বহমান নদীর পাড়ে দাঁড়িয়ে অভিনেত্রী রুনা খান। তার মাথার চুলগুলো আলগা করে ছেড়ে দেওয়া। চোখে-মুখে লেখে আছে হাসি। গায়ে টপস, পরনে শর্টস। ফেসবুকে পোস্ট করা কয়েকটি ছবিতে এমন লুকে ধরা দিয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারজয়ী এই অভিনেত্রী। ছবির ক্যাপশনে লেখা— “হাডসন নদীর তীরে, নিউ ইয়র্ক।”

অভিনেত্রী রুনা খান মাঝে মাঝে আলোচনায় উঠে আসেন। এর আগে ওজন কমিয়ে, নিয়ম ভাঙা পোশাক পরে আলোচনার জন্ম দিয়েছেন। ফের স্বল্পবসনে ক্যামেরাবন্দি হয়ে নেট দুনিয়ায় চর্চার বিষয়ে পরিণত হয়েছেন।

রুনা খানকে এমন লুকে দেখে নেটিজেনদের অনেকে তার ভূয়সী প্রশংসা করছেন। নাট্যনির্মাতা নোমান রবিন লেখেন, “আমার বউডারে এমন বেহেস্তি পোশাকে মুক্ত আকাশের নিচে উড়তে দেখতাম চাই। কোনো টেনশন ছাড়া, জড়তা ছাড়া বউ বাচ্চাগুলারে চলাফেরা করতে দেখতে চাই। আম্রিকা এমন এক দেশ যেখানে চোখের ইবাদত, মুখের ইবাদত, সর্বোপরি চিন্তার ইবাদতকে প্রধান্য দেয়া হয়। খুব শিগগির নিউ ইয়র্কে আসমু। ভালো থাকো।”

আরো পড়ুন:

ইউটিউব ট্রেন্ডিংয়ে ঈদের সেরা চার নাটক

গামছা পরে ঘুমিয়ে থাকার কারণ জানালেন সমু চৌধুরী

জীবন তাপস তন্ময় লেখেন, “সাহসী হৃদয়।” পঙ্কজ লেখেন, “চমৎকার।” নূর এ আলম লেখেন, “এই ছবি দেখে যাদের অন্তরে জ্বালা ধরেছে তাদের জন‍্য সমবেদনা।” তুহিন চৌধুরী লেখেন, “সুন্দর মানুষটির জন্যে প্রকৃতিও সৌন্দর্যের অহংকারে নিজেকে মেলে ধরেছে।” এমন অসংখ্য মন্তব্য শোভা পাচ্ছে কমেন্ট বক্সে।

আবার রুনা খানের এসব ফেসবুকে পোস্ট করে কেউ কেউ এ অভিনেত্রীকে কটাক্ষ করছেন। একজন লেখেন, “৫০ বছর তিলে তিলে গড়া নিজের সম্মান মাত্র ৫০ সেকেন্ডে নষ্ট হয়ে যেতে পারে। রুনা খান এটাও তার প্রমাণ। বুইড়া বয়সে তার এখন জুয়ান…নিজেকে শো না করলে তো আর চলে না। যাদের বয়স কম, তাদের তো এখন ইনকাম বেশি। তাই রুনা আন্টিও ইনকাম বাড়াতে চাচ্ছে। এই আর কি।”

এমন অসংখ্য মন্তব্য ভেসে বেড়াচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। তবে বরাবরের মতো রুনা তার ইচ্ছাকে উপভোগ করছেন। এসব মন্তব্য নিয়ে তার কোনো মাথা ব্যথা নেই। কিছুদিন আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গিয়েছেন রুনা খান। আপাতত সেখানেই নিজের মতো সময়টা উপভোগ করছেন এই অভিনেত্রী।

ঈদুল আজহায় রুনা অভিনীত বেশ কটি কনটেন্ট মুক্তি পেয়েছে। ওটিটি প্ল্যাটফর্ম হইচই-এ তার ওয়েব সিরিজ ‘বোহেমিয়ান ঘোড়া’, আইস্ক্রিনে ওয়েব সিরিজ ‘পাপ কাহিনী’, ওয়েব ফিল্ম ‘নীলপদ্ম’ মুক্তি পেয়েছে।

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ট ভ ন টক করছ ন

এছাড়াও পড়ুন:

প্রতিষ্ঠার দেড় যুগ পর ইতিহাসের সাক্ষী হতে যাচ্ছে বেরোবি

‎বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ব্রাকসু) নিয়ে অপেক্ষার প্রহর শেষ হতে চলেছে শিক্ষার্থীদের। গত ২৮ অক্টোবর রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের মাধ্যমে ‎বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের গেজেট প্রকাশ হয়ছে গঠনতন্ত্র।

এরই মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ১৭ বছর পর হতে যাচ্ছে কাঙিক্ষত কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ তথা ব্যাকসু নির্বাচন। তবে এর জন্য আমরণ অনশন থেকে শুরু করে সব ধরনের কর্মসুচিই পালন করেছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

আরো পড়ুন:

‘আমরা একটা অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন করতে চাই’

‎বেরোবিতে শহীদ আবু সাঈদ স্মৃতিস্তম্ভের মডেল প্রদর্শন

‎জুলাই অভ্যুত্থান পর গণরুম ও গেস্ট রুমের যে সাংস্কৃতি ছিল, তা এখন বন্ধ হয়েছে। কোনো রাজনৈতিক দলের কমকাণ্ডে সামিল হওয়াও বাধ্যতামুলক নয়।

‎তাই শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এ ছাত্র সংসদ। যাতে শিক্ষার্থীদের অধিকার ও স্বার্থ সুরক্ষিত হবে।

‎কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ বেরোবির বিধিমালা অনুযায়ী, ১৩টি পদে সরাসরি নির্বাচন ও হল সংসদে নয়টি পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। যাতে শিক্ষার্থীরা তাদের প্রতিনিধির মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে সব ধরনের কথা তুলে ধরতে পারবেন।

‎পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী শেখর রায় বলেন, “সুষ্ঠু নিরপেক্ষ ও লেজুরবিত্তিক রাজনীতি ব্যতীত একটি নির্বাচন হোক। যোগ্য, আদর্শ, উত্তম চরিত্র ও মনের প্রার্থী বিজয়ী হোক। নির্বাচিত হয়ে তারা হয়ে উঠুক বেরোবির একেকজন যোগ্য প্রতিনিধি। তারা ন্যায়ের পক্ষে থাকুক । তাদের হাত ধরেই এগিয়ে যাক বেরোবি।”

‎গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী জাওয়াদ সাজিদ বলেন, “ছাত্র সংসদ শিক্ষার্থীদের দাবি, অধিকার ও স্বার্থ রক্ষার প্রধান মঞ্চ। এটি প্রশাসন ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করে, যাতে প্রতিটি শিক্ষার্থীর কণ্ঠ পৌঁছে যায় সিদ্ধান্ত গ্রহণের টেবিলে। কিন্তু এজন্য সংসদকে দলীয় প্রভাবমুক্ত, স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক হতে হবে। প্রকৃত অর্থে ছাত্র সংসদ তখনই সফল, যখন তা শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি হয়ে তাদের সমস্যার সমাধান ও কল্যাণে কাজ করে।”

‎অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী আতিকুর রহমান বলেন, “আমরা এমন ছাত্র সংসদ চাই, ‎যেখানে যোগ্য নেতৃত্ব আসবে এবং সব শিক্ষার্থীর সমস্যা সমাধানের হাতিয়ার হয়ে কাজ করবে। সবমিলিয়ে সবার বিশ্বস্ত জায়গা হবে এই ছাত্র সংসদ।”

ঢাকা/সাজ্জাদ/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ