যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আমি ইরান ছাড়তে চাই: তেহরানের বাসিন্দা
Published: 14th, June 2025 GMT
‘দিনরাত শহর জুড়ে বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পাচ্ছি। রাত যতই ঘনিয়ে আসছে, বিস্ফোরণের শব্দ ততই তীব্র হচ্ছে। এই মুহূর্তে নিজের অ্যাপার্টমেন্ট থেকে বের হতে খুব ভয় পাচ্ছি।’
তেহরান উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী টিকের এসব কথা বলেন বিবিসিকে।
টিকে জানান, ইরানের অনেক মানুষের মতো, সেও তার পরিবার এবং বন্ধুদের সাথে বারবার যোগাযোগ করছে। জানার চেষ্টা করছে, তারা নিরাপদ আছে কিনা।
‘সবাই একই কথা বলছে যে তারা ঘুমাতে পারছে না,’ বলেন টিকে।
ইসরায়েলি অব্যাহত আক্রমণের মধ্যেই, কলেজের পরীক্ষায় মনোযোগ দেয়ার চেষ্টা করছে টিকে। বছরের পর বছর ধরে সে এর জন্য প্রস্তুতি নিয়েছে, কিন্তু এখন এটি অনেক দূরের চিন্তা বলেই মনে হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘আমি সত্যিই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ইরান ছেড়ে যেতে চাই।কিন্তু আমার কাছে যথেষ্ট অর্থ নেই।’
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ইসর য় ল
এছাড়াও পড়ুন:
ডাকসুর বিবৃতি: বিএনপি তরুণ প্রজন্মের আকাঙ্ক্ষাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছে
জুলাই সনদে সই করলেও বিএনপি ধারাবাহিকভাবে সংস্কার কার্যকর করার বিরোধিতা করে তরুণ প্রজন্মের আকাঙ্ক্ষাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছে, এমন বিবৃতি দিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু)। রোববার বিবৃতিটি গণমাধ্যমে পাঠানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, জুলাই বিপ্লব ছিল বৈষম্য, অবিচার ও ফ্যাসিবাদী শাসনকাঠামোর বিরুদ্ধে এ দেশের সর্বস্তরের ছাত্র-জনতার সম্মিলিত বিপ্লব। শুধু সরকার পরিবর্তন নয়, বরং রাষ্ট্রের মৌলিক সংস্কার, ক্ষমতার অপব্যবহার রোধ ও একটি বৈষম্যহীন-ন্যায়ভিত্তিক নতুন বাংলাদেশ গড়ার আকাঙ্ক্ষা ছিল বিপ্লবের মূল ভিত্তি। নতুন প্রজন্ম চেয়েছিল এমন একটি বাংলাদেশ, যেখানে কোনো প্রকার বৈষম্য ও রাজনৈতিক একচেটিয়া কর্তৃত্বের জায়গা থাকবে না। কিন্তু দুঃখজনকভাবে জুলাই সনদে সই করলেও বিএনপি ধারাবাহিকভাবে সংস্কার কার্যকর করার বিরোধিতা করে তরুণ প্রজন্মের আকাঙ্ক্ষাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছে।
ডাকসুর বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বিশেষত বিএনপি এমন সব মৌলিক সংস্কারের বিরোধিতা করেছে, যা সরাসরি ছাত্র-জনতার স্বপ্নের সঙ্গে জড়িত। পিএসসি, দুদক, ন্যায়পাল ও মহাহিসাব নিরীক্ষকের মতো সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে স্বচ্ছ ও দলীয় প্রভাবমুক্ত নিরপেক্ষ নিয়োগ নিশ্চিত করার সংস্কার প্রস্তাবের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে তারা ক্ষমতার একচ্ছত্র দখলদারি বহাল রাখতে চায়। কোনো রাজনৈতিক দলের বিরোধিতা বা প্রাতিষ্ঠানিক প্রভাব রাষ্ট্রগঠনমূলক সংস্কারের পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করলে ছাত্র-জনতা সেই বাধা অতিক্রমে দৃঢ়ভাবে অবস্থান নেবে।