গাজীপুরে ঢাকা-টাঙ্গাইল ও ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে যাত্রীর চাপ বেড়েছে
Published: 4th, June 2025 GMT
প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদ উদ্যাপন করতে রাজধানী ছাড়তে শুরু করেছেন মানুষ। আজ বুধবার সকাল থেকেই গাজীপুরের চন্দ্রায় ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে ও চান্দনা চৌরাস্তায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক দিয়ে বাড়িমুখী মানুষের চাপ বাড়তে শুরু করে। তবে এখন পর্যন্ত কোথাও যানজটের খবর পাওয়া যায়নি।
মহাসড়কে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা জানিয়েছেন, সকাল থেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। গাজীপুরে ২ হাজার ১৭৬টি নিবন্ধিত কলকারখানার মধ্যে আজ ৪০ শতাংশ কারখানা ছুটি হওয়ায় কর্মীরা বাড়ির পথে রওনা হয়েছেন। বিকেলের দিকে যাত্রীদের চাপ আরও বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
পরিবহনমালিক ও কারখানা সূত্রে জানা গেছে, তিন ধাপে পোশাক কারখানায় ছুটি দেওয়া হচ্ছে। মঙ্গলবার ছুটি পেয়েছে ১০ শতাংশ কারখানা, বুধবার ছুটিতে গেছে ৪০ শতাংশ এবং বৃহস্পতিবার আরও ৫০ শতাংশ কারখানায় ছুটি শুরু হবে। ফলে আজ বিকেল থেকেই সড়কে যাত্রীদের চাপ কয়েক গুণ বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
চন্দ্রা ত্রিমোড়ে দেখা গেছে, যাত্রীদের ভিড় আগের তুলনায় বেড়েছে। অনেকেই হাতে ব্যাগ বা মাথায় বস্তা নিয়ে অপেক্ষায় আছেন পছন্দের যানবাহনের জন্য। পরিবহনগুলোতে কিছুটা বেশি ভাড়া নেওয়া হলেও যাত্রীরা দর-কষাকষি করে বাড়ির পথে রওনা হচ্ছেন।
একতা পরিবহনের চালকের সহকারী মো.
বগুড়াগামী যাত্রী কাওসার আহমেদ বলেন, ‘১০ দিনের ছুটি পেয়েছি। নাইট শিফট করে রওনা হয়েছি। রাস্তার পরিবেশ দেখে মনে হচ্ছে আরামে বাড়ি পৌঁছাতে পারব।’
সালনা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শওকাতুল আলম বলেন, যানজট যেন না হয়, সে জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। সকাল থেকে কিছুটা চাপ থাকলেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ক্ষমা পেয়ে কাজে যোগ দিলেন চিকিৎসক ধনদেব চন্দ্র বর্মণ
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শনে আসা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) মো. আবু জাফরের সঙ্গে তর্কে জড়ানো চিকিৎসক ধনদেব চন্দ্র বর্মণকে ক্ষমা করা হয়েছে। শোকজের জবাব সন্তোষজনক হওয়ায় তাঁকে ক্ষমা করে আগের পদ আবাসিক সার্জন (ক্যাজুয়ালটি) পদে বহাল করা হয়েছে। ইতিমধ্যে তিনি কর্মস্থলে যোগ দিয়েছেন।
এ বিষয়ে আজ বৃহস্পতিবার সকালে মুঠোফোনে ধনদেব চন্দ্র বর্মণ বলেন, ‘কর্তৃপক্ষ আমার জবাবে সন্তুষ্ট হয়ে পূর্বের পদে বহাল করেছেন। আমি কাজে যোগ দিয়েছি।’
গতকাল বুধবার ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল গোলাম ফেরদৌস স্বাক্ষরিত একটি পত্র জারি করা হয়। এতে বলা হয়েছে, ‘৬ ডিসেম্বর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শনকালে হাসপাতালের আবাসিক সার্জন (ক্যাজুয়ালটি) ও সহকারী অধ্যাপক (সার্জারি) ইনসিটু, ধনদেব চন্দ্র বর্মণকে মহাপরিচালকের সঙ্গে ঔদ্ধত্যপূর্ণ ও অসৌজন্যমূলক আচরণের জন্য কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করা হয় এবং সেই সঙ্গে ক্যাজুয়ালটি ওটি ইনচার্জের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়। তিনি তাঁর অনাকাঙ্ক্ষিত আচরণের কারণে ক্ষমা চেয়ে এবং ভবিষ্যতে এরূপ অনাকাঙ্ক্ষিত আচরণ করবেন না বলে অঙ্গীকার করে যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে লিখিত জবাব দাখিল করেন। পরবর্তী সময়ে তাঁর দাখিলকৃত জবাব স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে প্রেরণ করা হয়।’
চিঠিতে আরও বলা হয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মহোদয় বরাবর প্রেরিত প্রতিবেদন সন্তোষজনক হওয়ায় মহাপরিচালকের উদারতা ও মহানুভবতায় ধনদেব চন্দ্র বর্মণকে ক্ষমা প্রদর্শন করেন এবং তাঁকে পূর্বের কর্মস্থল ক্যাজুয়ালটি ওটি ইনচার্জ পদে পুনর্বহাল রাখার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন। সে মোতাবেক তাঁকে ক্যাজুয়ালটি ওটি ইনচার্জের দায়িত্বে পুনর্বহাল করা হলো। এই আদেশ পত্র জারির তারিখ থেকে কার্যকর হবে।’
আরও পড়ুনস্বাস্থ্যের ডিজির সঙ্গে তর্কে জড়ালেন চিকিৎসক, বললেন ‘আমাকে সাসপেন্ড করেন, নো প্রবলেম’০৬ ডিসেম্বর ২০২৫৬ ডিসেম্বর ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শন করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) মো. আবু জাফর। এ সময় হাসপাতালের ক্যাজুয়ালটি অপারেশন থিয়েটার পরিদর্শনে গিয়ে ডিজি কক্ষের ভেতরে টেবিল থাকার কারণ জানতে চান চিকিৎসকদের কাছে। এ সময় জরুরি বিভাগের ক্যাজুয়ালটি ইনচার্জ ধনদেব চন্দ্র বর্মণ তাঁর সঙ্গে তর্কে জড়ান।