পাহাড়ি ঢলে শেরপুরে আবার বাড়ছে নদ-নদীর পানি
Published: 2nd, June 2025 GMT
উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে শেরপুরের বিভিন্ন নদ–নদীর পানি আবার বাড়তে শুরু করেছে। এতে জেলার চারটি নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার কাছাকাছি রয়েছে। এর মধ্যে চেল্লাখালী নদীর পানি বিপৎসীমার ১২৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বাড়তে থাকায় বন্যার শঙ্কা করছেন এলাকাবাসী।
শেরপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা গেছে, আজ সোমবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত চেল্লাখালী নদীর পানি বিপৎসীমার ১২৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। এ ছাড়া ভোগাই ও শেরপুরে পুরোনো ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বিপৎসীমার কাছাকাছি রয়েছে। এ ছাড়া ঝিনাইগাতীতে মহারশি নদ ও সোমেশ্বরী নদীর পানি রাত থেকে বাড়তে শুরু করেছে।
ভারতের মেঘালয় রাজ্যের তুরা জেলায়ও বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। ফলে মেঘালয় থেকে নেমে আসা জেলার চেল্লাখালী, ভোগাই, মহারশি ও সোমেশ্বরীর পানি একটু থেমেই আবার বাড়তে শুরু করেছে।
চেল্লাখালী নদীর পাড়ের কচুবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা আজম আলী (৫৫) বলেন, ‘সকালবেলায় প্রচণ্ড বৃষ্টি অইছে। মেঘালয়ে বৃষ্টি অইলে আমগর নদীতে ঢল নামে। সকাল থাইকা নদী দিয়া ঢলের পানি বাড়তাছে। এইভাবে পানি বাড়তে থাকলে বন্যার আশঙ্কা আছে।’
নালিতাবাড়ী উপজেলার বাঘবেড় ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নূরে আলম বলেন, একটু থেমেই গতকাল রোববার রাত থেকে আবার চেল্লাখালী নদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে। ঢলের পানি আর বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে কিছুটা বিপত্তিই হবে।
ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও আশরাফুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, পাহাড়ি ঢলে মহারশি ও সোমেশ্বরীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে এলাকায় বৃষ্টি না হলে নদীর পানি দ্রুত কমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
পাউবোর শেরপুর কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী আখিনুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, জেলার চারটি নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার কাছাকাছি রয়েছে। এর মধ্যে চেল্লাখালী নদীর পানি বিপৎসীমার ১২৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আজ ও আগামীকাল বৃষ্টিপাত না হলে নদীর পানি কমে যাবে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব পৎস ম র নদ র প ন নদ নদ
এছাড়াও পড়ুন:
ডাকসুর বিবৃতি: বিএনপি তরুণ প্রজন্মের আকাঙ্ক্ষাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছে
জুলাই সনদে সই করলেও বিএনপি ধারাবাহিকভাবে সংস্কার কার্যকর করার বিরোধিতা করে তরুণ প্রজন্মের আকাঙ্ক্ষাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছে, এমন বিবৃতি দিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু)। রোববার বিবৃতিটি গণমাধ্যমে পাঠানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, জুলাই বিপ্লব ছিল বৈষম্য, অবিচার ও ফ্যাসিবাদী শাসনকাঠামোর বিরুদ্ধে এ দেশের সর্বস্তরের ছাত্র-জনতার সম্মিলিত বিপ্লব। শুধু সরকার পরিবর্তন নয়, বরং রাষ্ট্রের মৌলিক সংস্কার, ক্ষমতার অপব্যবহার রোধ ও একটি বৈষম্যহীন-ন্যায়ভিত্তিক নতুন বাংলাদেশ গড়ার আকাঙ্ক্ষা ছিল বিপ্লবের মূল ভিত্তি। নতুন প্রজন্ম চেয়েছিল এমন একটি বাংলাদেশ, যেখানে কোনো প্রকার বৈষম্য ও রাজনৈতিক একচেটিয়া কর্তৃত্বের জায়গা থাকবে না। কিন্তু দুঃখজনকভাবে জুলাই সনদে সই করলেও বিএনপি ধারাবাহিকভাবে সংস্কার কার্যকর করার বিরোধিতা করে তরুণ প্রজন্মের আকাঙ্ক্ষাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছে।
ডাকসুর বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বিশেষত বিএনপি এমন সব মৌলিক সংস্কারের বিরোধিতা করেছে, যা সরাসরি ছাত্র-জনতার স্বপ্নের সঙ্গে জড়িত। পিএসসি, দুদক, ন্যায়পাল ও মহাহিসাব নিরীক্ষকের মতো সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে স্বচ্ছ ও দলীয় প্রভাবমুক্ত নিরপেক্ষ নিয়োগ নিশ্চিত করার সংস্কার প্রস্তাবের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে তারা ক্ষমতার একচ্ছত্র দখলদারি বহাল রাখতে চায়। কোনো রাজনৈতিক দলের বিরোধিতা বা প্রাতিষ্ঠানিক প্রভাব রাষ্ট্রগঠনমূলক সংস্কারের পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করলে ছাত্র-জনতা সেই বাধা অতিক্রমে দৃঢ়ভাবে অবস্থান নেবে।