ঢাবির সাবেক ছাত্র গড়েছেন ফলের বাগান, আছে বিদেশি ২৫ জাতের আঙুর
Published: 10th, June 2025 GMT
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর করে যেখানে অনেকেই চাকরির পেছনে ছোটেন, সেখানে মাসুদুর রহমান (৩৫) নিয়েছেন এক ব্যতিক্রমী সিদ্ধান্ত। ২০১৪ সালে ইসলামিক স্টাডিজে পড়াশোনা শেষ করে সরকারি চাকরি করতে চাননি। হতে চেয়েছিলেন শিক্ষক, গবেষণায় সময় দিতে চেয়েছিলেন; কিন্তু কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে সুযোগ না পেয়ে কৃষিকে নিজের সাধনার ক্ষেত্র হিসেবে বেছে নেন।
রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার খেজমতপুর গ্রামের উচ্চশিক্ষিত এই তরুণ এখন শুধু কৃষক নন, একজন সফল কৃষি উদ্যোক্তা। বিদেশি ২৫ জাতের আঙুর চাষ করে যেমন আলোচনায় এসেছেন, তেমনি বাড়ির ছাদে গড়ে তুলেছেন বারোমাসি ফলের বাগান, যা দেখে অনুপ্রাণিত হচ্ছেন অনেকেই।
সম্প্রতি মাসুদুরের আঙুরবাগানে গিয়ে দেখা যায়, বাঁশ ও সুতা দিয়ে তৈরি বিশেষ মাচায় থোকায় থোকায় ঝুলে আছে বিভিন্ন ধরনের আঙুর। দেখে মনটা জুড়িয়ে যায়। সবুজ পাতার ফাঁকে উঁকি দিচ্ছে কোথাও লম্বাটে, কোথাও গোল আবার কোথাও হালকা রঙিন জাতের আঙুর। মিষ্টি এসব আঙুর এখন পরিপক্ব হয়েছে।
রংপুর শহরের তাজহাট থেকে আসা দর্শনার্থী ইয়াসির আরাফাত বলেন, ‘আমরা ইউটিউবে এ রকম আঙুর দেখি। বাস্তবে দেখব, ভাবিনি। চেখে দেখলাম, খুবই মিষ্টি।’
মাসুদুর রহমানের বাড়ির ছাদে আছে ১ হাজার ২০০ বর্গফুটের ছাদবাগান। সেখানে ১০ প্রজাতির বারোমাসি ফলের গাছ—থাই কমলা, ড্রাগন, জামরুল, মিষ্টি জলপাই, আমড়া, শরিফা, আনারসহ নানান বিদেশি ফল। আর নিচের জমিতে রয়েছে আঙুর। ১০ শতাংশ জমিতে ২৫ জাতের আঙুরের চাষ করেছেন তিনি।
রংপুরের পীরগঞ্জে বারোমাসি ফলের ছাদবাগান গড়ে তুলেছেন মাসুদুর রহমান.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৪ ঘণ্টার সংঘর্ষে আহত ৯০
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে ক্ষেতের শসা খাওয়াকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। প্রায় ৪ ঘণ্টা ধরে চলা এ সংঘর্ষে শিশুসহ অন্তত ৯০ জন আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (১০ জুন) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে উপজেলার বুড়িশ্বর ইউনিয়নের দক্ষিণ শ্রীঘর গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ।
নাসিরনগর থানার ওসি মো. খাইরুল আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
আরো পড়ুন:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় টিস্যু চাওয়া নিয়ে সংঘর্ষ, আহত ১৫
হবিগঞ্জে আ.লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ৫০
আরো পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় টিস্যু চাওয়া নিয়ে সংঘর্ষ, আহত ১৫
সংঘর্ষে গুরুতর আহতরা হলেন- জালাল মিয়া (৪৫), দুলাল মিয়া (৩২), শাহ আলম (৩৫), রাব্বি মিয়া (১১), আমীর আলী (৩৫), মাসুক মিয়া (৪৫) ও সাহার আলী (১৮)। তাদের নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে জেলা সদর হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। অন্যরা নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শ্রীঘর গ্রামে জমিতে শসা চাষ করেছিলেন সরকার বাড়ির বাসিন্দা জুয়েল। দুইদিন আগে ক্ষেত থেকে শসা খান একই গ্রামের বড়বাড়ির মির জালালের ছেলে হৃদয়। এ নিয়ে সোমবার রাতে দুই পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। আজ সকালে লাঠি নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায় দুই পক্ষ। সংঘর্ষ চলাকালে অন্তত ৯০ জন আহত হন।
নাসিরনগর থানার ওসি মো. খাইরুল আলম বলেন, “শসা খাওয়ার জেরে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সরকার বাড়ি ও বড়বাড়ি গোষ্ঠীর লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়েছিল। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। বতর্মানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।”
এর আগে, গতকাল সোমবার রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে একটি রেস্টুরেন্টে টিস্যু চাওয়াকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষের হয়। ওই ঘটনায় অন্তত ১৫ জন আহত হন।
ঢাকা/মনিরুজ্জামান/মাসুদ