ড. ইউনূসকে আস্থায় রেখে বিভেদ দূর করতে হবে
Published: 31st, May 2025 GMT
সমালোচনা থাকলেও প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে আস্থার জায়গা থেকে এত তাড়াতাড়ি সরিয়ে দেওয়া ঠিক হবে না। বিভেদের পথে না গিয়ে আস্থা রেখেই একসঙ্গে বসে সমস্যাগুলোর সমাধান করতে হবে। শনিবার রাজধানীর ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্সে ‘গণতন্ত্র, নির্বাচন ও সংস্কার : আশু করণীয়’ শীর্ষক সেমিনারে এ অভিমত দেন বিশিষ্টজন।
পলিসি ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড রিসার্চ সোসাইটি (পিএমআরএস) এই সেমিনার আয়োজন করে। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করে সংগঠনের চেয়ারম্যান ইসমাইল জবিউল্লাহ বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের জরুরি কাজ হলো নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার মাধ্যমে রাজনৈতিক দলসহ স্টেকহোল্ডারদের নিয়ে উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করা। গত ১০ মাসে এ বিষয়ে তেমন উন্নতি হয়নি। সরকারের উচিত দ্রুত নির্বাচনের রোডম্যাপ দেওয়া।
নির্বাচনের রোডম্যাপ প্রকাশ হলে অস্থিরতা অনেক কমে যাবে বলে মন্তব্য করেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক এস এম এ ফায়েজ। তিনি বলেন, ‘ড.
রাজনৈতিক বিশ্লেষক অধ্যাপক মাহবুব উল্লাহ বলেন, ‘দেশ এখন ভয়াবহ সংকটে রয়েছে। সম্প্রতি দুই শীর্ষ সন্ত্রাসী ধরা পড়েছে। তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, পার্শ্ববর্তী দেশের গোয়েন্দা সংস্থা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের হত্যা করে পারস্পরিক অবিশ্বাস সৃষ্টির মাধ্যমে গৃহযুদ্ধ বাধাতে চাচ্ছে। নিঃসন্দেহে গণতন্ত্র আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তবে এর চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ দেশের সার্বভৌমত্ব।’
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) উপাচার্য অধ্যাপক কামরুল আহসান বলেন, ‘সবাইকে অন্তর্ভুক্ত করে এগিয়ে যাওয়ার বিষয়টি বিএনপি ধারণ করে। নির্বাচন কবে তা নিয়ে তর্ক করব না। তবে নির্বাচনের বাইরে অন্য কোনো বিষয় নেই, এটাই মূল কথা। এটিই উত্তরণের উপায়।’
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের উপদেষ্টা ড. মাহদী আমিন বলেন, ‘সরকার গত ১০ মাসে দেশকে এমন অবস্থায় নিয়ে এসেছে, যেখানে নির্বাচন ও সংস্কারকে মুখোমুখি করা হয়েছে।’
পিএমআরএসের ভাইস চেয়ারম্যান বিজন কান্তি সরকারের সভাপতিত্বে সেমিনারে বক্তৃতা করেন জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক এম এ আজিজ, পিএমআরএসের ভাইস চেয়ারম্যান এ বি এম আব্দুস সাত্তার প্রমুখ।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ড ইউন স ইউন স সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
দ্রুত নির্বাচনের গণতান্ত্রিক পরিবেশ তৈরি করুন: আকবর খান
ঢাকা-৮ আসনে দ্রুত নির্বাচনের গণতান্ত্রিক পরিবেশ সৃষ্টির আহ্বান জানিয়েছেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য আকবর খান। তিনি বলেন, “ভোটের অধিকার জনগণের পবিত্র আমানত, এটি সচেতনভাবে প্রয়োগ করতে হবে।”
বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) রাজধানীর মতিঝিলের বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও গণতন্ত্র মঞ্চের শীর্ষ নেতা জননেতা সাইফুল হক-এর ঢাকা-৮ আসনে নির্বাচনী গণসংযোগ ও প্রচারপত্র বিতরণ কর্মসূচিতে তিনি একথা বলেন।
গণসংযোগের শুরুতে ঢাকা মহানগর কমিটির সভাপতি মীর মোফাজ্জল হোসেন মোশতাকের সভাপতিত্বে এক সংক্ষিপ্ত পথসভা হয়।
সেখানে আকবর খান বলেন, “নির্বাচন কমিশন ও সরকারকে অবিলম্বে ভোটের গণতান্ত্রিক পরিবেশ তৈরিতে কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে। গত কয়েকটি জাতীয় নির্বাচনে—২০০৮, ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালে—ঢাকা-৮ আসনের বহু নাগরিক ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। যে তরুণের এখন বয়স ২৫ বা ২৬, তারা কখনো ভোট দিতে পারেনি, ভোট কী তা জানে না- এটি গণতন্ত্রের জন্য গভীর উদ্বেগের বিষয়।”
তিনি আরো বলেন, “গত ১৬-১৭ বছর ধরে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি এবং আমাদের নেতা সাইফুল হক জনগণের ভোটাধিকারের আন্দোলনে রাজপথে সংগ্রাম করে আসছেন। এর জন্য জেল-জুলুম, নির্যাতন সহ্য করেও তিনি থেমে থাকেননি। ভোটাধিকার গণমানুষের দীর্ঘ লড়াই ও ত্যাগের ফসল। এই অধিকার ভুল ব্যক্তিকে নির্বাচিত করার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না।”
আকবর খান বলেন, “জননেতা সাইফুল হক গণমানুষের পরীক্ষিত নেতা। আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনের জনগণ যেন তাকে ভোট দিয়ে নিজেদের সুখ-দুঃখ, চাওয়া-পাওয়ার কথা ও দীর্ঘ বঞ্চনার ইতিহাস সংসদে তুলে ধরার সুযোগ করে দেন- এটাই আমাদের আহ্বান।”
গণসংযোগ ও প্রচারপত্র বিতরণ কর্মসূচি বাংলাদেশ ব্যাংক এলাকা থেকে শুরু হয়ে মতিঝিল, কমলাপুর, ফকিরাপুল, কালভার্ট রোড হয়ে বিজয়নগরে এসে শেষ হয়। এতে শতাধিক নেতাকর্মী অংশ নেন।
কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা সিকদার হারুন মাহমুদ, মীর রেজাউল আলম, কবি জামাল সিকদার, ফাইজুর রহমান মুনির, বাবর চৌধুরী, মহানগর নেতা যুবরান আলী জুয়েল, সালাউদ্দিন, রিয়েল মাতবর, আরিফুল ইসলাম, মুজিবুল হক চুন্নু, গোলাম রাজিব, মাহমুদুল হাসান খান, ফয়েজ ইবনে জাফর, নান্টু দাস, শিবু মহন্ত ও হুমায়ুন কবির প্রমুখ।
ঢাকা/এএএম/এস