অপেক্ষার অবসান ঘটছে আজ। ঢাকায় ১৬৫৯ দিন পর আন্তর্জাতিক ম্যাচে মাঠে নামছে বাংলাদেশ। প্রতিপক্ষ সিঙ্গাপুর। এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বের এই গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ দিয়ে জাতীয় দলের জার্সিতে অভিষেক হতে যাচ্ছে কানাডা প্রবাসী মিডফিল্ডার শমিত শোমের। তাকে ঘিরেই এখন বাড়তি কৌতূহল।

কানাডার ক্লাব ক্যাভালরি এফসির হয়ে খেলা শমিত সাধারণত রক্ষণাত্মক মিডফিল্ডার হিসেবে খেলেন। বাংলাদেশে এসে কোচ হাভিয়ের কাবরেরার নজর কাড়তে পেরেছেন এই তরুণ। আজকের ম্যাচেও তাকে সেই ভূমিকাতেই দেখা যেতে পারে, বিশেষ করে প্রতিপক্ষ বল পায়ে খেলার দল সিঙ্গাপুর হওয়ায় কোচ কৌশলে বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছেন মাঝমাঠের রক্ষণে।

সেক্ষেত্রে শমিত ও ইংল্যান্ডে খেলা হামজা চৌধুরীকে নিয়ে ডাবল পিভট গঠন করতে পারেন কাবরেরা। এই সমীকরণে বেঞ্চে শুরু করতে হতে পারে অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়াকে। এমনকি ভুটানের বিপক্ষে গোল করা সোহেল রানাও একাদশে জায়গা নাও পেতে পারেন। তার বদলে কেন্দ্রীয় মিডফিল্ডে সুযোগ পেতে পারেন তরুণ কাজেম কিরমানী।

রক্ষণভাগে পরিবর্তনের সম্ভাবনা কম। আগের ম্যাচের চারজন তাজ উদ্দিন, তারিক কাজী, তপু বর্মণ ও সাদ উদ্দিন আজও থাকছেন প্রথম একাদশে। গোলবার সামলাবেন তরুণ মিতুল মারমা।

আক্রমণভাগেও কিছু ট্যাকটিক্যাল পরিবর্তন আনতে পারেন কোচ। বাঁ প্রান্তে শুরু করতে পারেন ফাহমিদুল ইসলাম, যিনি ভুটান ম্যাচে নজর কেড়েছেন। রাকিব হোসেনকে দেখা যেতে পারে সেন্টার ফরোয়ার্ডের ভূমিকায়, যদিও ক্লাব ও জাতীয় দলে তিনি সাধারণত রাইট উইংয়ে খেলেন। যদি রাকিবকে উইংয়ে ফেরানো হয়, তাহলে স্ট্রাইকার হতে পারেন আল আমিন। সেক্ষেত্রে মোহাম্মদ ইবরাহিম বেঞ্চে শুরু করবেন, যদিও শেষ দিকে তাকে বদলি হিসেবে দেখা যেতে পারে। তবে শেষ মুহূর্তে ইনজুরি বা কৌশলগত কারণে একাদশে পরিবর্তন আনতেই পারেন কোচ কাবরেরা।

সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে বাংলাদেশের সম্ভাব্য একাদশ: মিতুল মারমা; তাজ উদ্দিন, তারিক কাজী, তপু বর্মণ, সাদ উদ্দিন; হামজা চৌধুরী, শমিত শোম, কাজেম কিরমানী; মোহাম্মদ ইবরাহিম, রাকিব হোসেন, ফাহমিদুল ইসলাম।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

শেফালি আর দীপ্তিতে নতুন মুম্বাইয়ে নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারত

নাবি মুম্বাই। নয়া মুম্বাই। নতুন সেই মুম্বাইয়ে কাল নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন পেল মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপ। ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত।

দীপ্তি শর্মার করা ৪৬তম ওভারের তৃতীয় বলে নাদিন ডি ক্লার্কের তোলা ক্যাচটি এক্সট্রা কাভারে ভারত অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌরের হাতে জমা হতেই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের আনন্দে মাতল পুরো ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকা ২৪৬ রানে অলআউট, ভারত ৫২ রানে জয়ী।

ভারতের জয়ের উৎসব অবশ্য শুরু হয়ে গিয়েছিল পাঁচ ওভার আগেই। লরা ভলভার্টকে ফিরিয়ে পথের কাঁটা উপড়ে ফেলেই উদ্‌যাপন শুরু করেছিল ভারতীয়রা। অসাধারণ এক সেঞ্চুরি করে দক্ষিণ আফ্রিকান অধিনায়ক চোখ রাঙাছিলেন ভারতের উৎসব ভন্ডুল করার। কিন্তু সেঞ্চুরি করার পরপরই ক্যাচ তুললেন ভলভার্ট। আর সেই ক্যাচ নিতে গিয়ে আমানজোত কৌর ভারতের প্রায় শত কোটি মানুষের হৃৎস্পন্দন প্রায় থামিয়ে দিয়েছিলেন। একবার নয়, দুবার নয়, তৃতীয়বারের চেষ্টাতেই ক্যাচ নিতে পারেন আমানজোত। এবারও বোলার সেই অফ স্পিনার দীপ্তি শর্মা।

৯৮ বলে ১০১ রান করে ভলভার্ট যখন ফিরলেন দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর ৪১.১ ওভারে ২২০/৭। এরপর শুধু আনুষ্ঠানিকতাই ছেড়েছে ভারত। দীপ্তি আরও ২টি উইকেট নিয়ে পেয়ে গেছেন ৫ উইকেট। আর ভারত হয়ে গেছে চ্যাম্পিয়ন। এর আগে ব্যাট হাতেও ৫৮ বলে ৫৮ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেছেন দীপ্তি।

ব্যাট হাতে ৮৭ রান করা শেফালি বর্মা বল হাতে নিয়েছেন ২ উইকেট

সম্পর্কিত নিবন্ধ