মায়ের অপরিসীম ভালোবাসা আর অনন্য অবদানের প্রতি সম্মান জানাতে ‘সুপারমম অ্যাওয়ার্ড ২০২৫’ প্রদান করেছে নারীকেন্দ্রিক ফেসবুক প্ল্যাটফর্ম পপ অব কালার।

শনিবার (৩১ মে) পান্থপথে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ১৭ জন নারীকে এই সম্মাননা প্রদান করা হয়। টিংকার’স টি এর সৌজন্যে অনুষ্ঠিত আয়োজনটি হয়ে ওঠে মা-সন্তানদের মিলনমেলা।

এই বছরের আয়োজনে সারাদেশ থেকে নির্বাচিত ১৭ জন মাকে তাদের সন্তানদের মনোনয়নের ভিত্তিতে সম্মানিত করা হয়েছে। কেউ নিজের মাকে নিয়ে লিখেছেন, কেউবা লিখেছেন মা হিসেবে নিজের অনুভূতি। মা–সন্তানের সম্পর্ক, সংগ্রামের গল্প, ত্যাগ ও ভালোবাসার উজ্জ্বল সাক্ষ্য বহন করে এমন অসংখ্য আবেদন থেকে বাছাই করা হয়েছে নির্বাচিতদের।

এবার সুপারমম অ্যাওয়ার্ড জয়ী ১৭ মা হলেন- জান্নাতুল ফেরদৌস, মোনিয়া সুলতানা, গোলাম সাদিয়া আফরিন পিলু, কাজী নওশীণ লায়লা, তানিয়া আহমেদ বেলী, নিলুফার হক, হাসিনা বিনতে হাবিব, শামসুন নাহার, আনিসা ফাতেমা, শিরিন আখতার, ওয়াসেকা তাসনিম, শাকিলা বেগম, নার্গিস সুলতানা, নাজমুন নাহার, তাজকেরা বেগম পারুল, তাশরীবা তাওসিক এবং নাহার। 

এ বিষয়ে পপ অব কালার এর কর্ণধার টিংকার জান্নাত মিম বলেন, ‘প্রতিটি মা-ই জীবনের প্রতিটি মুহূর্তে তার সন্তানদের জন্য নিঃস্বার্থভাবে ভালোবাসা, ত্যাগ, সংগ্রাম আর আত্মদানের প্রতীক। সেই অপরিসীম ভালোবাসা ও অনন্য অবদানের প্রতি সম্মান জানাতে আমাদের এই আয়োজন। আমরা একটি অনন্য, আবেগঘন ও বাস্তবভিত্তিক স্বীকৃতি প্রদানের উপলক্ষ্য হতে চেয়েছি।

‘এই আয়োজনের মাধ্যমে আমরা সমাজকে মনে করিয়ে দিতে চাই—প্রত্যেকটি মা-ই একজন ‘সুপারমম’। এ সম্মাননা ছিল শুধু তাদের জন্য, যারা দিনের পর দিন নিঃশব্দে নিজেদের জীবনের প্রতিটি অধ্যায় সন্তানদের জন্য উৎসর্গ করেছেন’ যোগ করেন তিনি। 

অনুষ্ঠানে আগত অতিথিরা নিজেদের জীবনের গল্প বলেন। না পাওয়া, কষ্টের কিংবা মানসিক যন্ত্রণার অনুভূতিগুলো ভাগ করে নেন সবার সঙ্গে। ফলে পুরো সময়জুড়ে এক আবেগঘন পরিবেশ সৃষ্টি হয়। অনুষ্ঠানে মায়েদের সন্মাননা প্রদান করা হয় ও শুভেচ্ছা উপহার।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: অন ষ ঠ

এছাড়াও পড়ুন:

২২ অনাথ কাশ্মীরি শিশুর পড়াশোনার দায়িত্ব নিলেন রাহুল গান্ধী

অপারেশন সিঁদুর চলাকালীন পাকিস্তানি গোলায় ভারত–নিয়ন্ত্রিত জম্মু–কাশ্মীরে যাঁরা নিহত হয়েছিলেন, তাঁদের পরিবারের ২২ অনাথ শিশুর লেখাপড়ার পুরো দায়িত্ব নিয়েছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। ওই শিশুরা পুঞ্চ জেলার সীমান্তবর্তী এলাকার বাসিন্দা।

স্কুলের গণ্ডি পেরিয়ে কলেজে উঠে স্নাতক হওয়া পর্যন্ত ওই শিশুদের পড়াশোনার সব খরচ রাহুল গান্ধী বহন করবেন। সেই খরচের প্রথম কিস্তির টাকা বুধবার ওই পড়ুয়াদের স্কুলে পৌঁছে যাবে বলে জানিয়েছেন জম্মু–কাশ্মীরের কংগ্রেস সভাপতি তারিক হামিদ কাররা।

পেহেলগামে গত ২২ এপ্রিল পর্যটকদের ওপর সশস্ত্র হামলা চালিয়েছিল কয়েকজন জঙ্গি। সেই হামলায় নিহত হয়েছিলেন মোট ২৬ জন পর্যটক। প্রত্যাঘাতের জন্য ভারত শুরু করে অপারেশন সিঁদুর। চার দিনের সেই লড়াইয়ের সময় জম্মুর সীমান্তবর্তী এলাকায় প্রবল গোলাবর্ষণ করে পাকিস্তান। সেই হামলায় মারা গিয়েছিলেন ২৭ জন গ্রামবাসী। আহত হয়েছিলেন ৭০ জনের বেশি। যাঁরা নিহত হয়েছিলেন, ওই ২২ শিশু ওইসব পরিবারেরই সন্তান। তাদের কেউ বাবা, কেউ মা, কেউ–বা দুজনকেই হারিয়েছে। কারও পরিবারের একমাত্র কর্মক্ষম ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।

রাহুল গত মে মাসে ওইসব এলাকায় গিয়েছিলেন। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারদের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। অনাথ শিশুদের স্কুলেও গিয়েছিলেন। ওই সময় তিনি দলীয় নেতাদের নির্দেশ দিয়েছিলেন অনাথ শিশুদের তালিকা তৈরি করতে। সরকারি নথির সঙ্গে সেই নাম মিলিয়ে ২২ জনের চূড়ান্ত তালিকা প্রস্তুত হয়। পুঞ্চ জেলা সফরের সময় রাহুল তাঁর ইচ্ছার কথা জানিয়ে বলেছিলেন, ওই শিশুদের স্নাতক স্তর পর্যন্ত পড়াশোনার সব খরচ তিনি দেবেন।

পাকিস্তানের গোলার আঘাতে মারা গিয়েছিলেন ১২ বছরের দুই যমজ ভাই–বোন জাইন আলি ও উরবা ফতিমা। রাহুল তাঁদের স্কুলে গিয়েছিলেন। সেই স্কুলের পড়ুয়াদের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। তাঁদের বলেছিলেন, তোমরা তোমাদের বন্ধুদের হারিয়েছ। সে জন্য তোমাদের মন খারাপ। ওই মৃত্যু আমাকেও দুঃখ দিয়েছে। তোমাদের দুঃখ আমি বুঝি। কিন্তু তোমাদের জন্য আমি গর্বিত। তোমরা ভয়কে জয় করেছ। রাহুল ওই শিশুদের বলেছিলেন, ভয়কে জয় করতে হবে। সুদিন আসবে। সব আবার স্বাভাবিক হবে।

ওই ২২ জনের জন্য বছরে কত খরচ হবে প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব তা জানাননি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ