তিন মামলায় আইভীর জামিন আবেদন না মঞ্জুর
Published: 2nd, June 2025 GMT
গত জুলাই আগস্টের গণ অভ্যুত্থানে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে দুইটি হত্যা ও একটি হত্যা চেষ্টার মামলায় সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীর জামিন আবেদন আবারও না মঞ্জুর করেছে আদালত।
পোশাক শ্রমিক মিনারুল হত্যা মামলায় দুইদিনের রিমান্ড শেষে সোমবার দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আবু শামীম আজাদের আদালতে তিনটি মামলায় আইভীর জামিনের জন্য আবেদন করেন তার পক্ষের আইনজীবিরা। এর মধ্যে পোশাক শ্রমিক মিনারুল ও রিকশাচালক তুহিন হত্যা এবং হকার নাদিম হত্যা চেষ্টার মামলা রয়েছে।
উভয়পক্ষের আইনজীবিদের শুনানি শেষে আদালত তিন মামলার জামিন আবেদনই না মঞ্জুর করেন। এসময় ডা.
নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত পিপি এ্যাডভোকেট ওমর ফারুক নয়ন বলেন, পোশাক শ্রমিক মিনারুল হত্যা মামলায় আইভীকে দুইদিনের রিমান্ডে অনেক চাঞ্চল্যকর তথ্য উদঘাটন হয়েছে।
আজকে দুইটি হত্যা ও একটি হত্যা চেষ্টার মোট তিনটি মামলায় জামিন আবেদন করা হয়েছে। তিনটি মামলাতেই আইভীর সংশ্লিষ্টতার তথ্য প্রমান আমরা আদালতে উপস্থাপন করেছি। বিজ্ঞ আদালত সেগুলো আমলে নিয়ে আইভীর সবগুলো জামিন আবেদন না মঞ্জুর করেছেন।
অপরদিকে সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীর পক্ষের আইনজীবি এ্যাডভোকেট আওলাদ হোসেন বলেন, যতগুলো মামলায় আইভীকে আসামি করা হয়েছে সেগুলোর অধিকাংশ মামলাতেই তিনি ৮ নম্বর ও ১১ নম্বর আসামি। কোন মামলাতেই আইভীর বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোন অভিযোগ নেই। তাই আমরা আশা করি আদালত ন্যায়বিচার করবেন।
উল্লেখ্য, গত বছরের জুলাই আগস্টের গণ অভ্যুত্থানে নারায়ণগঞ্জে সংঘটিত বিভিন্ন হত্যাকান্ড ও হত্যা চেষ্টার ঘটনায় সিদ্ধিরগঞ্জ এবং ফতুল্লা থানায় দায়ের করা ছয়টি মামলায় নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র ও জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ সভাপতি ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীকে আসামি করা হয়েছে।
গত ৯ মে ভোরে নগরির দেওভোগ এলাকায় নিজ বাড়ি থেকে আইভীকে গ্রেপ্তার করে আইন শৃংখলা বাহিনী। পরে আদালতের নির্দেশে ওইদিনই তাকে কাশিমপুর কারাগারে প্রেরণ করা হয়।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ আইভ র জ ম ন ন র য়ণগঞ জ হ য় ৎ আইভ আইভ ক
এছাড়াও পড়ুন:
যে ১০ কারণে স্বামী–স্ত্রীর মধ্যে বেশি ঝগড়া হয়
একসঙ্গে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েই বিয়ে করেন দুজন ব্যক্তি; কিন্তু একসঙ্গে থাকতে শুরু করার পর সবচেয়ে আপন এই মানুষের সঙ্গেও নানা কারণে তৈরি হয় মতবিরোধ। এক কথা, দুই কথায় বাধে ঝগড়া। বয়োজ্যেষ্ঠদের মতে, স্বামী–স্ত্রীর ঝগড়া আসলে এক জায়গায় রাখা দুটি বাসনের ঠোকাঠুকির মতো। এগুলো জীবনেরই অংশ; কিন্তু এই ঠোকাঠুকি বাড়তে দিলেই বিপত্তি। তাই দাম্পত্য জীবনে ঝগড়া কমিয়ে আনতে চাইলে প্রথমে মতবিরোধের কারণগুলো খুঁজে বের করতে হবে। বিশ্বজুড়ে কী কারণে দাম্পত্যে ঝগড়া হয় বেশি, চলুন আগে সেটিই জেনে নেওয়া যাক।
১. বোঝাপড়ার অভাবনাবিলা ও রাফি (ছদ্মনাম) দুজনেই চাকরিজীবী। কর্মস্থল থেকে বাসায় ফিরে ক্লান্ত নাবিলা আশা করেন, স্বামী তাঁর কাছে জানতে চাইবেন সারা দিন কেমন কাটল। কিন্তু তা না করে চুপচাপ নিজের মনে ফোন স্ক্রল করেন রাফি।
স্বামীর এমন আচরণে কষ্ট পান নাবিলা। অন্যদিকে রাফি ভাবেন, সারা দিন কাজের পর স্ত্রীর হয়তো কথা বলতে ইচ্ছা করছে না, ও একটু নিজের মতো থাকুক। দুজনের চাওয়া ভিন্ন। এভাবে নিজের প্রত্যাশার কথা না জানিয়ে দিনের পর দিন কাটাতে থাকলে মনের ভেতর ক্ষোভ জমা হতে থাকে।
আবার বাসার বাড়তি বিল নিয়ে রাফি যখন চিন্তিত, সেটিকে পাত্তা না দিয়ে হেসে উড়িয়ে দিলেন নাবিলা। এভাবে অপর পক্ষকে কষ্ট দিতে না চেয়েও কষ্ট দিচ্ছেন তাঁরা। দাম্পত্য কলহ নিয়ে ৪০ বছরের বেশি সময় ধরে গবেষণা করা মার্কিন মনোবিজ্ঞানী জন গটম্যান জানান, ৬৯ শতাংশ বৈবাহিক দ্বন্দ্বের কারণ পারস্পরিক বোঝাপড়ার অভাব।
আরও পড়ুনধনীদের ৮টি অভ্যাস, যা মধ্যবিত্তদের চোখে ধরা পড়ে না১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫২. অর্থনৈতিক হিসাবএকজন বাইরে খেতে ভালোবাসেন, অন্যজন সঞ্চয়ে বিশ্বাসী। আর এতেই বাধে বিপত্তি। এ ছাড়া দুজনেই আয় করলে কে কোন খাতে ব্যয় করবেন, তা নিয়েও ঝগড়া করেন দম্পতিরা। দীর্ঘদিন ধরে দাম্পত্য বিচ্ছেদ নিয়ে পরামর্শ দিচ্ছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী তানজিম আল ইসলাম।
অভিজ্ঞতার আলোকে এই আইনজীবী বলেন, ‘কেউ নিজের শখ পূরণ করতে গিয়ে অন্যের দিকটা ভাবছেন না, কেউ আবার নিজের ইচ্ছা–অনিচ্ছায় ক্রমাগত ছাড় দিয়েই যাচ্ছেন। সংসারে বারবার একপক্ষীয় অর্থনৈতিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে যিনি ছাড় দিচ্ছেন, তাঁর মনে অসন্তুষ্টি তৈরি হয়, যা একসময় বড় ঝগড়ায় রূপ নেয়।’
এ ছাড়া ছোটখাটো অর্থনৈতিক সিদ্ধান্ত নিতে গিয়েও ঝগড়া করেন দম্পতিরা। আমেরিকান সাইকোলজিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের গবেষণা বলছে, টাকাপয়সা নিয়ে ঝগড়া করা দম্পতিদের ৩০ শতাংশই সম্পর্কে খুশি থাকেন না।
৩. সময় না দেওয়াসঙ্গীকে সময় না দিলে দ্বন্দ্ব বাড়ে