২০২৭ সাল থেকে মাধ্যমিকে নতুন শিক্ষাক্রম: শিক্ষা উপদেষ্টা
Published: 4th, June 2025 GMT
২০২৭ সাল থেকে মাধ্যমিকে নতুন শিক্ষাক্রম চালু করতে যাচ্ছে সরকার। প্রথম বছর ষষ্ঠ শ্রেণিতে তা চালু করা হবে। এরপর পর্যায়ক্রমে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত নতুন বা পরিমার্জিত শিক্ষাক্রম চালু করা হবে।
আজ বুধবার বিকেলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানিয়েছেন শিক্ষা উপদেষ্টা সি আর আবরার। এ সময় উপস্থিত ছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব সিদ্দিক জোবায়ের এবং কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব খ ম কবিরুল ইসলাম।
সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষা উপদেষ্টা সি আর আবরার বলেন, ‘আমরা যদি নতুন স্বপ্ন দেখি, যদি নতুন পরিকল্পনা করি, সেখানে প্রযুক্তির বিষয় থাকবে, অন্তর্ভুক্তির বিষয় থাকবে; সেখানে দায়, দরদ, ইনসাফ যে শব্দগুলোই ব্যবহার করতে চান না কেন, .
২০১২ সালের শিক্ষাক্রম বিশেষ পরিস্থিতিতে পুনর্বহাল করা হয়েছিল উল্লেখ করে শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, আগামী বছরও সেটা থাকবে। তবে নিজের দায়িত্বের মেয়াদকালে মাধ্যমিকের শিক্ষাক্রমের ভিত করে যেতে পারবেন বলে মনে করছেন।
এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব সিদ্দিক জোবায়ের বলেন, ২০২৭ সালে যাতে ষষ্ঠ শ্রেণি নতুন শিক্ষাক্রমের আওতায় আসে, সে বিষয়ে কাজ করা হচ্ছে। তাঁরা মনে করছেন একসঙ্গে ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষাক্রম পরিবর্তন করা সুচিন্তিত নয়। দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত ক্রমান্বয়ে নতুন শিক্ষাক্রমের আওতায় যাবেন। তাঁরা ২০২৭ সালের জন্য শুরু করে যাবেন।
এনসিটিবি সূত্রে জানা গেছে, পরিমার্জিত শিক্ষাক্রমের বিষয়ে তারা প্রাথমিক পর্যায়ের কিছু কাজ শুরু করছে। সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষাক্রম নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন শিক্ষা উপদেষ্টা সি আর আবরার। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আগামী ১ জুলাই থেকে কলেজ পর্যায়ে শিক্ষকদের বদলির কাজ অনলাইনে শুরু করা হবে। একই আদলে কয়েক মাসের মধ্যে বিদ্যালয় পর্যায়েও তা চালু করা হবে।
বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের অবসর ও কল্যাণ-সুবিধার জন্য সরকার ২ হাজার কোটি টাকার বন্ড ও ২০০ কোটি টাকা নগদ বরাদ্দ করেছে বলে জানান শিক্ষা উপদেষ্টা।
গত বছর পর্যন্ত প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয়, ষষ্ঠ, সপ্তম, অষ্টম ও নবম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী শিক্ষা কার্যক্রম চলেছে। পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী এ বছর চতুর্থ, পঞ্চম ও দশম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম চালুর মধ্য দিয়ে মাধ্যমিক পর্যন্ত সব শ্রেণিতেই তা চালুর কথা ছিল; কিন্তু জুলাই অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাক্রম বাতিল হয়ে যায়। তার পরিবর্তে ২০১২ সালের শিক্ষাক্রম পুনর্বহাল করা হয়েছে। তবে প্রাথমিকে কার্যত নতুন শিক্ষাক্রমই বহাল রাখা হয়েছে। আগামী বছরের নতুন পাঠ্যবই তার আলোকেই দেওয়া হবে। ইতিমধ্যে বিদ্যমান পাঠ্যবই পরিমার্জনের কাজও প্রায় শেষ করেছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: শ ক ষ উপদ ষ ট ২০২৭ স ল উপদ ষ ট পর য য় সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
সকালের অ্যালার্ম, না ফোনভীতি? জেন–জিরা কর্মজীবনের চ্যালেঞ্জ জয় করবেন যেভাবে
যদি আপনি একজন মিলেনিয়াল হন, তাহলে হয়তো অফিসের ফোন ধরা নিয়ে দ্বিতীয়বার ভাববেন না। কিন্তু জেনারেশন জেড (জেন জেড)–এর কাছে কর্মক্ষেত্রের এই সাধারণ কাজটিই উদ্বেগের বিশাল কারণ। এই সপ্তাহে প্রকাশিত একটি গবেষণার তথ্য অনুসারে, ১৯৯৭ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে জন্ম নেওয়া কর্মজীবীরা যে বিষয়গুলো নিয়ে আতঙ্কিত, সেগুলোর মধ্যে রয়েছে—খুব সকালে ওঠা, বয়স্ক সহকর্মীদের সঙ্গে কাজ করা কিংবা কর্মক্ষেত্রে সাধারণ আলাপচারিতায় নিজেকে যুক্ত করা।
ট্রিনিটি কলেজ অব লন্ডনের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত এ গবেষণায় মতামত দেন ১ হাজার ৫০০ জনের বেশি মানুষ। যুক্তরাজ্যজুড়ে ১৬ থেকে ২৯ বছর বয়সীরা এই জরিপে অংশ নেন। এতে দেখা যায়, তরুণদের ৩৮ শতাংশ কর্মক্ষেত্রে ছোটখাটো আলাপচারিতায় ভয় পান। প্রায় ৬০ শতাংশ বলেছেন, বয়স্ক সহকর্মীদের সঙ্গে কাজ করতে তাঁদের সমস্যা হয়, আর ৩০ শতাংশ তরুণ ফোন ধরতে ভয় পান।
তবে এসব কর্ম–আতঙ্ক কাটিয়ে ওঠা সম্ভব। দেশি–বিদেশি বিশেষজ্ঞরা জেনারেশন জেডের এই উদ্বেগগুলো দূর করার জন্য দিয়েছেন কিছু সহজ পরামর্শ—
গবেষণার তথ্য অনুসারে, ১৯৯৭ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে জন্ম নেওয়া কর্মজীবীরা যে বিষয়গুলো নিয়ে আতঙ্কিত, সেগুলোর মধ্যে রয়েছে—খুব সকালে ওঠা, বয়স্ক সহকর্মীদের সঙ্গে কাজ করা কিংবা কর্মক্ষেত্রে সাধারণ আলাপচারিতায় নিজেকে যুক্ত করা।