওয়ের সহকারী প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবু বক্কর সিদ্দিকীকের সই করা এক চিঠিতে বলা হয়েছে, যাত্রীদের চাহিদা ও সময়ানুবর্তিতা রক্ষায় সুষ্ঠুভাবে ট্রেন পরিচালনার জন্য কক্সবাজারগামী সৈকত এক্সপ্রেস এবং চট্টগ্রামমুখী প্রবাল এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচি পরিবর্তন করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার রুটে এখন দুই জোড়া আন্তনগর ট্রেন চলাচল করে। ঢাকা থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত চলাচল করে আরও দুই জোড়া আন্তনগর ট্রেন।
কক্সবাজার রেললাইনে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছিল ২০২৩ সালের ১ ডিসেম্বর। প্রথমে ঢাকা থেকে কক্সবাজার এক্সপ্রেস নামে আন্তনগর বিরতিহীন ট্রেন দেওয়া হয়। এরপর গত বছরের জানুয়ারিতে চলাচল শুরু করে পর্যটক এক্সপ্রেস। এটাও দেওয়া হয় ঢাকা থেকে। চট্টগ্রাম থেকে ট্রেন না দেওয়ায় স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দেয়।
গত বছরের ৮ এপ্রিল চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত এক জোড়া বিশেষ ট্রেন চালু করা হয়। দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে ওঠে এই ট্রেন। এরপর ইঞ্জিন ও কোচের সংকটের কথা বলে গত বছরের ৩০ মে তা বন্ধ করে দেওয়া হয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের চাপে সেই অবস্থান থেকে সরে আসে রেলওয়ে। গত বছরের ১২ জুন থেকে আবার চালু হয় ট্রেন। আর নিয়মিত ট্রেন চলাচল শুরু হয় চলতি বছরের ১ ফেব্রুয়ারি থেকে।
সৈকত এক্সপ্রেস ট্রেনটি যাত্রী ওঠানামার জন্য ষোলশহর, জানালী হাট, পটিয়া, দোহাজারী, সাতকানিয়া, চকরিয়া, ডুলাহাজরা ও রামু স্টেশনে থামবে।
আর প্রবাল এক্সপ্রেস যাত্রাপথে থামবে ষোলশহর, গোমদণ্ডী, পটিয়া, দোহাজারী, সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, চকরিয়া, ডুলহাজারা, ইসলামাবাদ ও রামু স্টেশনে।