চরের কাদায় আটকে ছিল দুটি ডলফিন, নদীতে ছেড়ে দিলেন জেলেরা
Published: 1st, June 2025 GMT
নোয়াখালীর নিঝুম দ্বীপের চরে জোয়ারের তোড়ে ভেসে আসে দুটি ডলফিন। এরপর আটকে ছিল চরের কাদাপানিতে। মাছ ধরতে যাওয়া জেলেরা এ সময় ডলফিন দুটি দেখতে পান। পরে ওই জেলেরা ডলফিন দুটিকে নদীর গভীর পানিতে ছেড়ে দিয়েছেন।
গতকাল শনিবার বেলা আড়াইটার দিকে নিঝুম দ্বীপের বন্দরটিলা ও পার্শ্ববর্তী দমারচরের মধ্যবর্তী এলাকায় ডলফিন দুটি আটকা পড়ে। নিঝুম দ্বীপের বন্দরটিলা এলাকার বাসিন্দা মো.
মো. বেলাল উদ্দিন বলেন, নিঝুম দ্বীপের বন্দরটিলা ও দমারচরের মাঝখানে ভাটার সময় নদীর পানি অনেকটাই কমে যায়। দমারচরে যাঁরা চাষাবাদ করেন, ওই সময়টায় তাঁরা হেঁটেই নদী পার হন। আবার ভাটার সময় জেলেরা ওই এলাকায় মাছ ধরতে যান। গতকালও মাছ ধরতে গিয়ে জোয়ারের সঙ্গে আসা ডলফিন দুটি দেখেছেন জেলেরা। তিনি আরও বলেন, জেলে আশরাফ উদ্দিন ডলফিন দুটির ভিডিও চিত্র ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দিয়েছেন। এরপর আজ রোববার বিষয়টি জানাজানি হয়।
জানতে চাইলে বন বিভাগের নিঝুম দ্বীপ বিটের কর্মকর্তা মো. সোহাগ বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিষয়টি দেখার পর তাঁরা এ বিষয়ে খোঁজ নেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের মাধ্যমে জেনেছেন, দুটি ডলফিনকেই নদীর গভীর পানিতে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
যাত্রাবাড়ীতে বিদ্যুৎমিস্ত্রিকে পিটিয়ে হত্যা
রাজধানীতে হাত ও পা বেঁধে রড দিয়ে পিটিয়ে আনোয়ার হোসেন (৪৩) নামের এক ব্যক্তিকে হত্যা করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সকালে যাত্রাবাড়ীর কাউন্সিল শরিফ পাড়ায় বাসের অবকাঠামো তৈরির একটি কারখানায় এ ঘটনা ঘটে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) বিদ্যুৎমিস্ত্রি ছিলেন আনোয়ার হোসেন। তাঁর কর্মস্থল ছিল পুরান ঢাকার সদরঘাটে। পারিবারিক সূত্র জানায়, আনোয়ার হোসেন স্ত্রী ও দুই মেয়ে নিয়ে রাজধানীর মাতুয়াইলের মৃধাবাড়ি এলাকায় থাকতেন।
আনোয়ারের ভাই দেলোয়ার হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল ভোরে আনোয়ার বাসা থেকে নামাজ পড়ার উদ্দেশ্যে বের হন। পরে খবর পান, তাঁর ভাইকে কাউন্সিল উত্তর শরিফ পাড়ায় বাসের অবকাঠামো তৈরির গ্যারেজে নিয়ে হাত–পা বেঁধে রাখা হয়েছে। এরপর সেখানে গিয়ে আনোয়ারের হাত–পা বাঁধা ও রক্তাক্ত মুমূর্ষু অবস্থায় দেখতে পান তাঁর মা।
লোহার রড দিয়ে পেটানো হয়েছে বলে মৃত্যুর আগের তাঁর মাকে জানিয়েছিলেন আনোয়ার। তাঁর ভাই এ কথা জানিয়ে বলেন, এর কিছুক্ষণ পরই ঘটনাস্থলেই আনোয়ারের মৃত্যু হয়। এরপর যাত্রাবাড়ীর থানা-পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠায়।
গতকাল সন্ধ্যায় যাত্রাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, ভোরে সঙ্গী সুমনকে নিয়ে আনোয়ার বাসের কাঠামো তৈরির কারখানায় চুরি করতে যান। এ সময় সেখানে থাকা লোকজন তাঁকে পিটিয়ে হত্যা করে। তাঁর সঙ্গী সুমন পালিয়ে যান।