পিএসজি ও চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালের যত রেকর্ড
Published: 1st, June 2025 GMT
পিএসজির প্রথম চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়। সেটিও আবার ৫-০ গোলে। ইন্টার মিলানকে উড়িয়ে দেওয়ার রাতে অনেক রেকর্ড দেখেছে ফুটবল সমর্থকেরা। কাল ফাইনালে নতুন যেসব রেকর্ড দেখা গেল—১৬৮কাল চ্যাম্পিয়নস লিগের ইতিহাসে পিএসজি খেলেছে ১৬৮তম ম্যাচ (ইউরোপিয়ান কাপসহ), প্রথমবার চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতার আগে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলার রেকর্ড এটি।৪ইন্টার মিলান এখন তাদের শেষ পাঁচটি চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালের মধ্যে চারটিতেই হেরেছে। শুধু জুভেন্টাস (৭), বেনফিকা (৫) ও বায়ার্ন মিউনিখ (৫)—এই তিন দলই ইন্টার মিলানের (৪) চেয়ে বেশিবার রানার্সআপ হয়েছে।নবম ও প্রথমচ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ের মাধ্যমে চলতি মৌসুমে ট্রেবল পূর্ণ হয়েছে পিএসজির। ইউরোপের নবম ক্লাব হিসেবে ট্রেবল জিতেছে দলটি আর ফরাসি দল হিসেবে এই কীর্তি প্রথম। ১৯৯৩ সালে মার্শেইয়ের চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতার পর দ্বিতীয় ফরাসি ক্লাব হিসেবে এই প্রতিযোগিতা জিতল পিএসজি।আরও পড়ুনঅবশেষে তাঁদের ছাড়াই পিএসজি চ্যাম্পিয়ন, কী বললেন এমবাপ্পে–নেইমার১ ঘণ্টা আগে২লুইস এনরিকে ইউরোপিয়ান ক্লাবের হয়ে দুবার ট্রেবল জয়ী হওয়া মাত্র দ্বিতীয় কোচ। এর আগে ২০১৪-১৫ মৌসুমে বার্সেলোনার কোচ হিসেবে তিনি এই কীর্তি গড়েছিলেন। আর এই অর্জনে তাঁর সঙ্গে আছেন শুধু পেপ গার্দিওলা (বার্সেলোনা ২০০৮-০৯ এবং ম্যানচেস্টার সিটি ২০২২-২৩)।৫-০ফাইনালে ইন্টার মিলানকে পিএসজি হারিয়েছে ৫-০ ব্যবধানে। ইউরোপিয়ান শ্রেষ্ঠত্বের ফাইনালের ইতিহাসে এর আগে কোনো দল ৫ গোলের ব্যবধানে জেতেনি।প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন লিগ জেতার আনন্দ
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: চ য ম প য়নস ল গ জ ইন ট র ম ল ন ফ ইন ল র কর ড প এসজ ইউর প
এছাড়াও পড়ুন:
অস্ট্রেলিয়ায় নারী এশিয়া কাপ: শক্তিশালী গ্রুপে বাংলাদেশ
বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল ইতিহাসের এক নতুন অধ্যায়ে প্রবেশ করেছে। এশিয়ান কাপের মূল পর্বে জায়গা করে নিয়েছে।
আগামী বছরের ১-২৩ মার্চ অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত হবে নারী এশিয়া কাপ। ১২ দলের এই টুর্নামেন্টের ড্র সিডনিতে অনুষ্ঠিত হয়েছে আজ দুপুরে। যেখানে শক্তিশালী গ্রুপে পড়েছে বাংলাদেশ।
‘বি’ গ্রুপে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ উজবেকিস্তান, চীন ও উত্তর কোরিয়া। জাঁকজমকপূর্ণ ড্রতে বাংলাদেশ ছিল চার নম্বর প্লটে। সঙ্গী ছিল ইরান ও ভারত। গ্রুপিং ড্রতে টুর্নামেন্টের একমাত্র অভিষিক্ত দল বাংলাদেশ ‘বি’ গ্রুপের তৃতীয় দল নির্বাচিত হয়।
পরের রাউন্ডে ‘বি’ গ্রুপের চতুর্থ দল হয় উজবেকিস্তান। এরপর ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন চীন বাংলাদেশের গ্রুপের দ্বিতীয় দল হয়। সবশেষ দল হিসেবে এই গ্রুপে যুক্ত হয় উত্তর কোরিয়া। যারা ২০১০ সালে প্রতিযোগিতায় রানার্সআপ হয়েছিল।
ড্র অনুষ্ঠানে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া ও এএফসি অংশগ্রহণকারী সকল দেশের অধিনায়ক ও কোচকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল। প্রথমবার নারী এশিয়া কাপে সুযোগ পাওয়া বাংলাদেশের কেউ এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেনি। গতকাল অংশগ্রহণকারী দলগুলোর কোচ, খেলোয়াড়রা ট্রফি নিয়ে ফটোসেশন করে হারবার ব্রিজের সামনে। সেখানে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া ছাড়া, তাইওয়ান,ভারত, চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, উজবেকিস্তান ও ভিয়েতনামের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
বাছাইপর্বে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স ছিল দুর্বার। ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে ১২৮ নম্বরে থাকা বাংলাদেশ পড়েছিল কঠিন ‘সি’ গ্রুপে, যেখানে প্রতিপক্ষ ছিল বাহরাইন (র্যাঙ্কিং ৯২), তুর্কমেনিস্তান এবং স্বাগতিক মিয়ানমার (র্যাঙ্কিং ৫৫)। র্যাঙ্কিংয়ের বিচারে পিছিয়ে থাকলেও মাঠের পারফরম্যান্সে বোঝার উপায় ছিল না।
প্রথম ম্যাচেই বাহরাইনকে ৭-০ গোলে উড়িয়ে দেয় বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ম্যাচে ঋতুপর্ণার জোড়া গোলের নৈপুণ্যে ২-১ ব্যবধানে হারায় মিয়ানমারকে। শেষ ম্যাচে তুর্কমেনিস্তানকেও ছাড়েনি মেয়েরা। ৭-০ গোলের দাপুটে জয় তুলে নেয় তারা।
এই জয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে প্রথমবারের মতো এএফসি নারী এশিয়ান কাপের মূল পর্বে জায়গা করে নেয় বাংলাদেশ। আগামী বছর মার্চে বসবে টুর্নামেন্টের ২১তম আসর, যেখানে খেলবে ১২টি দেশ।
ঢাকা/ইয়াসিন