কেন এবার একসঙ্গে পেকে যাচ্ছে ক্ষিরশাপাতি, আম্রপালি, ল্যাংড়া
Published: 15th, June 2025 GMT
আগে আম্রপালি গাছ থেকে পাড়া হবে, তারপর রাঙ্গুয়াই জাতের আম। খাগড়াছড়িসহ পাহাড়ের বিভিন্ন অঞ্চলে এটাই ছিল রীতি। রাঙ্গুয়াই জাতের আমটির উৎপাদন পার্বত্য চট্টগ্রামে ব্যাপক হারে হয়। এ জাতটি পাহাড়কে এখন আমের নেতৃত্ব দেওয়ার আসনে নিয়ে যাচ্ছে প্রায়।
এবার কিন্তু রাঙ্গুয়াই আর আম্রপালি পাড়ার সময়ের হিসাব মিলছে না। সাধারণত ১০ থেকে ১২ জুন পাহাড়ে আম্রপালি পাড়া হয়। খাগড়াছড়ি সদর উপজেলার আমের ব্যবসায়ী জ্ঞানজ্যোতি চাকমা বলছিলেন, এবার সব উল্টোপাল্টা হয়ে গেছে। রাঙ্গুয়াই আগে পাড়তে হচ্ছে। এর মধ্যে আবার আম্রপালি পেকে গেছে।
আমচাষি জ্ঞান জ্যোতি চাকমা গতকাল শনিবার জানান, এখন তাঁর এলাকায় রাঙ্গুয়াই আম বিক্রি হচ্ছে ১৬ টাকা কেজি, আর আম্রপালি ৩০ টাকা। গত বছর ২৫ টাকার নিচে রাঙ্গুয়াই বিক্রি করেননি, আর আম্রপালিও ৪০ টাকার নিচে নামেনি।
খাগড়াছড়ি সদরের গোলাবাড়ি এলাকায় ৩০ একরের বাগানে এবার আম চাষ করেছেন জ্ঞানজ্যোতি চাকমা। তাঁর কথা, ‘অবস্থা যা হয়েছে, উৎপাদনের খরচ উঠবে না কারও। এভাবে চললে আমচাষিরা ভবিষ্যতে আম উৎপাদন করতে কয়েকবার চিন্তা করবে।’
শুধু পাহাড় নয়, দেশের আমের ভান্ডার হিসেবে খ্যাত উত্তরাঞ্চলের চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহী ও নওগাঁতেও একই অবস্থা। নওগাঁ ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ অঞ্চলে এখন ক্ষিরশাপাতি, ল্যাংড়া, আম্রপালি, নাগফজলি একই সঙ্গে পেকে গেছে।
এবার এমনটা হলো কেন? কৃষিবিদ, উদ্যোক্তা ও আমচাষিদের সঙ্গে কথা বলে অন্তত তিনটা কারণের কথা জানা গেল। সেগুলো হলো—বৈরী আবহাওয়া, নিয়ন্ত্রণহীন কীটনাশক ও বৃদ্ধিকারকের ব্যবহার এবং ঈদ উপলক্ষে দেওয়া দীর্ঘ ছুটি।
মাঠপর্যায়ে কৃষকের সঙ্গে কথা বলে বোঝা গেল, একসঙ্গে এত আম পেকে যাওয়ার কারণে দাম অনেকটা কমে এসেছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে উৎপাদন খরচের চেয়ে কম দামে আম ছেড়ে দিতে হচ্ছে।
অতি গরমে পাকছে আম৮ জুন দেশের বিভিন্ন স্থানে তাপপ্রবাহ শুরু হয়। চার থেকে পাঁচ দিন চলে এ তাপপ্রবাহ। এর মধ্যে দু-এক দিন ৩৫ থেকে ৪০ জেলায় একটানা তাপপ্রবাহ বয়ে যায়।
দেশে এ বছর মৌসুমি বায়ু প্রবেশ করেছে নির্ধারিত সময়ের অন্তত সাত দিন আগে। এর ফলে মে মাসের শেষ দিকে খানিকটা বৃষ্টি হয়েছে। সেই বৃষ্টির রেশ ছিল জুনের প্রথমেও। এরপরেই তাপপ্রবাহ শুরু হলো। গত এক দশকের বেশি সময় মৌসুমি বায়ু সক্রিয় থাকার সময়ও তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্তে। আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদের এক গবেষণায় দেখা গেছে, এ প্রবণতা উত্তরাঞ্চলসহ দেশের সর্বত্রই রয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘মে মাসে হয়ে যাওয়া গভীর নিম্নচাপটি অনেক বৃষ্টি ঝরায়। কিন্তু এরপরও তার প্রভাব শুরু হয়ে যায়। গভীর নিম্নচাপের সময় আমরা বলেছিলাম যে এরপরে তাপপ্রবাহ আসতে পারে। এখন যেটা দেখা যাচ্ছে যে এ মাসে স্বাভাবিকের চেয়ে বরং কম বৃষ্টি হতে পারে। সাম্প্রতিক সময়েই প্রবণতাগুলো একটু বেশি দেখা যাচ্ছে।’ এই যে অতি তাপ, তাতে ফসল বা ফলের ওপর প্রভাব পড়ে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞেরা।
আম দ্রুত পাকে কেনবাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক এবং বিশিষ্ট আমবিশেষজ্ঞ এম আবদুর রহিম প্রথম আলোকে বলেন, এবার তাপমাত্রা হঠাৎ করে বেড়ে যাওয়ার কারণেই আম দ্রুত পাকা শুরু হয়েছে। আম ধীরে ধীরে পাকলে বিক্রেতার যেমন লাভ, তেমনি ভোক্তাও ধীরে ধীরে আমের আস্বাদ নিতে পারে।
দুই কারণে গরম হলে আম দ্রুত পাকে বলে জানান বিশেষজ্ঞ এম আবদুর রহিম। তিনি বলেন, মানুষ যেমন শ্বাসপ্রশ্বাস নেয়, তেমনি আমেরও শ্বসনপ্রক্রিয়া আছে। গরম বেশি হলে আমের শ্বাসপ্রশ্বাসের প্রক্রিয়া বেড়ে যায়। আর তার চিনি তৈরি করার শক্তি বেড়ে যায়। ফলে আম দ্রুত পেকে যায়।
এতে আমের একটা ক্ষতি হয় বলেও জানান এম রহিম। সেটা হলো এর ঘ্রাণ খানিকটা কমে যায়।
বিষয়টির আরও ব্যাখ্যা দেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হর্টিকালচার বিভাগের উপপরিচালক এ কে মনজুরে মাওলা। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘শুধু আম নয়, যেকোনো ফসল তার টিকে থাকার স্বার্থেই কিছু ক্রিয়াকর্ম করে। যেমন অতিরিক্ত তাপ থাকলে পাতা ঝরিয়ে ফেলে। অক্সিজেন নেওয়ার প্রক্রিয়াটা এতে দ্রুত হয়। তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়া বা কোনো বৈরী পরিবেশে গাছের ফলগুলো ওই গাছের জন্য বোঝা হয়ে যায়। আমের ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। এখন এ বোঝাগুলো ঝেড়ে ফেললে গাছটির বেঁচে থাকা সহজ হয়। তাই সে তার কাছে থাকা আমগুলোকে দ্রুত পাকিয়ে ফেলছে।’
নওগাঁ সাপাহারের আম উৎপাদনকারী সোহেল রানার বাগানে এখন ক্ষিরশাপাতি, ল্যাংড়া, আম্রপালি, নাগফজলি একনাগাড়ে পাকা শুরু করেছে। সোহেল বলেন, ‘এমনকি যে ব্যানানা ম্যাংগো মাসের শেষ দিকে গিয়ে পাকে, সেটাও এখন পাকা শুরু হয়ে গেছে। এমন অবস্থা আগে কখনো দেখিনি। এ জন্য দামেও অনেক ছাড় দিতে হচ্ছে।’
উদাহরণ হিসেবে সোহেল জানান, ঈদের আগে আম্রপালি মণপ্রতি সাড়ে চার হাজার টাকা বিক্রি করেছেন। এখন আড়াই হাজারের ওপরে উঠছে না। ল্যাংড়া গতবার তিন হাজার করে বিক্রি করলেও এবার দ্রুত পেকে যাওয়ার কারণে ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকার মধ্যে মণপ্রতি বিক্রি করতে হচ্ছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের হারুদিঘিতে গাছে ধরে আছে ক্ষিরশাপাতি আম.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: প ইনব বগঞ জ আম দ র ত প ক র আম র প রথম
এছাড়াও পড়ুন:
৭ উপাচার্যের অংশগ্রহণে গোবিপ্রবিতে শিক্ষা সমাপনী
গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (গোবিপ্রবি) নবম ব্যাচের (নবনীতক ৯) শিক্ষার্থীদের নিয়ে শিক্ষা সমাপনী-২০২৪ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থীদের বিদায় বেলায় এক মঞ্চে আসীন হন দেশের বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের খ্যাতিমান সাত উপাচার্য।
বুধবার (৩০ জুলাই) দুপুর ১২টায় একাডেমিক ভবন প্রাঙ্গণে আনন্দঘন পরিবেশে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হোসেন উদ্দিন শেখর ছাড়াও অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হায়দার আলী, খুলনা কৃষি বিশ্বিবদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নাজমুল আহসান, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এম সরওয়ারউদ্দিন চৌধুরী, পিরোজপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল ইসলাম, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এসএম আব্দুল আওয়াল, রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আতিয়ার রহমান ও শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুসলেহ উদ্দিন তারেক।
আরো পড়ুন:
নতুনবাজারের সেই রনির বুলেটের যন্ত্রণা আজো থামেনি
শিশু ছাত্রীকে যৌন নির্যাতন, মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা
এক মঞ্চে একইসঙ্গে এতজন উপাচার্যকে পেয়ে সমাপনী ব্যাচসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হায়দার আলী বলেন, “এভাবে একসঙ্গে পুরো সেশনের শিক্ষা সমাপনী আয়োজনের আইডিয়াটি অত্যন্ত চমৎকার। এতে করে একটি ব্যাচের একইসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে প্রবেশ ঘটে। যেখানে সবার একসঙ্গে পরীক্ষা হয়, রেজাল্ট প্রকাশ হয় এবং কোনো সেশন জট থাকে না। আমি এই আইডিয়াটি আমার নিজ বিশ্ববিদ্যালয়েও বাস্তবায়নের চেষ্টা করব।”
খুলনা কৃষি বিশ্বিবদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নাজমুল আহসান বলেন, “আমরা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যগণ এখানে এসেছি সংহতি জানানোর জন্য। আমি নবম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের জীবনে সফলতা কামনা করছি।”
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এম সরওয়ারউদ্দিন চৌধুরী বলেন, “শিক্ষার্থীদের বিসিএস দেওয়া, বিভিন্ন সেক্টরে কাজ করা বা ব্যবসা করার লক্ষ্য থাকে। তবে জীবনে কোনো না কোনো কিছু করতেই হবে। এক্ষেত্রে অবসর বলে কোনো শব্দ থাকা উচিত নয়।”
পিরোজপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, “আমি যখন দেশের বাইরে পড়াশোনা করতাম, তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে আমি কখনোই দেখিনি। আর বাংলাদেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের মঞ্চে কখনো একসঙ্গে সাতজন উপাচার্যকেও বসতে দেখিনি, এটা অধ্যাপক ড. হোসেন উদ্দিন শেখর করে দেখিয়েছেন।”
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম আব্দুল আওয়াল বলেন, “আমরা যদি আন্তর্জাতিক পরিপ্রেক্ষিতে চিন্তা করি, আমাদের চাকরি খোঁজার পাশাপাশি এমন কিছু করার মানসিকতা রাখতে হবে, যা দেশ ও জাতির জন্য কল্যাণ বয়ে আনবে।”
রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. আতিয়ার রহমান বলেন, “শিক্ষা সমাপনী মানেই সব সম্পর্ক ছিন্ন করা নয়। বিশ্বে এমন অনেক নজির আছে, যেখানে অ্যালামনাই থেকে উপাচার্য নিয়োগ হয়েছে। তাই নিজেকে বিস্তৃত পরিসরে মেলে ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের মুখ উজ্জ্বল করার দায়িত্ব নিতে হবে।”
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুসলেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, “নিজেকে চেনাই সবচেয়ে বড় শিক্ষা। আর শিক্ষার্থীদের কর্মজীবনই বলে দেবে, তারা বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে কতটা জ্ঞান অর্জন করেছে।”
প্রধান অতিথিরি বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. হোসেন উদ্দিন শেখর আগত উপাচার্যদের কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, “শিক্ষার্থীদের অনুপ্রেরণা দেওয়ার জন্যই আমাদের এই প্রয়াস। একইসঙ্গে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি তুলে ধরাও আমাদের লক্ষ্য। আমরা জানিয়ে দিতে চাই, গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে চায় এবং অচিরে দাঁড়াবেই।”
তিনি বলেন, “আমরা ইতোমধ্যে ইউজিসির দুইটি হিট প্রকল্প পেয়েছি এবং ভবিষ্যতে আরো পাব। আমরা আশা করছি, বি ক্যাটাগরি থেকে আগামী অর্থবছরের আগেই আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়টি এ ক্যাটাগরিতে উন্নীত হবে।”
গোবিপ্রবির উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. সোহেল হাসানের সভাপতিত্বে এতে কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ নাজমুল আহসানসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার, প্রক্টর, ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক, সব অনুষদের ডিন, বিভাগীয় সভাপতি ও প্রাধ্যক্ষগণ, দপ্তর প্রধানগণ, বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে, জুলাই শহিদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু করা হয়।
শিক্ষা সমাপনী উপলক্ষে বুধবার ছাত্রদের কালার ফেস্ট ও সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা এবং আগামীকাল বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) সন্ধ্যায় একটি কনসার্টের আয়োজন করা হয়েছে।
ঢাকা/রিশাদ/মেহেদী