ছাত্রদলের নিহত নেতা সাম্যর ভাই এনসিপিতে
Published: 1st, June 2025 GMT
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের নিহত নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্যর বড় ভাই সর্দার আমিরুল ইসলাম সাগর জাতীয় নাগরিক পার্টিতে (এনসিপি) যোগ দিয়েছেন। রোববার গঠিত এনসিপি ঢাকা মহানগর উত্তর সমন্বয় কমিটির সদস্য করা হয়েছে তাকে।
আমিরুল ইসলাম সাগর ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটিতে মুক্তিযুদ্ধ ও গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। ২০১৭ সালের আগস্টে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানিয়ে বহিষ্কার হন। তবে ২০১৯ সালের ১৭ এপ্রিল তার বহিষ্কার আদেশ প্রত্যাহার করে সাগরকে সংগঠনে ফিরিয়ে নেয় ছাত্রদল।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এফ রহমান হল ছাত্রদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক সাম্য গত ১৩ মে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্তমঞ্চের পাশে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে নিহত হন। এ হত্যার বিচারের দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত রেখেছে ছাত্রদল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ভিসি এবং প্রক্টরের পদত্যাগের দাবিতে টানা এক সপ্তাহ শাহবাগ অবরোধ করে আন্দোলন করে। সাম্য ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সর্বাত্মক অংশ নেন। সক্রিয় অংশগ্রহণ ছিল আমিরুল ইসলাম সাগরেরও। এনসিপিতে যোগ দেওয়ার তথ্য নিশ্চিত করেছেন তিনি।
সমকালকে সাগর বলেন, ‘২০১৯ সালে ছাত্র রাজনীতি ছাড়ার পর থেকে আর কিছুতে ছিলাম না। জিয়াউর রহমানের আদর্শের জাতীয়তাবাদী রাজনীতিতে বিশ্বাস করি। আমার বাবাও ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাকালীন নেতা ছিলেন। গতানুগতিক ধারার বাইরে গিয়ে জাতীয়তাবাদের রাজনীতি করার প্রচেষ্টা হিসেবেই এনসিপিতে যোগ দিয়েছি।’
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: এনস প ছ ত রদল স ম য হত য ছ ত রদল র এনস প
এছাড়াও পড়ুন:
হুমকি দেওয়া নিয়ে ইবিতে সহ-সমন্বয়ক ও শিক্ষার্থীর পাল্টাপাল্টি অভিয
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) এক শিক্ষার্থীকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সহ-সমন্বয়কের বিরুদ্ধে। তবে মিথ্যা অপপ্রচারের মাধ্যমে মানহানি করা হচ্ছে উল্লেখ করে পাল্টা অভিযোগ দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ইবির সহ-সমন্বয়ক গোলাম রব্বানী।
শনিবার (২৬ জুলাই) সহ-সমন্বয়ক গোলাম রব্বানীর বিরূদ্ধে ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনলোজি বিভাগের ২০১৯-২০ বর্ষের শিক্ষার্থী বুরহান মিয়া হোয়াটস অ্যাপে কল দিয়ে হুমকির অভিযোগ তুলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগপত্রে বুরহান বলেন, “গত ২৩ জুলাই রাত ৮টা ৩ মিনিটে ০১৭৫১-৪৩৫৮১৮ নম্বর থেকে ১ মিনিটের একটি ভয়েস কলের মাধ্যমে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়। কলদাতা পরিচয় গোপন রেখে বলেন ‘তুমি ক্যাম্পাস থেকে সরাসরি পাশ করে বের হতে পারবা না। তুমি কোথায় থাকো, কার সাথে থাকো (তোমার ভাবী ও দেড় বছরের ভাতিজা)—সব আমি জানি। সাবধানে থাকো, কখন কী হয় বলা যায় না।”
আরো পড়ুন:
ডিপিপির দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি রবি শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের
সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ফল প্রকাশে ধীরগতি, ভোগান্তিতে শিক্ষার্থীরা
অভিযোগপত্রে আরো বলেন, “অভিযুক্ত রব্বানী মিথ্যাভাবে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের সম্পৃক্ত বলেও অপপ্রচার করেন, যা আমার ব্যক্তিগত সম্মান ও নিরাপত্তার প্রতি সরাসরি আঘাত। ব্যক্তিগত অনুসন্ধানের মাধ্যমে হুমকিদাতার পরিচয় জানতে পেরেছি।”
এদিকে রবিবার (২৭ জুলাই) বুরহান মিয়ার বিরুদ্ধে মানহানির দায় তুলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর পাল্টা অভিযোগ দায়ের করেন সহ-সমন্বয়ক গোলাম রব্বানী।
অভিযোগপত্রে গোলাম রব্বানী বলেন, “ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনলোজি বিভাগের ২০১৯-২০ বর্ষের শিক্ষার্থী বুরহান মিয়া (রোল- ১৯১৮০১৪, রেজিস্ট্রেশন- ১৩২২) আমার বিরুদ্ধে একটি হুমকির অভিযোগ দিয়েছে। এটি পুরোপুরি মিথ্যা, যা আমার ব্যক্তিগত সম্মান ক্ষুণ্ন এবং হাজার হাজার শহীদকে ধারণ করা সংগঠন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন প্লাটফর্মকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য একটি ঘৃণ্য ষড়যন্ত্র।”
অভিযোগপত্রে তিনি বলেন, “আমি আমার পরিচয় দিয়ে এবং নিজ নম্বর থেকেই কয়দিন আগে কল দিয়েছিলাম একটা ব্যক্তিগত প্রয়োজনে। আমি যদি হুমকিই দিতাম, তাহলে নিজ পরিচয় প্রকাশ করে এবং নিজ নম্বর থেকে তো দেওয়ার কথা না, এটা তো পুরোপুরি স্পষ্ট। তারপর থেকে তার সঙ্গে এখন পর্যন্ত আমার আর কোনো কথা হয়নি। তার অভিযোগপত্রটিতে মিথ্যা দিয়ে ভরে আমার সম্মান নষ্ট করেছে।”
তিনি আরো বলেন, “বুরহান মিয়া আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে আমার সম্মান ক্ষুণ্ন করেছে এবং সবার কাছে হেয় করেছে। আমি এর বিরোধিতা করি এবং এর শাস্তি কামনা করছি।”
এ বিষয়ে প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহীনুজ্জামান বলেন, “আমরা অভিযোগপত্র হাতে পেয়েছি। গতকাল ও আজকের অভিযোগের বিষয় নিয়ে প্রক্টরিয়াল বডি ও ছাত্র উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনায় বসব।”
ঢাকা/তানিম/মেহেদী