ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার বুধন্তি ইউনিয়নে পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে উপজেলার বুধন্তি ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সেই মিজানকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে জেলা যুবদল। 

সোমবার (২ জুন) বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার সভাপতি শামীম মোল্লা ও সাধারণ সম্পাদক ইয়াছিন মাহমুদের নির্দেশক্রমে এই বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

জেলা যুবদল জানিয়েছে, সংগঠনের শৃঙ্খলা বিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার দায়ে মিজানকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক মো.

আল–আমিন স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানো হয়।

উল্লেখ্য, গত ১৫ মে বৃহস্পতিবার রাতে বুধন্তি বাসস্ট্যান্ড এলাকার ইউনুস মিয়ার স্টেশনারি দোকানের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, ইসলামপুর ফাঁড়ির এসআই সুমন চন্দ্র দাস অভিযান চালিয়ে ওই দোকান থেকে বুধন্তি ইউনিয়ন যুবলীগের সহ–সাধারণ সম্পাদক সোহাগ মেম্বারকে আটক করার চেষ্টা করেন। 

সেই সময় যুবদল নেতা মিজান হঠাৎ উপস্থিত হয়ে এসআই সুমনকে ধাক্কা দিয়ে দূরে সরিয়ে সোহাগ মেম্বারকে পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দেন। এ ঘটনায় ১৭ মে ‘যুবলীগ নেতাকে পালাতে সহায়তা, যুবদল নেতার বিরুদ্ধে মামলা’ এই শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করে রাইজিংবিডি।

ঢাকা/পলাশ/এস

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব র হ মণব ড য বদল

এছাড়াও পড়ুন:

মুক্তিযুদ্ধের চেতনা রক্ষার শপথ ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়নের গেরিলা যোদ্ধাদের

বিজয়ের মাস ঢাকায় এক হলেন একাত্তরে ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়নের যৌথ গেরিলা বাহিনীর যোদ্ধারা; তাঁরা শপথ নিলেন মুক্তিযুদ্ধের চেতনা রক্ষার।

আজ শনিবার ঢাকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গেরিলা যোদ্ধাদের এই মিলনমেলায় এই বাহিনীর জীবিত সদস্যদের পাশাপাশি শহীদ পরিবারের সদস্যরা অংশ নেন। দিনভর এই আয়োজন করে ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়ন বিশেষ গেরিলা বাহিনী সমন্বয় কমিটি।

একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধে আলাদা গেরিলা বাহিনী গঠন করে অংশ নিয়েছিলেন ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়নের সদস্যরা। কয়েক হাজার গেরিলা যোদ্ধার এই বাহিনীর নেতৃত্বে ছিলেন কমিউনিস্ট পার্টির তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ফরহাদ। কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের বেতিয়ারার যুদ্ধে এই বাহিনীর সদস্যদের আত্মদান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে আলোচিত ঘটনা।

স্বাধীনতার পর এই গেরিলা বাহিনীর সদস্যরা মোহাম্মদ ফরহাদের নেতৃত্বে অস্ত্র সমর্পণ করেছিলেন। দেড় যুগ আগে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর মুক্তিযোদ্ধাদের যে তালিকা করেছিল, তাতে এই বাহিনীর সদস্যদের রাখা হয়নি। পরে উচ্চ আদালতের নির্দেশে ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়নের গেরিলা বাহিনীর সদস্যদের মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

শহীদ মিনারে মিলনমেলার ঘোষণাপত্র পাঠ করেন কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাবেক সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম। তিনি এই গেরিলা বাহিনীর সদস্য ছিলেন, স্বাধীনতার পর অনুষ্ঠিত প্রথম ডাকসু নির্বাচনে ভিপি হয়েছিলেন তিনি।

ঢাকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আজ শনিবার একাত্তরে ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়নের যৌথ গেরিলা বাহিনীর মিলনমেলায় সিপিবির সাবেক সভাপতি, বীর মুক্তিযোদ্ধা মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম

সম্পর্কিত নিবন্ধ