হালদায় ডিম ছেড়েছে মা মাছ, বৃষ্টিতে ডিম সংগ্রহের উৎসব
Published: 30th, May 2025 GMT
অবশেষে হালদা নদীতে ডিম ছেড়েছে কার্প জাতীয় মা মাছ। বজ্রপাত ও বৃষ্টির মধ্যে হালদা নদীর পাড়ে ডিম সংগ্রহকারীদের উৎসব শুরু হয়েছে। শুক্রবার সকাল ১০টা পর্যন্ত হালদা পাড়ে ডিম সংগ্রহকারীদের ডিম নিয়ে ছোটাছুটি করতে দেখা যায়।
হালদা গবেষক ড. মো. শফিকুল ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার রাত ২টা থেকে জোয়ারের সময় হালদা নদীর আমতুয়া অংশে পুরোদমে ডিম ছেড়েছে মা মাছ। পরে ডিম হালদা নদীর বিভিন্ন অংশে ছড়িয়ে পড়ে। শ্বেত ‘স্বর্ণের’ ডিম সংগ্রহ করতে পেরে ডিম সংগ্রহকারীদের মুখে হাসি ফুটেছে।
নয়াহাটকুম এলাকার শহীদুল্লাহ ও কাটাখালী স্লুইসগেট এলাকার হাসান জানান, বৃহস্পতিবার রাত ২টা থেকে শুক্রবার সকাল ১০টা পর্যন্ত হালদা নদীতে জোয়ারের সময় পুরোদমে ডিম ছেড়েছে মা মাছ। বৃষ্টি উপেক্ষা করে ডিম সংগ্রহ করতে পেরে কষ্ট সার্থক হয়েছে। বজ্রপাত ও বৃষ্টি হলে সবাই ঘরে ফিরে আসে। আর এ সময়ে হালদা নদীর ডিম সংগ্রহ করতে আমাদের আনন্দ লাগে।
হাটহাজারী উপজেলা মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার রাত ২টা থেকে জোয়ারের সময় হালদা নদীর বিভিন্ন অংশে পুরোদমে ডিম ছেড়েছে মা মাছ।
হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবিএম মশিউজ্জামান বলেন, টানা বৃষ্টি হওয়ায় হালদা পাড় ডিম সংগ্রহকারীদের উৎসবে পরিণত হয়েছে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ড ম স গ রহক র দ র ড ম স গ রহ
এছাড়াও পড়ুন:
পূজাকে ঘিরে আইনশৃঙ্খলায় বাহিনী তৎপর : ডিসি
নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, আইনসৃঙ্খলা স্বাভাবিক রয়েছে, বিশেষ করে হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজাকে ঘিরে সকল ধর্মমত, সকল সম্প্রদায় তারা একত্রিত হয়েছে।
সকলেই সার্বিক সহয়তা করছে যাতে করে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পূজা উৎসব সুন্দর ভাবে পজলন করতে পারে। পূজাকে ঘিরে একটি গোষ্ঠি চাইবে পূজা উৎসব নষ্ট করে দেয়ার জন্য।
সে জন্য আমাদের তৎপরতা রয়েছে। আমাদের গোয়েন্দা সংস্থা কাজ করছে। তার পাশাপাশি র্যাব, বিজিবি, সেনাবাহিনী ও বাংলাদেশ পুলিশবাহিহনী সবাই কাজ করছে যাতে করে সুন্দর ভাবে পূজা উৎসব শেষ করতে পারি।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে ৫নং ঘাটে দূর্গা পূজার প্রতিমা বিসর্জনের স্থান পরিদর্শনকালে তিনি এ নির্দেশনা দেন।
দূর্গা পূজা বিজয়া দশমী শেষে প্রতিমা বিসর্জনের সময় যেকোনো অপ্রীতিকর দূর্ঘটনা এড়াতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। সুন্দর ভাবে প্রতিমা বিসর্জনের স্থান নিরাপদ রাখতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন জেলা প্রশাসক।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, নারায়ণগঞ্জের ২২৩টি পূজা মণ্ডপে সুষ্ঠুভাবে পূজা উদযাপনে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। শান্তি ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে এবং সম্প্রীতি বজায় রেখে বর্তমানে পূজা উদযাপনের প্রস্তুতি চলছে।
এসময় তিনি প্রতিটি মণ্ডপে সুষ্ঠুভাবে ও নির্বিঘ্নে পূজা অনুষ্ঠান সম্পন্ন করতে প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সংশ্লিষ্ট সবাইকে যথাযথ সহযোগিতার নির্দেশনা দেন।
তিনি বলেন, সকলে মিলে সব উৎসব উদযাপন করাই বাংলার ঐতিহ্য ও গৌরব।
এসময় জেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী, পুলিশ, বিআইডব্লিউটিএ, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।