চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালের আগে যা আপনার জানা দরকার
Published: 31st, May 2025 GMT
ইউরোপিয়ান ক্লাব ফুটবলের সবচেয়ে বড় ম্যাচটি মাঠে গড়াবে আজ রাতে। চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালের এই ম্যাচে মুখোমুখি হবে ইন্টার মিলান ও পিএসজি। ম্যাচ শুরুর আগে জেনে নেওয়া যাক ফাইনাল কোথায়, কখন আর কী কী আয়োজন থাকছে সেই দ্বৈরথকে ঘিরে…কবে, কোথায়, কখন
আজ বাংলাদেশ সময় দিবাগত রাত ১টায় জার্মানির মিউনিখ শহরের আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় ইউরোপ শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে মুখোমুখি হবে ইতালিয়ান ক্লাব ইন্টার মিলান ও ফরাসি ক্লাব পিএসজি।
ফাইনালে দুই দলের ইতিহাসদুই লেগের মহাকাব্যিক এক সেমিফাইনাল শেষে বার্সেলোনাকে ৭-৬ গোলে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছে ইন্টার। সিরি ‘আ’ ক্লাবটি এ নিয়ে সপ্তমবার উঠল ইউরোপীয় শ্রেষ্ঠত্বের প্রতিযোগিতার ফাইনালে। প্রথম ছয়বার ফাইনালে উঠে তিনবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে দলটি। ইতালিয়ান শহর মিলানের এই ক্লাবটি সর্বশেষ ট্রফি জিতেছিল ২০০৯-১০ মৌসুমে।
অন্যদিকে পিএসজি ফাইনালে উঠেছে ফেবারিট আর্সেনালকে দুই লেগ মিলিয়ে ৩-১ গোলে হারিয়ে। এ নিয়ে দ্বিতীয়বার চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনাল খেলতে যাচ্ছে প্যারিসের দলটি। ২০২০ সালে প্রথমবার ফাইনালে উঠে জার্মানির বায়ার্ন মিউনিখের কাছে ১-০ গোলে হেরে রানার্সআপ হয় পিএসজি।
ফাইনালের ভেন্যুর যত কথাজার্মান পরাশক্তি বায়ার্ন মিউনিখের হোম ভেন্যু আলিয়াঞ্জ অ্যারেনা দ্বিতীয়বার আয়োজন করতে যাচ্ছে চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনাল। ২০১২ সালে এই মাঠে হওয়া প্রথম ফাইনালে বায়ার্নকে টাইব্রেকারে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় ইংলিশ ক্লাব চেলসি।
মিউনিখে অবশ্য আরও দুবার চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনাল হয়েছে।
১৯৯৩ ও ১৯৯৭ সালে সেই দুই ফাইনালের ভেন্যু ছিল অলিম্পিক স্টেডিয়াম। বায়ার্নের সাবেক ‘হোমে’ ১৯৯৩ সালে ইতালির এসি মিলানকে ১-০ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় ফ্রান্সের মার্শেই। ১৯৯৭ সালে ইতালির জুভেন্টাসকে ৩-১ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় জার্মান ক্লাব বরুসিয়া ডর্টমুন্ড।
কোথায়, কীভাবে দেখবেনবাংলাদেশ থেকে খেলা দেখা যাবে সনি স্পোর্টস টেন ১ চ্যানেলে। এ ছাড়া সাবস্ক্রাইব করে সনি লাইভ অ্যাপ বা ওয়েবসাইটেও দেখা যাবে ফাইনাল। তবে স্পোর্টসজেডএক্স অ্যাপ ডাউনলোড করেও দেখা যাবে ফাইনাল ম্যাচটি।
চ্যাম্পিয়ন দল কী পাবে৭৩.
চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনাল পরিচালনার গুরুদায়িত্ব থাকবে রোমানিয়ার ৪০ বছর বয়সী রেফারি ইস্তভান কোভাচের কাঁধে।
ফাইনালে ফুটবল ছাড়া আর কী থাকছে‘ইন দ্য এন্ড’খ্যাত জনপ্রিয় রক ব্যান্ড লিনকিন পার্ক ফাইনালের আগে মঞ্চ মাতাবে। কিক অব শোর দায়িত্বে আছে পেপসি।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: চ য ম প য়নস ল গ র ফ ইন ল ফ ইন ল র ম উন খ প এসজ
এছাড়াও পড়ুন:
সালমান শাহকে কেউ কখনো ভালোবেসেছিল কি না আমার সন্দেহ আছে: প্রসূন আজাদ
ঢাকায় সিনেমার জনপ্রিয় নায়ক সালমান শাহ। ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর মারা যান এই অভিনেতা। তার রহস্যজনক মৃত্যুকে আত্মহত্যা বলে দাবি করেন অভিনেতার স্ত্রী সামিরা হক। সালমান শাহর মৃত্যুর প্রায় তিন দশক পর আদালতের নির্দেশে তার অপমৃত্যুর মামলা, হত্যা মামলা হিসেবে গ্রহণ করেছে পুলিশ। এ মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে সামিরা হককে।
সালমান শাহর ক্যারিয়ারের বৃহস্পতি যখন তুঙ্গে তখন অনন্তের পথে তার যাত্রা। তার মৃত্যু কেউই মেনে নিতে পারেননি, এমনকি এখনো না। তার মৃত্যু নিয়ে তৈরি হয়েছে রহস্য। তদন্ত ও বিচার কাজ সঠিকভাবে সম্পূর্ণ হলেই এই রহস্যের জাল ভেদ করে সত্য বেরিয়ে আসবে বলে আশা সালমান শাহর ভক্ত-অনুরাগীদের।
আরো পড়ুন:
আমার বাচ্চার দাদা-দাদিও কী এক্স হয়ে গিয়েছেন, প্রশ্ন পরীমণির
সালমানকে ভাই ছাড়া অন্য চোখে দেখিনি: শাবনূর
এদিকে, ছোট ও বড় পর্দার আলোচিত অভিনেত্রী প্রসূন আজাদ তার ফেসবুকে সালমান শাহকে নিয়ে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। সন্দেহ প্রকাশ করে এই অভিনেত্রী বলেন—“সত্যিকার অর্থে সালমান শাহকে কেউ কখনো ভালোবেসেছিল কি না আমার সন্দেহ আছে।”
প্রসূন আজাদ বলেন, “আমার ধারনা সালমান প্রচণ্ড ডিপ্রেশনে ভুগছিলেন। সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমে সুস্থ হওয়া সম্ভব ছিল। কিন্তু সত্যিকার অর্থে তাকে কেউ কখনো ভালোবেসেছিল কি না আমার সন্দেহ আছে।”
কারণ ব্যাখ্যা করে প্রসূন আজাদ বলেন, “স্টারদের স্টারডম সবাই ভালোবাসে। তার একাকিত্ব তাতে কমে না। তার মা কিংবা বউ কেউ আদৌ নিঃস্বার্থভাবে তার পাশে দাঁড়াতে চেয়েছিল কি না সন্দেহ। সফলতার চরমতম স্বাদ পাওয়ার পর তারা সব ছেড়ে চলে যায়, যারা অভিমানী।”
১৯৮৫ সালে ‘আকাশ ছোঁয়া’ নাটক দিয়ে অভিনয়ের যাত্রা শুরু করেন সালমান শাহ। এটি বিটিভিতে প্রচার হয়। ১৯৯৩ সালে পরিচালক সোহানুর রহমান সোহানের হাত ধরে চলচ্চিত্রে অভিষেক ঘটে সালমান শাহর। অভিষেক চলচ্চিত্রে নায়িকা হিসেবে পান মৌসুমীকে।
চার বছরের চলচ্চিত্র ক্যারিয়ারে ২৭টি সিনেমায় অভিনয় করেন সালমান শাহ। এর মধ্যে ১৪টি সিনেমায় শাবনূরের সঙ্গে জুটি বেঁধে অভিনয় করেন তিনি। ‘তুমি আমার’ সিনেমায় প্রথম জুটি বাঁধেন তারা। ১৯৯৪ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত এ সিনেমা পরিচালনা করেন জহিরুল হক।
সালমান শাহ অভিনীত সিনেমাগুলো হলো—‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ (১৯৯৩), ‘তুমি আমার’, ‘অন্তরে অন্তরে’, ‘সুজন সখী’, ‘বিক্ষোভ’, ‘স্নেহ’, ‘প্রেম যুদ্ধ’ (১৯৯৪), ‘কন্যাদান’, ‘দেনমোহর’, ‘স্বপ্নের ঠিকানা’, ‘আঞ্জুমান’, ‘মহামিলন’, ‘আশা ভালোবাসা’ (১৯৯৫), ‘বিচার হবে’, ‘এই ঘর এই সংসার’, ‘প্রিয়জন’, ‘তোমাকে চাই’, ‘স্বপ্নের পৃথিবী’, ‘সত্যের মৃত্যু নেই’, ‘জীবন সংসার’, ‘মায়ের অধিকার’, ‘চাওয়া থেকে পাওয়া’ (১৯৯৬), ‘প্রেমপিয়াসী’, ‘স্বপ্নের নায়ক’, ‘শুধু তুমি’, ‘আনন্দ অশ্রু’ ও ‘বুকের ভেতর আগুন’ (১৯৯৭)।
ঢাকা/শান্ত