সালমান ও তার ছেলেসহ ৩৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা
Published: 3rd, June 2025 GMT
প্রতারণা, জালিয়াতি করে আইএফআইসি ব্যাংক থেকে ঋণের নামে ১ হাজার ১৭৩ কোটি ৭৮ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে বেক্সিমকো গ্রুপের কর্ণধার সালমান এফ রহমান ও তাঁর ছেলে আহমেদ শায়ান এফ রহমানসহ ৩৯ জনের বিরুদ্ধে দুটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
মঙ্গলবার দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. মুস্তাফিজুর রহমান ও মো.
সালমান এফ রহমান সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ-বিষয়ক উপদেষ্টা ও এমপি ছিলেন। তিনি বর্তমানে কারাগারে। তাঁর ছেলে যুক্তরাজ্যপ্রবাসী।
পরস্পর যোগসাজশ, প্রতারণা, ব্যাংকিং আইন উপেক্ষা করে আইএফআইসি ব্যাংকের ঢাকার প্রধান শাখার গ্রাহক গ্রোয়িং কন্সট্রাকশন অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড নামে অস্তিত্বহীন ব্যবসা, নামসর্বস্ব, ভুয়া, কাগুজে প্রতিষ্ঠানের জন্য ঋণের নামে ৬৭৭ কোটি ৭৫ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে একটি মামলা করা হয়।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন– গ্রোয়িং কন্সট্রাকশন অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলমগীর আলম চৌধুরী, কোম্পানির পরিচালক সৈয়দা মুনিমা হোসেন, আইএফআইসি ব্যাংকের সাবেক পরিচালক সুধাংশু শেখর বিশ্বাস, শাহ মনজুরুল হক, এআরএম নাজমুস সাকিব, কামরুন নাহার আহমেদ, গোলাম মোস্তফা, মো. জাফর ইকবাল, সাবেক ডিএমডি সৈয়দ মনসুর মোস্তফা, মো. রফিকুল ইসলাম, মো. নুরুল হাসনাত, মনিতুর রহমান, সাবেক এমডি মো. শাহ আলম সারোয়ার, ব্যাংকের হেড অব ট্রেজারি মোহাম্মদ শাহিন উদ্দিন, হেড অব ক্রেডিট অ্যাডমিনিস্ট্রেশন সৈয়দ হাসানুজ্জামান, সাবেক হেড অব অপারেশন হেলাল আহমেদ, ডিএমডি, সিসিও অ্যান্ড সিআরও ইকবাল পারেওজ চৌধুরী, সাবেক চিফ ম্যানেজার হোসাইন শাহ আলী, অ্যাক্টি ইনচার্জ তাছলিমা আক্তার ও সাবেক রিলেশনশিপ ম্যানেজার সরদার মো. মমিনুল ইসলাম।
অন্য মামলায় অভিযোগ করা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশ, প্রতারণা, জালিয়াতির মাধ্যমে জাল সাব-কন্ট্রাক্ট চুক্তি ও অপ্রতুল জামানতের বিপরীতে অস্তিত্বহীন, ভুয়া কোম্পানির নামে ঋণের কথা উল্লেখ করে ব্যাংকের ৪৯৬ কোটি ৩ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন– আইএফআইসি ব্যাংকের সাবেক পরিচালক মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, সার্ভ কন্সট্রাকশন অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের কথিত পরিচালক সারওয়ার সুলতানা মনামী, একই কোম্পানির কথিত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মনিরুল ইসলাম, আইএফআইসি ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ শাহ আলম সারোয়ার, ব্যাংকের সাবেক পরিচালক রাবেয়া জামালী, এআরএম নাজমুস সাকিব, কামরুন নাহার আহমেদ, মো. জাফর ইকবাল, সাবেক চিফ ম্যানেজার মো. রফিকুল ইসলাম, সাবেক ডিএমডি শাহ মো. মঈনউদ্দিন, মো. নুরুল হাসনাত, মো. মনিতুর রহমান, হেড অব ট্রেজারি মোহাম্মদ শাহিন উদ্দিন, সাবেক রিলেশনশিপ ম্যানেজার আবদুর রহমান ও বেক্সিমকো গ্রুপের ডেপুটি ম্যানেজার (করপোরেট ফাইন্যান্স) কৌশিক কান্তি পণ্ডিত।
গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর ব্যাংকিং খাতে অনিয়ম, দুর্নীতি ও লুটপাটের অভিযোগে সালমান এফ রহমানের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। সালমান এফ রহমান ও অন্যদের বিরুদ্ধে শেয়ারবাজারে জালিয়াতি, প্লেসমেন্ট শেয়ার কারসাজি ও প্রতারণার মাধ্যমে শেয়ারহোল্ডারদের কয়েক হাজার কোটি টাকা লোপাটের অভিযোগ রয়েছে। প্রভাব খাটিয়ে দেশের সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন ব্যাংক থেকে প্রায় ৩৬ হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়ে আত্মসাৎসহ বিপুল অর্থ বিদেশে পাচারের অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।
নূর মোহাম্মদ ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা
অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সাবেক এমপি ও পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) নূর মোহাম্মদ ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক আবু মোহাম্মদ আনোয়ারুল মাসুদ কমিশনের ঢাকা-১ কার্যালয়ে মামলা দুটি করেন।
এজাহারে বলা হয়, ‘নূর মোহাম্মদ পাবলিক সার্ভেন্ট হিসেবে দায়িত্বে থেকে অপরাধমূলক অসদাচরণ ও ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে অবৈধ উপায়ে অসৎ উদ্দেশ্যে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ ১ কোটি ১৬ লাখ টাকার সম্পদ অর্জন করেছেন।’ এতে বলা হয়, তাঁর নিজ ও স্বার্থসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের নামে ১৭টি ব্যাংক হিসাবে সন্দেহজনক ৮ কোটি ৪৩ লাখ টাকা জমা ও ৭ কোটি ৯৯ লাখ টাকা উত্তোলনসহ মোট ১৬ কোটি ৪২ লাখ টাকার অস্বাভাবিক লেনদেন করা হয়।
অভিযোগ করা হয়, নূর মোহাম্মদের স্ত্রী ইসমত আরা বেগম একে অপরের সহযোগিতায় অসৎ উদ্দেশ্যে ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে অসাধু উপায়ে ১ কোটি ১৪ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন। তাঁর নামের ২১টি ব্যাংক হিসাবে সন্দেহজনক ১০ কোটি ১ লাখ টাকা জমা ও ৮ কোটি ৯৩ লাখ টাকা উত্তোলন করে মোট ১৮ কোটি ৯৫ লাখ টাকার অস্বাভাবিক লেনদেন করা হয়।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ন র ম হ ম মদ র রহম ন ল ইসল ম রহম ন ও হ ড অব আহম দ সরক র ব যবস
এছাড়াও পড়ুন:
সালমান ও তার ছেলেসহ ৩৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা
প্রতারণা, জালিয়াতি করে আইএফআইসি ব্যাংক থেকে ঋণের নামে ১ হাজার ১৭৩ কোটি ৭৮ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে বেক্সিমকো গ্রুপের কর্ণধার সালমান এফ রহমান ও তাঁর ছেলে আহমেদ শায়ান এফ রহমানসহ ৩৯ জনের বিরুদ্ধে দুটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
মঙ্গলবার দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. মুস্তাফিজুর রহমান ও মো. ইয়াছির আরাফাত বাদী হয়ে কমিশনের ঢাকা-১ কার্যালয়ে মামলা দুটি করেন। সাংবাদিকদের এসব মামলার তথ্য জানিয়েছেন দুদক মহাপরিচালক ও মুখপাত্র মো. আক্তার হোসেন।
সালমান এফ রহমান সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ-বিষয়ক উপদেষ্টা ও এমপি ছিলেন। তিনি বর্তমানে কারাগারে। তাঁর ছেলে যুক্তরাজ্যপ্রবাসী।
পরস্পর যোগসাজশ, প্রতারণা, ব্যাংকিং আইন উপেক্ষা করে আইএফআইসি ব্যাংকের ঢাকার প্রধান শাখার গ্রাহক গ্রোয়িং কন্সট্রাকশন অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড নামে অস্তিত্বহীন ব্যবসা, নামসর্বস্ব, ভুয়া, কাগুজে প্রতিষ্ঠানের জন্য ঋণের নামে ৬৭৭ কোটি ৭৫ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে একটি মামলা করা হয়।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন– গ্রোয়িং কন্সট্রাকশন অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলমগীর আলম চৌধুরী, কোম্পানির পরিচালক সৈয়দা মুনিমা হোসেন, আইএফআইসি ব্যাংকের সাবেক পরিচালক সুধাংশু শেখর বিশ্বাস, শাহ মনজুরুল হক, এআরএম নাজমুস সাকিব, কামরুন নাহার আহমেদ, গোলাম মোস্তফা, মো. জাফর ইকবাল, সাবেক ডিএমডি সৈয়দ মনসুর মোস্তফা, মো. রফিকুল ইসলাম, মো. নুরুল হাসনাত, মনিতুর রহমান, সাবেক এমডি মো. শাহ আলম সারোয়ার, ব্যাংকের হেড অব ট্রেজারি মোহাম্মদ শাহিন উদ্দিন, হেড অব ক্রেডিট অ্যাডমিনিস্ট্রেশন সৈয়দ হাসানুজ্জামান, সাবেক হেড অব অপারেশন হেলাল আহমেদ, ডিএমডি, সিসিও অ্যান্ড সিআরও ইকবাল পারেওজ চৌধুরী, সাবেক চিফ ম্যানেজার হোসাইন শাহ আলী, অ্যাক্টি ইনচার্জ তাছলিমা আক্তার ও সাবেক রিলেশনশিপ ম্যানেজার সরদার মো. মমিনুল ইসলাম।
অন্য মামলায় অভিযোগ করা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশ, প্রতারণা, জালিয়াতির মাধ্যমে জাল সাব-কন্ট্রাক্ট চুক্তি ও অপ্রতুল জামানতের বিপরীতে অস্তিত্বহীন, ভুয়া কোম্পানির নামে ঋণের কথা উল্লেখ করে ব্যাংকের ৪৯৬ কোটি ৩ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন– আইএফআইসি ব্যাংকের সাবেক পরিচালক মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, সার্ভ কন্সট্রাকশন অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের কথিত পরিচালক সারওয়ার সুলতানা মনামী, একই কোম্পানির কথিত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মনিরুল ইসলাম, আইএফআইসি ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ শাহ আলম সারোয়ার, ব্যাংকের সাবেক পরিচালক রাবেয়া জামালী, এআরএম নাজমুস সাকিব, কামরুন নাহার আহমেদ, মো. জাফর ইকবাল, সাবেক চিফ ম্যানেজার মো. রফিকুল ইসলাম, সাবেক ডিএমডি শাহ মো. মঈনউদ্দিন, মো. নুরুল হাসনাত, মো. মনিতুর রহমান, হেড অব ট্রেজারি মোহাম্মদ শাহিন উদ্দিন, সাবেক রিলেশনশিপ ম্যানেজার আবদুর রহমান ও বেক্সিমকো গ্রুপের ডেপুটি ম্যানেজার (করপোরেট ফাইন্যান্স) কৌশিক কান্তি পণ্ডিত।
গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর ব্যাংকিং খাতে অনিয়ম, দুর্নীতি ও লুটপাটের অভিযোগে সালমান এফ রহমানের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। সালমান এফ রহমান ও অন্যদের বিরুদ্ধে শেয়ারবাজারে জালিয়াতি, প্লেসমেন্ট শেয়ার কারসাজি ও প্রতারণার মাধ্যমে শেয়ারহোল্ডারদের কয়েক হাজার কোটি টাকা লোপাটের অভিযোগ রয়েছে। প্রভাব খাটিয়ে দেশের সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন ব্যাংক থেকে প্রায় ৩৬ হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়ে আত্মসাৎসহ বিপুল অর্থ বিদেশে পাচারের অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।
নূর মোহাম্মদ ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা
অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সাবেক এমপি ও পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) নূর মোহাম্মদ ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক আবু মোহাম্মদ আনোয়ারুল মাসুদ কমিশনের ঢাকা-১ কার্যালয়ে মামলা দুটি করেন।
এজাহারে বলা হয়, ‘নূর মোহাম্মদ পাবলিক সার্ভেন্ট হিসেবে দায়িত্বে থেকে অপরাধমূলক অসদাচরণ ও ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে অবৈধ উপায়ে অসৎ উদ্দেশ্যে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ ১ কোটি ১৬ লাখ টাকার সম্পদ অর্জন করেছেন।’ এতে বলা হয়, তাঁর নিজ ও স্বার্থসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের নামে ১৭টি ব্যাংক হিসাবে সন্দেহজনক ৮ কোটি ৪৩ লাখ টাকা জমা ও ৭ কোটি ৯৯ লাখ টাকা উত্তোলনসহ মোট ১৬ কোটি ৪২ লাখ টাকার অস্বাভাবিক লেনদেন করা হয়।
অভিযোগ করা হয়, নূর মোহাম্মদের স্ত্রী ইসমত আরা বেগম একে অপরের সহযোগিতায় অসৎ উদ্দেশ্যে ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে অসাধু উপায়ে ১ কোটি ১৪ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন। তাঁর নামের ২১টি ব্যাংক হিসাবে সন্দেহজনক ১০ কোটি ১ লাখ টাকা জমা ও ৮ কোটি ৯৩ লাখ টাকা উত্তোলন করে মোট ১৮ কোটি ৯৫ লাখ টাকার অস্বাভাবিক লেনদেন করা হয়।