দীর্ঘ সংগীতজীবনে অসংখ্য হিট গান উপহার দিলেও ইমরান মাহমুদুলকে কখনো বড় পর্দার গানে পারফর্ম করতে দেখা যায়নি তাকে। এবার সেটাই ঘটলো। আজাদ ও পূজা চেরির সিনেমার গানের সুবাদে প্রথমবারের মতো বড় পর্দার গানে পারফর্ম করলেন ইমরান মাহমুদুল। তার সঙ্গে ছিলেন অরেক সংগীতশিল্পী আতিয়া আনিসা।

আজ বিকেল ৪টায় ইউটিউবে অবমুক্ত হয়েছে ‘টগর’ সিনেমার দ্বিতীয় গান। ‘ও সুন্দরী’ শিরোনামে গানটির বিশেষ আকর্ষণ হলো-চিত্রনায়ক আদর আজাদ ও পূজা চেরি। শেষের দিকে পর্দায় চমক হিসেবে ধরা দিয়েছেন ইমরান ও আতিয়া।

গানটির কথা লিখেছেন রবিউল ইসলাম জীবন। সুর ও সংগীতায়োজন করেছেন ইমরান মাহমুদুল নিজেই। আর জমকালো কোরিওগ্রাফি করেছেন হাবিব রহমান। কালারফুল সেট, প্রাণবন্ত নাচ ও চমকপ্রদ উপস্থিতি গানটিকে করে তুলেছে চোখ ধাঁধানো।

গানটি নিয়ে ইমরান মাহমুদুল বলেন, ‘সিনেমার গানে কখনো দর্শক আমাকে দেখেনি। এবার সেটাই হয়েছে। এটা আমার জন্য একেবারে নতুন অভিজ্ঞতা। নিজের গানে পর্দায় নাচা ছিল চ্যালেঞ্জিং। গানটি নিয়ে আমি খুবই আশাবাদী।’

আতিয়া আনিসা বলেন, “ইমরান ভাইয়ের সঙ্গে গাওয়া এবং একই গানে স্ক্রিন শেয়ার করা খুব আনন্দের ছিল। ‘ও সুন্দরী’ গানটি শ্রোতা-দর্শক সবার ভালো লাগবে বলে বিশ্বাস করি।”

নায়িকা পূজা চেরি বলেন, ‘গানটির শুটিং ছিল ভীষণ মজার অভিজ্ঞতা। ইমরান ভাই ও আতিয়ার চমক দর্শকদের ভালো লাগবে নিশ্চিত।’

নায়ক আদর আজাদ বলেন, “টগর আমার জন্য বিশেষ একটি প্রজেক্ট। ‘ও সুন্দরী’ গানটি সিনেমার অন্যতম হাইলাইট হবে, দর্শক হলে গিয়ে উপভোগ করবেন।”

এআর মুভি নেটওয়ার্ক প্রযোজিত টগর সিনেমাটি আসন্ন ঈদুল আজহায় মুক্তি পাচ্ছে সারাদেশব্যাপী।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আদর আজ দ ন ইমর ন

এছাড়াও পড়ুন:

‘ফিরিয়ে দাও’ থেকে ‘ধূসর সময়’: সিডনিতে একই মঞ্চে মাইলস ও আর্টসেল

সিডনির বসন্তের সন্ধ্যা। লিভারপুলের হুইটল্যাম লেজার সেন্টারের বাইরে তখন লম্বা লাইন—হাতে পতাকা, কাঁধে ব্যাগ, চোখে প্রত্যাশা। সাউন্ডচেকের শব্দ ভেসে আসছে বাইরে। ভেতরে যেন উন্মুখ এক ‘সাগর’, যেখানে মিশে আছে দুই প্রজন্মের মুখ, কণ্ঠ আর স্মৃতি। শনিবার রাতটি হয়ে উঠেছিল প্রবাসী বাঙালিদের জন্য এক ব্যতিক্রমী উৎসব—বাংলাদেশের ব্যান্ড সংগীতের দুই যুগের দুই প্রতীক, মাইলস ও আর্টসেল; প্রথমবারের মতো একই মঞ্চে গান করল সিডনিতে।
‘গ্রিনফিল্ড এন্টারটেইনমেন্ট’ আয়োজিত এই ‘মিউজিক ফেস্ট’ ঘিরে প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে যে উচ্ছ্বাস তৈরি হয়েছিল, তা যেন উপচে পড়ল সেই রাতে। টিকিট বিক্রি শুরু হওয়ার পরপরই সব শেষ। অনুষ্ঠান শুরুর ঘণ্টাখানেক আগে থেকেই সিডনির দক্ষিণ-পশ্চিম উপশহর লিভারপুলের রাস্তাগুলো ভরে গেল গানের ভক্তে।

আয়োজনের আগে ভিডিও বার্তায় মাইলস জানায় তাদের উচ্ছ্বাস। ব্যান্ডের অন্যতম সদস্য হামিন আহমেদ বলেন, ‘সিডনি বরাবরই আমাদের কাছে বিশেষ কিছু। সম্ভবত ১৯৯৬ সালে আমরাই প্রথম বাংলাদেশি ব্যান্ড হিসেবে অস্ট্রেলিয়ায় পারফর্ম করি। এরপর এ নিয়ে অন্তত পঞ্চমবারের মতো সিডনিতে এলাম। এখানকার দর্শকদের ভালোবাসা সব সময়ই অবিশ্বাস্য।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা জানতাম এটি স্মরণীয় একটি আয়োজন হতে যাচ্ছে। আমরা চেয়েছি সবাই একসঙ্গে গাইবে, চিৎকার করবে—ভক্তরা সেটাই করেছেন।’ গিটারিস্ট তুজো যোগ করেন, ‘অস্ট্রেলিয়ার পাঁচটি শহরে ট্যুর করছি, কিন্তু সিডনির আবহ একেবারেই আলাদা। দর্শকেরা আমাদের রাতটিকে স্মরণীয় করে দিয়েছেন।’

মঞ্চে আর্টসেল

সম্পর্কিত নিবন্ধ