মেহেরপুরের মুজিবনগর সীমান্ত দিয়ে ৪ শিশুসহ ১২ জনকে ঠেলে পাঠিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। আজ মঙ্গলবার ভোরে উপজেলার আনন্দবাস সীমান্ত এলাকা থেকে তাঁদের আটক করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

বিজিবি জানিয়েছে, আটক ব্যক্তিরা সবাই বাংলাদেশি। তাঁরা হলেন জাহাঙ্গীর আলম (৪২), শাহাজাদি খাতুন (৩০), লাভলী খাতুন (৪২), হাসেন আলী (১৮), জান্নাতি খাতুন (২০), বাবলু হোসেন (২৪), জেসমিন খাতুন (২০), ইয়াসিন হোসেন (২৫) এবং ১৫ বছর বয়সী এক কিশোর, ৩ বছর, ১ বছর ও ১০ দিন বয়সী তিন শিশু। তাঁদের সবার বাড়ি কুড়িগ্রামের ফুলবাড়িয়া উপজেলায়।

বিজিবির মুজিবনগর উপজেলা ক্যাম্প জানায়, আজ ভোরে উপজেলার আনন্দবাস গ্রামের সীমান্তে টহল দিচ্ছিল বিজিবির একটি দল। তখন তারা সীমান্তের ৯৭/১ নম্বর পিলারের কাছে সন্দেহভাজন কয়েকজনকে ঘোরাঘুরি করতে দেখে। পরে তাঁদের আটক করে ক্যাম্পে আনা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তাঁরা জানান, তাঁরা সবাই বাংলাদেশি। বিভিন্ন সময় তাঁরা অবৈধভাবে ভারতে গিয়েছিলেন। সেখানকার পুলিশ তাঁদের আটক করে বিএসএফের কাছে হস্তান্তর করে। পরে আজ ভোরে বিএসএফ আনন্দবাস গ্রামের সীমান্তে এনে কাঁটাতারের ফটক খুলে জোর করে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেয়।

আরও পড়ুনমুজিবনগর সীমান্ত দিয়ে ৩০ জনকে ঠেলে পাঠাল বিএসএফ২৭ মে ২০২৫

মুজিবনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, জিজ্ঞাসাবাদের পর আটক ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, তাঁদের বাড়ি উত্তরবঙ্গের কুড়িগ্রাম জেলার ফুলবাড়িয়া থানায়। তাঁদের নামে মুজিবনগর থানায় অনুপ্রবেশের অভিযোগে মামলা হয়েছে। তাঁদের প্রত্যেকের জাতীয় পরিচয়পত্র যাচাই-বাছাই করা হবে।

এর আগে গত ২৭ মে মুজিবনগর সীমান্ত দিয়ে ৩০ জনকে, ২০ মে উপজেলার সোনাপুর সীমান্ত দিয়ে ১৯ জন এবং ৪ মে ভবেরপাড়া সীমান্ত দিয়ে ১০ জনকে ঠেলে পাঠায় বিএসএফ।

আরও পড়ুনমুজিবনগর সীমান্ত দিয়ে ১৯ জনকে ঠেলে পাঠাল বিএসএফ২৫ মে ২০২৫.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ম জ বনগর স ম ন ত দ য় ব এসএফ উপজ ল র আটক

এছাড়াও পড়ুন:

জঙ্গি সন্দেহে কলকাতায় গ্রেপ্তার বাংলাদেশি যুবক

জঙ্গি সন্দেহে কলকাতা পুলিশের বিশেষ টাস্ক ফোর্সের (এসটিএফ) হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে এক বাংলাদেশি নাগরিক। মুফতি আবদুল্লাহ আল মাসুদ নামে ওই বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয় পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার গয়েশপুর পুলিশ ফাঁড়ি এলাকা থেকে। এরপর তাকে ফাঁড়িতে নিয়ে এসে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ চলে। বৃহস্পতিবার এই ঘটনাটি ঘটেছে। 

ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও ভারত থেকে নিজের দেশে ফিরে যাননি মাসুদ। তিনি অবৈধভাবে পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার কাটাগঞ্জ এলাকায় বসবাস করতেন। সম্প্রতি তার বেশ কিছু কর্মকান্ডে সন্দেহ প্রকাশ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এর পরই মাসুদকে ইসলামী উগ্রপন্থী বলে দাবি করে পুলিশে অভিযোগ করা হয়। যেহেতু তার ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে, তাই পুলিশ তাকে একজন অবৈধ অভিবাসী হিসেবে বিবেচনা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ভারতীয় আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় তার বিরুদ্ধে মামলাও দায়ের করা হয়েছে। 

বিষয়টি সামনে আসার পরই যথেষ্ট উত্তেজনা ছড়িয়েছে। যদিও এ ব্যাপারে কলকাতা পুলিশের পক্ষে কিছুই জানানো হয়নি। 

অন্যদিকে, গত ২৪ ঘন্টায় ভারত বাংলাদেশের দিনাজপুর সীমান্ত ও ভোমরা ঘোজাডাঙা সীমান্তে এলাকায় অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছেন আরো ১১ জন বাংলাদেশি নাগরিক। 

পুলিশ ও বিএসএফের যৌথ অভিযানে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় এক বাংলাদেশি নাগরিককে। আটককৃতে ওই ব্যক্তির নাম পঞ্চানন পাল। তিনি বাংলাদেশের ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গা থানার বাসিন্দা। ভারতে তিনি পরিচয় বদল করে রূপায়ণ পাল নামে বসবাস করছিলেন বলে অভিযোগ। তার কাছ থেকে বাংলাদেশি পাসপোর্ট ছাড়াও ভারতের আধার কার্ড, ভোটার কার্ড ও এমনকি ভারতীয় পাসপোর্ট পর্যন্ত উদ্ধার হয়েছে। 

একইদিনে ভারত থেকে অবৈধ পথে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের সময়ে ঘোজাডাঙ্গা ভোমরা সীমান্তের কাছে সরুপনগর এলাকার তারালি সীমান্ত থেকে বিএসএফের ১৪৩নম্বর ব্যাটালিয়নের হাতে আটক হয়েছেন আরো বাংলাদেশি নাগরিক। 

সীমান্তরক্ষী বাহিনী জানিয়েছে আটকের পর তাদের স্বরূপনগর থানার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। আটককৃতদের মধ্যে রয়েছে তিন শিশু, তিনজন পুরুষ ও চারজন নারী। এর সবাই বাংলাদেশের সাতক্ষীরা এবং খুলনার বাগেরহাটের বাসিন্দা।

সুচরিতা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সিলেট সীমান্তে বাংলাদেশে ঢুকে খুঁটি উপড়ে ফেলে বিএসএফ, স্থানীয়দের প্রতিবাদ
  • পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনে কর্মকর্তা নিয়োগ, বেতন ৫১,০০০ টাকা
  • জঙ্গি সন্দেহে কলকাতায় গ্রেপ্তার বাংলাদেশি যুবক