Risingbd:
2025-06-18@15:08:14 GMT

হঠাৎ তুমুল আলোচনায় জয়া 

Published: 11th, June 2025 GMT

হঠাৎ তুমুল আলোচনায় জয়া 

ঈদে ছয়টি সিনেমা মুক্তি পেয়েছে। সিনেমা মুক্তির আগে থেকে এগুলো নায়িকাদের নিয়ে আলোচনাও শুরু হয়ে ছিলো। আলোচনার কেন্দ্রে ছিলেন সাবিলা নূর এবং তাসনিয়া ফারিণ। কিন্তু দিন যত গড়াচ্ছে আলোচনার আলোয় তত বেশি স্পস্ট হচ্ছে জয়া আহসানের মুখ ও নাম।

সিনেপ্রেমীরা বলছেন, মেগাস্টার শাকিব খানের খুব কম সিনেমায় নারী চরিত্ররা দাপিয়ে বেড়াতে পারে। দেখা যায় যে নারী চরিত্রগুলো সেরকম স্পেস পান না বা পেলেও সঠিকভাবে নিজেদের অভিনয় প্রতিভা দেখাতে পারেন না। আবার অনেক সময় দেখালেও শেষ পর্যন্ত চরিত্রগুলো পর্দায় ঠিকঠাকভাবে আসে না। সেক্ষেত্রে ‘তাণ্ডব’ ব্যতিক্রম। এ সিনেমায় শক্তিশালী চরিত্র পেয়েছেন জয়া আহসান।

তিনি নিজের আনপ্যারালাল অভিনয় প্রতিভা দিয়ে সেটি বেশ ভালোভাবে কাজেও লাগিয়েছেন এবং শেষ পর্যন্ত তাণ্ডব সিনেমার ‘সায়রা’ আইকনিক চরিত্রে রূপান্তর হয়েছে। এই চরিত্রটি দর্শক মনে রাখবেন।

আরো পড়ুন:

অতিথি পাখি শিকার বন্ধে যে কাণ্ড ঘটিয়েছিলেন হুমায়ুন ফরীদি

স্ট্রিট ফুড বিক্রি করছেন আমির খান!

জয়া আহসানের গ্ল্যামার নিয়েও উচ্ছ্বসিত দর্শক। দর্শকদের প্রতিক্রিয়া হলো, সুন্দরী জয়া আহসানকে শেষ কবে কোনো সিনেমায় এতো লেগেছে, মনে পড়েনা। সাংবাদিক চরিত্রে জাদুকরী স্ক্রিন প্রেজেন্স ধরে রাখতে পেরেছেন জয়া আহসান। নজর কেড়েছে জয়া আহসানের বডি ল্যাংগুয়েজও।

এই ঈদে জয়া আহসান অভিনীত উৎসব সিনেমাতেও জয়ার চরিত্রটি দর্শকের মনে ধরেছে। তানিম নূরের ‘উৎসব’ সিনেমাতে কমেডি চরিত্র রূপায়ন করেছেন। কিন্তু তার সংলাপ জীবনবোধের গভীরতা প্রকাশ করেছে। 

ঢাকা/লিপি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর জয় আহস ন চর ত র আহস ন

এছাড়াও পড়ুন:

বকুলতলায় বৃষ্টির সুর

নীল-সাদা পোশাকে সজ্জিত হয়ে নানা বয়সী মানুষ এসে জড়ো হতে থাকেন। যেন শহরের হৃদয়ে নেমে আসে গ্রামবাংলার ঘ্রাণ। মেঘলা আকাশের নিচে কণ্ঠে সুর, পায়ে তাল, কল্পনায় বর্ষার রূপই দেখা যায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের বকুলতলায় গতকাল রোববার এভাবে উদযাপন হলো ‘বর্ষা উৎসব ১৪৩২’।
বর্ষা উৎসব উদযাপন পরিষদের আয়োজনে আষাঢ়ের প্রথম দিনে রাগ, রস ও রং মিলে তৈরি হলো এক বর্ষামুখর ক্যানভাস। এবারের আয়োজনে সহযোগিতায় ছিল সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়।
সকাল ৭টা ১৫ মিনিটে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন নবীন সংগীতশিল্পী সোহানী মজুমদার। সেতারের কোমল তারে বেজে ওঠে রাগ ‘আহীর ভৈরব’। রাগভিত্তিক এ পরিবেশনার মধ্য দিয়ে মিলে যায় প্রাচ্যের সংগীত ঐতিহ্য ও বর্ষার আধ্যাত্মিকতা। সেই মুহূর্তে বকুলতলায় যেন ভেসে বেড়ায় বৃষ্টির সুর আর আকাশের নরম আলো।
‘বর্ষাকথন’ পর্বে বর্ষার ভাবনা, পরিবেশ ও সময়ের প্রেক্ষাপটে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ গণসংগীত সমন্বয় পরিষদের সভাপতি শিল্পী কাজী মিজানুর রহমান।
ঘোষণা পাঠ করেন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মানজার চৌধুরী সুইট এবং সভাপতিত্ব করেন লেখক ও গবেষক অধ্যাপক ড. নিগার চৌধুরী। সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন সংস্কৃতিকর্মী নুসরাত ইয়াসমিন রুম্পা।
ঘোষণাপত্র পাঠে জানানো হয়, ষড়ঋতুর দেশ বাংলাদেশে আজ ঋতুচক্রে দেখা দিচ্ছে অসামঞ্জস্য। গ্রীষ্ম হয়ে উঠছে খরতর, বর্ষা রুষ্ট, বসন্ত ক্ষীয়মাণ। এই পরিবর্তনের মূলে রয়েছে মানুষের সীমাহীন ভোগবাদী আচরণ, প্রকৃতির ওপর অনবরত অনাচার। ভূপৃষ্ঠ উত্তপ্ত, সমুদ্রজল স্ফীত, ওজোনস্তর ক্ষতিগ্রস্ত– প্রকৃতি আজ সংকটে।
এ প্রসঙ্গে মানজার চৌধুরী সুইট সমকালকে বলেন, এ উৎসব শহুরে জীবনে আমরা প্রায় ১৮ বছর ধরে পালন করে আসছি। উৎসবের শিকড় নিহিত রবীন্দ্রনাথের ‘বর্ষামঙ্গল’-এ। আমরা তারই উত্তরসূরি হয়ে আষাঢ়ের প্রথম দিনটিকে উদযাপনের সিদ্ধান্ত নিই। এতে শুধু প্রকৃতির সৌন্দর্য নয়, বরং তার সংকটও তুলে ধরা হয়। আমরা চাই, আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম প্রকৃতির সঙ্গে সম্পর্ক 
গড়ুক, তার বিপন্নতাকে বুঝুক এবং তা রক্ষায় সক্রিয় হোক।
তিনি আরও বলেন, মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমরা যে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলাম, এ ধরনের উৎসবই সেই স্বপ্নের বাস্তব রূপ। শিকড়ের দিকে ফিরে যাওয়ার মধ্যে নিহিত আমাদের সংস্কৃতি ও চেতনার পুনর্জাগরণ।
বর্ষা মানে নতুন জন্মের বারতা। সেই বারতা ছড়িয়ে দিতে উৎসবে প্রতীকীভাবে শিশু-কিশোরের হাতে তুলে দেওয়া হয় বনজ, ফলদ ও ঔষধি গাছের চারা। এই চারাগুলো শুধু বৃক্ষ নয়, বরং হয়ে উঠেছে সবুজ ভবিষ্যতের আশ্বাস।
উৎসবে একক সংগীত পরিবেশন করেন ইয়াসমিন মুশতারী, সালাউদ্দিন আহমেদ, বিজন চন্দ্র মিস্ত্রী ও নবনীতা জাইদ চৌধুরী অনন্যা।
রবীন্দ্রসংগীত পরিবেশন করেন অণিমা রায়, শামা রহমান, মকবুল হোসেন ও ফেরদৌসী কাকলি। লোকসংগীত পরিবেশন করেন বিমান চন্দ্র বিশ্বাস, শ্রাবণী গুহ রায় ও এস এম মেজবাহ। আধুনিক গান গাইতে মঞ্চে ওঠেন রত্না সরকার।
দলীয় সংগীতে অংশ নেয় সীমান্ত খেলাঘর আসর (শিশু-কিশোর), সুর বিহার, বহ্নিশিখা, সুর নন্দন এবং সত্যেন সেন শিল্পীগোষ্ঠী। আবৃত্তি পরিবেশন করেন নায়লা তারাননুম চৌধুরী কাকলি ও আসান উল্লাহ তমাল। শিল্পবৃত্ত শিশু-কিশোর দল পরিবেশন করে আবৃত্তি ও নৃত্য কোলাজ।
নৃত্য পরিবেশনায় অংশ নেয় ধৃতি নর্তনালয়, নৃত্যাক্ষ, স্পন্দন, বেমুকা ললিতকলা কেন্দ্র, সিনথিয়া একাডেমি অব আর্টস ও নৃত্যম।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বৃষ্টির পর মুশফিক-লিটনের হতাশা
  • আরিফিন শুভর অভিনয়ে মুগ্ধ বাঁধন, করলেন ‘মুজিব’ চরিত্রের প্রশংসা
  • আরিফিন শুভর অভিনয়ে মুগ্ধ বাঁধন, করলেন ‘মুজিব’ চরিত্রেও প্রশংসা
  • ‘উৎসব’ দেখে মুগ্ধ ‘এশা মার্ডার’–এর বাঁধন
  • আবৃত্তি উৎসবে কবিতার বন্দনা
  • মাদারীপুরে সাংগঠনিক সভা
  • ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে ফল উৎসব 
  • কপালে ১৩টি এবং থুতনিতে ৪টি সেলাই করা লাগে
  • দেশের পর এবার বিদেশেও ঈদের সিনেমার মুক্তি
  • বকুলতলায় বৃষ্টির সুর