Prothomalo:
2025-07-30@10:28:58 GMT

ঈদে উৎসবে দাঁতের সমস্যায়

Published: 11th, June 2025 GMT

ঈদুল আজহা যেতে না যেতে দেখা দিয়েছে দাঁতের নানা রকম সমস্যা। উৎসবে–পরবে মাংস ও হাড় চিবানো এবং মিষ্টিজাতীয় খাবার দাঁতের ওপর চাপ সৃষ্টি করে। এ সময় দাঁতের যত্ন নেওয়া অত্যন্ত জরুরি।

যেসব সমস্যা হয়

ঈদের সময় দাঁতের ফাঁকে মাংস আটকে গিয়ে ব্যথা, ইনফেকশন বা ফোলাভাব দেখা দেয়।

শক্ত হাড় বা চামড়া চিবাতে গিয়ে দাঁতের ফিলিং বা ক্যাপ উঠে যেতে পারে।

অতিরিক্ত মিষ্টি খাওয়ার ফলে দাঁতে ক্যাভিটি, সংবেদনশীলতা ও মাড়ির রোগ হতে পারে।

অতিরিক্ত ও ভারী ক্যালরিযুক্ত খাবার বারবার খাওয়ার কারণে মুখে জীবাণুর মাত্রা বেড়ে যায়।

কী করবেন

কোনো কারণে দাঁতে ব্যথা হলে ঈদের সময় আইবুপ্রফেন বা প্যারাসিটামল–জাতীয় ঘরোয়া ব্যথানাশক বড়ি খাওয়া যেতে পারে, তবে ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোনো অ্যান্টিবায়োটিক বা অন্য ওষুধ নয়।

উষ্ণ লবণজল দিয়ে কুলি করলে সাময়িক আরাম পাওয়া যায়।

ইনফেকশন বা ফোলা হলে দাঁতের পাশে ঠান্ডা পানি বা বরফ দিয়ে সেঁক দেওয়া যেতে পারে।

দাঁতের কোনো অংশ ভেঙে গেলে যত দ্রুত সম্ভব ডেন্টাল ক্লিনিকে যোগাযোগ করা উচিত।

প্রতিকার ও প্রতিরোধ

সকালে ও রাতে অবশ্যই দাঁত ব্রাশ করতে হবে।

খাওয়ার পর ফ্লস ব্যবহার করলে দাঁতের ফাঁকে কিছু আটকে থাকে না। এই ঈদে মাংস বেশি খাওয়া হয় বলে দাঁতের ফাঁকে মাংসের আঁশ জমে থাকে। শুধু ব্রাশ করে তা পরিষ্কার করা সম্ভব হয় না। তাই প্রতিবার মাংসজাতীয় খাবার খাওয়ার পর ফ্লস করুন।

শক্ত হাড় সাবধানে খাওয়া উচিত। দুর্বল দাঁতে হাড়ে কামড় দিলে দাঁত ভেঙে যাওয়া বা আঘাতপ্রাপ্ত হওয়ার আশঙ্কা আছে।

শিশু ও বয়স্কদের দাঁতের প্রতি আলাদা মনোযোগ দিতে হবে। দাঁত দিয়ে রক্ত পড়লে ঠান্ডা পানি দিয়ে কুলকুচি করুন বা বরফ চেপে রাখুন, তারপর চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

আঘাত, দাঁত ভাঙা, রক্তপাতের ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

ডা.

জেবিন জান্নাত: ডেন্টাল ইউনিট, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, চট্টগ্রাম

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৬০ দিন পর শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীরা, উৎসবের আমেজ

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) দীর্ঘ ১৬০ দিন পর একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে টানা বৃষ্টি উপেক্ষা করে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে এসেছেন। সকাল থেকেই ক্যাম্পাসে বইছে উৎসবের আমেজ।

সকালে কুয়েট ক্যাম্পাসে দেখা যায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে উচ্ছ্বাস। ছাতা মাথায় দল বেঁধে ছুটছেন ক্লাসরুমের দিকে। কখনো এক ছাতার নিচে দু-তিনজন। কারও সঙ্গে অভিভাবকও এসেছেন। সকাল নয়টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুটি শিক্ষাবর্ষের প্রায় দুই হাজার শিক্ষার্থী ক্লাসে যোগ দেন। নতুন উপাচার্য অধ্যাপক মাকসুদ হেলালী বিভিন্ন বিভাগ ঘুরে শ্রেণি কর্মসূচি পর্যবেক্ষণ করেন।

ইলেকট্রনিকস অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং (ইসিই) বিভাগের ২২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী দীপ্ত বলেন, ‘আমাদের প্রায় এক সেমিস্টার নষ্ট হয়ে গেছে। এই সময়টা খুব অস্বস্তিতে কেটেছে। ক্ষতি যা হওয়ার হয়েছে, তবে এখন আবার ক্লাস শুরু হওয়াটা ইতিবাচক দিক। আমরা আশাবাদী।’ একই ব্যাচের শিক্ষার্থী আম্মান বলেন, ‘অনেক দিন জীবনটা থেমে ছিল। আজকের দিনটা বিশেষ মনে হচ্ছে। ঠিক যেন স্কুলজীবনের প্রথম দিনের মতো। সব হতাশা কাটিয়ে আমরা অনেকটা নতুন করে শুরু করছি।’

হুমায়ুন কবির নামের এক অভিভাবক বলেন, ‘আমার ছেলে বিল্ডিং ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে পড়ে। পাঁচ মাস ধরে ক্লাস বন্ধ থাকায় ও মানসিকভাবে খুব চাপের মধ্যে ছিল। একসময় অসুস্থও হয়ে পড়ে। কুয়েটে এমন পরিস্থিতি আগে দেখিনি। কর্তৃপক্ষ দায়িত্ব ঠিকভাবে পালন করলে হয়তো আগেই খুলে যেত। তারপরও এখন অন্তত খুলেছে, এটা বড় স্বস্তি।’

কুয়েটের ছাত্র পরিচালক আবদুল্লাহ ইলিয়াস আক্তার বলেন, আজ থেকে কুয়েটে ক্লাস শুরু হয়েছে। তবে এখনো সব শিক্ষার্থী আসেননি। যাঁদের কেবল ক্লাস রয়েছে, তাঁরা অংশ নিচ্ছেন। যাঁদের পরীক্ষা ছিল, তাঁরা প্রস্তুতির জন্য কিছুটা সময় চেয়েছে। প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের ওরিয়েন্টেশন হবে ১৪ আগস্ট, ক্লাস শুরু ১৭ আগস্ট।

গত ১৮ ফেব্রুয়ারি ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে শতাধিক ব্যক্তি আহত হন। ওই রাতেই তৎকালীন উপাচার্য ও কয়েকজন শিক্ষককে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ ওঠে। এরপর শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে ২৬ এপ্রিল শিক্ষা মন্ত্রণালয় উপাচার্য অধ্যাপক মুহাম্মদ মাছুদ ও সহ-উপাচার্য অধ্যাপক শরিফুল আলমকে অব্যাহতি দেয়। ১ মে চুয়েটের অধ্যাপক হজরত আলীকে অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। পরবর্তী সময়ে শিক্ষক লাঞ্ছনার ঘটনার বিচার দাবিতে ৪ মে থেকে একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম বর্জনের ঘোষণা দেয় শিক্ষক সমিতি। এরপর কোনো শিক্ষকই ক্লাসে ফেরেননি। শিক্ষক সমিতির বিরোধিতার মুখে হজরত আলী দায়িত্ব পালন করতে না পেরে ২২ মে পদত্যাগ করেন।

এরপর ১০ জুন নতুন উপাচার্য নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেয় সরকার। সেই ধারাবাহিকতায় গত বৃহস্পতিবার কুয়েটের উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পান বুয়েটের যন্ত্রকৌশল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক মাকসুদ হেলালী। পরদিন শুক্রবার তিনি খুলনায় এসে দায়িত্ব নেন। দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও রাজনৈতিক ব্যক্তিদের সঙ্গে একাধিক বৈঠক করেন। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল শিক্ষক সমিতির সাধারণ সভায় আন্দোলন কর্মসূচি তিন সপ্তাহের জন্য স্থগিত করে ক্লাসে ফেরার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এরপর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে গতকাল সোমবার ক্লাস শুরুর নোটিশ জারি করা হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সিডনিতে ড্র অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের কেউ না থাকায় হতাশ প্রবাসীরা
  • ‘মুক্তির উৎসব’ করতে সহযোগিতা চেয়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সাবেক সমন্বয়কের আবেদন
  • এবার পরিবার নিয়ে ঘরে বসেই ‘উৎসব’
  • খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৬০ দিন পর শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীরা, উৎসবের আমেজ