২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপন শুরু হয়েছে। অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বাজেট উপস্থাপন করছেন।
সোমবার (২ জুন) বিকেল ৩টা থেকে অর্থ উপদেষ্টার বাজেট বক্তৃতা সরাসরি সম্প্রচার করছে বাংলাদেশ টেলিভিশন।
এর আগে সোমবার (২ জুন) দুপুরে ঢাকার তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে উপদেষ্টা পরিষদের বিশেষ সভায় ৭ লাখ ৮৯ হাজার ৯৯৯ হাজার কোটি টাকার বাজেট অনুমোদন করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
আরো পড়ুন:
২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট পাস
বাজেটে কমতে পারে যেসব পণ্যের দাম
বিস্তারিত আসছে.
ঢাকা/হাসান/ইভা
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
যুব ও ক্রীড়ায় বরাদ্দ বেড়েছে ৮৪২ কোটি টাকা
অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের জন্য ২ হাজার ৪২৩ কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব করেছেন। যা গত অর্থ বছরে পাশ হওয়া বাজেটের তুলনায় ৮৪২ কোটি ২১ লাখ টাকা বেশি।
এবারের প্রস্তাবিত বাজেটে উন্নয়ন খাতে ১৪৪০ কোটি ৩৭ লাখ এবং পরিচালন খাতে ৯৮২ কোটি ৬৩ লাখ টাকা ব্যয় প্রস্তাব করা হয়েছে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে ৬২৭ কোটি ৯৫ লাখ টাকা উন্নয়ন খাতে এবং পরিচালন খাতে ৯৫২ কোটি ৮৩ লাখ ৩৭ হাজার টাকা পাশ হয়েছিল। সংশোধিত বাজেটে ক্রীড়া ও যুব মন্ত্রণালয় পেয়েছিল ১ হাজার ৫৮০ কোটি ৭৮ লাখ ৩৭ হাজার টাকা।
২০২৫-২৬ অর্থবছরে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের আওতায় যেসব প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো উপজেলা পর্যায়ে মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণ (দ্বিতীয় পর্ব) প্রকল্প, নড়াইলে বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ স্টেডিয়াম ও টেবিল টেনিস ভবনের অধিকতর উন্নয়ন এবং ইনডোর স্টেডিয়াম ও ভলিবল স্টেডিয়াম নির্মাণ প্রকল্প।
এছাড়া বিকেএসপির প্রশিক্ষণ সুবিধাদির আধুনিকায়ন এবং ভৌত অবকাঠামোর সুবিধাদির উন্নয়ন প্রকল্প, দারিদ্র্য বিমোচনে প্রযুক্তিনির্ভর প্রকল্প (তৃতীয় পর্যায়), ৬৪টি জেলায় তথ্যপ্রযুক্তি প্রশিক্ষণ প্রদানের জন্য যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের সক্ষমতা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্প, দেশের ৪৮টি জেলায় কর্মপ্রত্যাশী যুবকদের ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ প্রকল্প আছে।
এর বাইরে বাজেটে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিভিন্ন প্রতিযোগিতার আয়োজন, অংশগ্রহণ ও জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার প্রদান, ক্রীড়া ক্ষেত্রে প্রতিভা অন্বেষণ, গ্রামাঞ্চলে ক্রীড়া পরিবেশ সৃষ্টি ও দক্ষ ক্রীড়াবিদ তৈরি, বিভিন্ন ক্রীড়া সংস্থাকে অনুদান প্রদান ও অসচ্ছল ক্রীড়াবিদদের কল্যাণে অনুদান প্রদান এবং ক্রীড়া স্থাপনা নির্মাণ, উন্নয়ন ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে।