বরিশালে কোস্ট গার্ডকে ‘হুমকি’, গ্রেপ্তার ২
Published: 7th, June 2025 GMT
অতিরিক্ত ভাড়া আদায়, যাত্রী হয়রানি এবং কোস্ট গার্ড সদস্যদের ‘হুমকি’ দেওয়ায় কীর্তনখোলা-১০ লঞ্চ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। শুক্রবার (৬ জুন) বরিশাল কোতয়ালি মডেল থানায় কোস্ট গার্ড মামলাটি করে।
কোতয়ালি মডেল থানার ওসি মো. মিজানুর রহমান মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, এ ঘটনায় ইতোমধ্যে দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গত ৫ জুন রাত ৯টার দিকে কীর্তনখোলা-১০ লঞ্চটি ঢাকার সদরঘাট থেকে বরিশালের উদ্দেশ্যে ছাড়ার কথা ছিল। লঞ্চটি প্রায় তিন ঘণ্টা দেরিতে যাত্রা শুরু করে। পথিমধ্যে যান্ত্রিক ত্রুটির অজুহাত দেখিয়ে মাঝ নদীতে লঞ্চ থামিয়ে নৌকা ও ট্রলারের মাধ্যমে অতিরিক্ত যাত্রী উঠানো হয় লঞ্চটিতে।
আরো পড়ুন:
চকরিয়ায় অস্ত্র তৈরির সরঞ্জামসহ কারিগর আটক
শ্রীপুরে শ্রমিক-পুলিশ সংঘর্ষের ঘটনায় আটক ২৩
ধারণক্ষমতা ১৫৫০ জন হলেও প্রায় চার হাজার যাত্রী বহন করা হয়েছে লঞ্চে। এমনকি ভোরের আগে বৃষ্টির সময় ছাদের যাত্রীদের লঞ্চের ভেতরে ঢুকতে না দিয়ে ছাদের দরজায় তালা দিয়ে রাখা হয়। ফলে ছাদে থাকা নারী, শিশু ও বৃদ্ধসহ অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়েন। এনিয়ে বরিশাল লঞ্চঘাটে পৌঁছানোর পর অতিরিক্ত ভাড়া দাবিসহ লঞ্চ কর্তৃপক্ষের দুর্ব্যবহার ও লঞ্চের বিভিন্ন অনিয়মকে কেন্দ্র করে যাত্রীদের সাথে লঞ্চের স্টাফদের বাগবিতাণ্ডা শুরু হয়। একপর্যায়ে হাতাহাতি হয়।
এসময় যাত্রীদের অনুরোধে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কোস্ট গার্ড, সেনাবাহিনী ও নৌ-পুলিশের সদস্যরা এগিয়ে আসেন। এরপর কোস্ট গার্ড কন্টিনজেন্ট কমান্ডারের মধ্যস্থতায় যাত্রী এবং লঞ্চ কর্তৃপক্ষের মধ্যে সমঝোতা হয়।
পরবর্তীতে কীর্তনখোলা লঞ্চের মালিক মঞ্জুরুল আহসান ও তার ছেলে শান্ত হাসান ঘটনাস্থলে গিয়ে কোস্ট গার্ড সদস্যদের ‘হুমকি’ এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাজে বাধা দেন।
এ ঘটনায় লঞ্চ মালিক মঞ্জুরুল আহসান, তার ছেলে শান্ত হাসান, লঞ্চের ম্যানেজার ও সুপারভাইজারসহ স্টাফদের বিরুদ্ধে যাত্রী হয়রানি, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর আক্রমণাত্মক ও নাশকতামূলক আচরণ এবং সরকারি কাজে বাধা দেওয়ায় মামলা হয়। কোস্ট গার্ড সদস্যরা লঞ্চের ম্যানেজার রিয়াজুল করিম বেলাল ও লঞ্চের মাস্টার শুকুর আলীকে আটক করে পুলিশে সোর্পদ করেছেন।
ঢাকা/পলাশ/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আটক বর শ ল
এছাড়াও পড়ুন:
গাবতলীতে পরিবহন সঙ্কট, ঘরমুখো মানুষের ভিড়
একদিন পরেই পবিত্র ঈদুল আজহা। পরিবার-পরিজনের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে শেষ সময়ে রাজধানী ছাড়ছে হাজার হাজার মানুষ। ঢাকার বাইরে মহাসড়কে যানজট হওয়ায় যাত্রী নামিয়ে দিয়ে ফিরে আসা যানবাহনের সংখ্যা কম। তাই গাবতলীতে পরিবহন সঙ্কট দেখা গেছে।
বাসস্ট্যান্ডে গাড়ির জন্য অপেক্ষা করতে দেখা গেছে অংসখ্য মানুষকে। বৈরি আবহাওয়ার কারণেও ভোগান্তি বেড়েছে।
গাবতলীতে সকাল থেকে উত্তরবঙ্গগামী যাত্রীর চাপ ছিল বেশি। শ্যামলী পরিবহন, এস আর পরিবহন, শাহ ফতেহ আলী পরিবহন, সুপার সনিসহ বিভিন্ন পরিবহনের কাউন্টারে যাত্রীদের গাড়ির জন্য বসে থাকতে দেখা গেছে। টিকিট কেটেও ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাউন্টারে অপেক্ষা করতে হচ্ছে দূর-দূরান্তের যাত্রীদের।
আরো পড়ুন:
টাঙ্গাইলে ট্রেন ও বাসের ছাদ থেকে পড়ে ২ জন নিহত
ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে ২ ট্রাকের সংঘর্ষ, আহত ১০
বাস কাউন্টার সংশ্লিষ্টরা জানান, লম্বা ছুটির কারণে এবার ঘরমুখো যাত্রীর চাপ তুলনামূলক বেশি। গত দুই দিনে বহু মানুষ ঢাকা ছেড়েছেন। বিশেষ করে বৃহস্পতিবার (৫ জুন) বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি মানুষ বাড়ির উদ্দেশে গেছেন। তবে আজ শুক্রবার (৬ জুন) সকাল থেকেও যাত্রীর চাপ আছে।
শাহজাদপুর ট্রাভেলসের কাউন্টার ম্যানেজার কামাল হোসেন বলেন, ‘‘উত্তরবঙ্গের প্রচুর গাড়ি গেছে। আমাদের আধা ঘণ্টা, ১৫ মিনিট পরপর বাস যায়। যাত্রীর চাপ আছে কিন্তু সিডিউল রাখা যাচ্ছে, না কারণ বাস ফিরে আসছে কম।’’
অতিরিক্ত যানবাহনের চাপ, সড়কে একাধিক দুর্ঘটনা ও যানবাহন বিকল হওয়ায় ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের করটিয়া থেকে সেতু পর্যন্ত ২৫ কিলোমিটারে থেমে থেমে যানজট সৃষ্টি হয়। শুক্রবার (৬ জুন) ভোরেও মহাসড়কে ২৫ কিলোমিটারে যানজটের সৃষ্টি হয়। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যানজট পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে।
যানজট না থাকলেও ঢাকা-আরিচা সড়কেও গাড়ির চাপ রয়েছে বলে জানিয়েছেন বাস কাউন্টার সংশ্লিষ্টরা।
যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সতর্ক আছে। গাবতীয় টার্মিনালের প্রবেশমুখে রয়েছে পুলিশ ও র্যাবের কন্ট্রোল রুম। একইসঙ্গে গাবতলী সড়কের যানজট নিরসনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের ভূমিকা রাখতে দেখা গেছে। টার্মিনালের মাইকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করলে অভিযোগের আহ্বান ও পরিবহন কাউন্টার থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় না করতে নির্দেশনা দেয়া হচ্ছে।
ঢাকা/হাসান/বকুল