জলাবদ্ধতাসহ রাস্তাঘাটের সমস্যা সমাধানে ডিসি এবং ইউএনওর কাছে আবেদন
Published: 4th, June 2025 GMT
সদর উপজেলার ফতুল্লা ও সিদ্ধিরগঞ্জের বিভিন্ন এলাকার জলাবদ্ধতা ও রাস্তা ঘাটের সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞার কাছে আবেদন করা হয়েছে।
বুধবার (৪ জুন) দুপুরে ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ উন্নয়ন ফোরামের নেতৃবৃন্দ জেলা প্রশাসকের সাথে সরাসরি সাক্ষাৎ করে এই আবেদন করেন।
এসময় ফতুল্লা ও সিদ্ধিরগঞ্জের বিভিন্ন এলাকার জলাবদ্ধতা ও রাস্তা ঘাটের উন্নয়নের বিভিন্ন সমস্যা ও সমাধান সম্বলিত একটি আবেদন জমা দেয়া হয়। একই সাথে ডুকুমেন্ট আকারে ভিডিও ফুটেজ সহ দেয়া হয়।
একই সাথে জেলা প্রশাসকের সাথে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলাপ আলোচনা করা হয়। এর আগে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাফর সাদিক চৌধুরীর সাথে সাক্ষাৎ করেন।
ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ উন্নয়ন ফোরামের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আব্দুল জব্বার বলেন, ফতুল্লার এলাকার মানুষজন সবসময় জলাবদ্ধ থাকে। এ বিষয়ে আমরা জেলা প্রশাসক এবং উপজেলা নির্বাহী অভিসারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি।
পরবর্তীতে এলজিআরডি দপ্তরেও যাবো। পাশাপাশি আমরা ফতুল্লা এলাকার বেশ কয়েকটি শ্রমজীবী মানুষের জন্য ভ্যানের ব্যবস্থা করেছি। বর্ষা মৌসুমে এটা চলবে। খাল পরিস্কার করার ক্ষেত্রে সরকারি উদ্যোগ কে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে।
নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, আমরা অতি শ্রীঘ্রই খাল খনন কাজ শুরু করবো। এ ব্যাপারে আমি সকলের সহযোগিতা চাই।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদ সদস্য মাওলানা মঈনুদ্দিন আহমাদ, নারায়ণগঞ্জ মহানগরী আমির মাওলানা আবদুল জব্বার, জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি আবু সাঈদ মুন্না, মহানগরী জামায়াতের কর্ম পরিষদ সদস্য, প্রচার ও মিডিয়া সম্পাদক হাফেজ আবদুল মোমিন, গোলাম সারোয়ার সাঈদ সহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।
.উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: স দ ধ রগঞ জ ন র য়ণগঞ জ স দ ধ রগঞ জ ন র য়ণগঞ জ ম হ ম মদ এল ক র
এছাড়াও পড়ুন:
কোরবানীর পশুর হাটের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় কঠোর অবস্থানে র্যাব-১১
নারায়ণগঞ্জে সড়ক ও নদী পথে জোরপূর্বক গরুর ট্রাক বা ট্রলারে দুষ্কৃতিকারীরা কোন বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কিছু অনাকাঙ্খিত ঘটনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে সেটির দৃষ্টিগোচর হওয়ায় ইতোমধ্যে র্যাব ও পুলিশ অভিযান চালিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
পাশাপাশি এ ধরণের ঘটনা যাতে না ঘটে সেদিকে লক্ষ্য রেখে আইনশৃঙ্খলা জোরদার করা হয়েছে। হাটগুলোতে চাঁদাবাজি বন্ধে ও ক্রেতা-বিক্রেতাদের নিরাপত্তায় র্যাব এর কার্যক্রম চলমান রয়েছে। পাশাপাশি জাল টাকা সনাক্ত করতে প্রত্যেকটি হাটে র্যাবের পক্ষ থেকে মেশিন দেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩ জুন) বেলা সাড়ে ১১টায় পবিত্র ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে সিদ্ধিরগঞ্জের ২নং ঢাকেশ্বরী ইব্রাহিম টেক্সটাইল মিলের বালুর মাঠের অস্থায়ী কুরবানীর পশুর হাট পরিদর্শন শেষে র্যাব-১১’র অধিনায়ক লে. কর্ণেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন এসব কথা বলেন। এসময় হাট ইজারাদার, গরুর ক্রেতা-বিক্রেতাসহ গণমাধ্যম কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এসময় অধিনায়ক লে. কর্ণেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন বলেন, কোরবানীর ঈদকে সামনে রেখে আমাদের দায়িত্বকে তিনটি পর্বে ভাগ করা হয়েছে।
প্রথমে ঈদের পূর্বে ঈদের দিন একটা স্পেশাল ঈদ জামাতকে কন্দ্রে করে এবং ঈদের পরে বিশেষ করে সব জায়গায় হাটকে কেন্দ্র করে রোড প্রোটেকশন, রাস্তায় জ্যাম এবং ঘরমুখো মানুষরা গ্রামের বাড়িতে যাবে তাদেরকে নিরাপত্তা দেয়ার জন্য এগ্রেসিভ পেট্রোল, এক্সটেনসিভ পেট্রোল পরিচালনা করা হবে মহাসড়কগুলোতে।
ঈদের দিন জামাতকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তা দেয়া হবে এবং ঈদের পরেও বাজার ম্যানেজমেন্ট ঠিক মত পরিষ্কার করছে কিনা ও মহাসড়কে নিরাপত্তা জোরদার করা এগুলো আমাদের দায়িত্বের মধ্যে এনে পরিকল্পনা করা হয়েছে এবং সে মোতাবেক কাজ করা হবে।
তারই অংশ হচ্ছে হাটের চাঁদাবাজি, অতিরিক্ত ইজারা আদায়, এ ধরণের অভিযোগ গ্রহণের জন্য প্রত্যেকটি হাটে র্যাবের সাপোর্ট সেন্টার এবং জাল টাকা সনাক্তের জন্য প্রত্যেক হাটে মেশিন সরবরাহ করা হয়েছে।