সিলেটের পশুর হাটে নজর কাড়ছে ‘বিগ বস’ ও ‘পুষ্পা’
Published: 2nd, June 2025 GMT
সিলেট নগরে আলাদা করে নজর কাড়ছে ‘বিগ বস’ ও ‘পুষ্পা’ নামের দুটি গরু। এবারের কোরবানির ঈদ উপলক্ষে আজ সোমবার নগরের কাজির বাজার পশুর হাটে শাহিওয়াল জাতের গরু দুটিকে আনা হয়।
গরু দুটির মালিক মৌলভীবাজারের কামালপুরের বাসিন্দা ফরিদ আহমদ। আল সাফা অ্যাগ্রো নামের একটি গরুর খামারে ‘বিগ বস’ ও ‘পুষ্পা’কে বড় করেছেন তিনি।
ফরিদ জানান, বিগ বসের ওজন প্রায় ২৫ মণ ও পুষ্পার প্রায় ২২ মণ। এ কারণে হাটটিতে দর্শনার্থী ও ক্রেতাদের নজর কাড়ছে পশুগুলো।
আজ সোমবার দুপুরে কাজির বাজার হাটে দেখা যায়, হালকা লাল ও সাদা রঙের বিগ বস গরুটি শান্ত অবস্থায় খুঁটির সঙ্গে বাঁধা। এর পাশে ছিল কালো রঙের একই প্রজাতির আরও একটি গরু। সেটির নাম পুষ্পা। গরুগুলো হাটে নিয়ে আসার পর থেকে দর্শনার্থী ও ক্রেতারা ভিড় জমাচ্ছিলেন। কেউ কেউ গরুগুলোর দাম জানতে চাচ্ছেন। বিভিন্ন বয়সী মানুষজন গরুর সঙ্গে ছবি ও ভিডিও ধারণে ব্যস্ত সময় পাড় করছিলেন।
ফরিদ বলেন, গত শনিবার রাতে তিনি কাজির বাজার পশুর হাটে কয়েকটি গরু নিয়ে এসেছেন। এর মধ্যে আলাদা করে বিগ বস, পুষ্পা ও সুলতান নামের তিনটি গরু তাঁর কাছে বিশেষ। শখের বশে প্রায় ছয় বছর আগে খামার শুরু করেছিলেন। এখন শখের পাশাপাশি আয়েরও একটি উৎসে পরিণত হয়েছে এটি। তাঁর খামারে শতাধিক গরু রয়েছে। গত কোরবানির ঈদেও অর্ধশতাধিক গরু বিক্রি করেছিলেন। এবারও বেশ কয়েকটি গরু এনেছেন। বাজার ভালো হলে আরও গরু আনবেন।
বিগ বস সম্পর্কে জানতে চাইলে ফরিদ আহমদ বলেন, গরুটি প্রায় এক টন ওজনের। চার বছর ধরে বাছুর অবস্থা থেকে লালন-পালন করছেন তিনি। গরুটি অনেকে দেখে আকৃষ্ট হয়ে দাম জিজ্ঞেস করছেন। তবে তিনি নির্দিষ্ট করে দাম বলছেন না। কেউ কৌতূহলে দাম জানতে চাইলে তিনি কখনো ১৩ লাখ আবার কখনো ১৪ লাখ টাকা বলছেন। মূলত বিগ বস গরুটির দাম কত টাকা ওঠে, সেটি দেখতে চাচ্ছেন। যদি মন মতো দাম হয়, তবেই গরুটিকে বিক্রি করে দেবেন।
ওই খামারি আরও বলেন, বিগ বস গরুটির খাওয়ার পেছনে দৈনিক প্রায় ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা খরচ করতে হয়। খাবার হিসেবে খড়, ভুসিসহ অন্য খাবার দেন।
বিগ বস ও পুষ্পা গরু দুটিকে দেখছিলেন মাছুদীঘির পাড় এলাকার বাসিন্দা কামরুজ্জামান। তিনি বলেন, মূলত বড় গরু দেখে ভালো লেগেছে। তবে এত বড় গরু তিনি নেবেন না। তাই হাটে মাঝারি আকারের গরু খুঁজছেন। এরপরও বড় গরু দেখে দাম জানতে চেয়েছিলেন। বিক্রেতা ১৪ লাখ টাকা দাম চেয়েছেন।
সিলেটে কয়েক দিন ধরে টানা বৃষ্টির কারণে ব্যাপারীরা বাজারে কম আসছেন জানিয়ে কাজির বাজার পশুর হাটের ব্যবস্থাপক শাহাদাত হোসেন বলেন, অনেক ক্রেতাই যোগাযোগ করে আসার কথা জানিয়েছেন। শহরের ভেতরে হওয়ায় কোরবানির দুই দিন আগে বাজার জমজমাট থাকে। বাজারে মাঝারি ও কিছু ছোট গরুর চাহিদা বেশি। বড় গরুগুলোর দাম শোনার পর কেউ কেনার সাহস করতে পারছেন না।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
বিয়ানীবাজারে গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ করলেন বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী ফয়সল আহমদ চৌধুরী
পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনার সঙ্গে আঁতাত করে একটি গোষ্ঠী জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করছে বলে অভিযোগ করেছেন জেলা বিএনপির সদস্য ফয়সল আহমদ চৌধুরী। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিলেট-৬ (গোলাপগঞ্জ-বিয়ানীবাজার) আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী এই নেতা বলেন, বাংলাদেশ একটি সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ জাতীয় নির্বাচনের জন্য উন্মুখ হয়ে আছে। নির্বাচনী উৎসবে মেতে উঠতে সবাই প্রস্তুত।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার দুবাগ ইউনিয়নের খাড়াবড়া বাজারে গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ শেষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথাগুলো বলেন। দুবাগ ইউনিয়ন বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফার পক্ষে জনমত গঠনের লক্ষ্যে এ সভার আয়োজন করা হয়।
আলোচনা সভায় ফয়সল আহমদ চৌধুরী আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়নে আবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘একটি চিহ্নিত গোষ্ঠী দেশকে অস্থিতিশীল করে তুলতে চায়। তাদের লক্ষ্য স্বৈরাচারকে ফিরিয়ে এনে এ দেশকে আবারও ধ্বংসের মুখে ঠেলে দেওয়া। কিন্তু দেশপ্রেমিক জনতা সে ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন হতে দেবে না। বাংলার মাটিতে আগামী ফেব্রুয়ারির শুরুর দিকে জাতীয় নির্বাচন হবেই, ইনশা আল্লাহ।’
জুলাই সনদ বাস্তবায়ন নিয়ে নানা ষড়যন্ত্র চলছে অভিযোগ করে ফয়সল আহমদ চৌধুরী বলেন, দেশের সবচেয়ে বড় দল বিএনপি। কিন্তু বিস্ময়করভাবে বিএনপির সুপারিশ, মতামত, নোট অব ডিসেন্ট এসবকে পাশ কাটিয়ে গেছে ঐকমত্য কমিশন। বিএনপির মতামত, প্রস্তাবকে উপেক্ষা করেছে তারা। এই কমিশন ঐকমত্যের বদলে অনৈক্য কমিশন হয়ে গেছে। ২৫টি রাজনৈতিক দল যে জুলাই সনদে স্বাক্ষর করল, সেই সনদের সঙ্গে কমিশনের সুপারিশের মিল নেই। এগুলো দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ।
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন ইউনিয়ন বিএনপির ত্রাণ ও পুনর্বাসন সম্পাদক নিয়াজ উদ্দিন। জেলা যুবদলের সদস্য এবি কালাম ও উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য শহিদুল ইসলামের যৌথ সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির উপদেষ্টা এম এ মান্নান, বিয়ানীবাজার উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ছরওয়ার হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান, যুগ্ম সম্পাদক মিছবাহ উদ্দিন প্রমুখ।