গরমকালে শরীর থেকে প্রচুর  পরিমাণে ঘাম ঝরে,এ কারণে  শরীরচর্চা করা বেশ কষ্টকর। গরমকালে সঠিক পদ্ধতিতে শরীরচর্চা না করলে পানিশূন্যতার সমস্যা দেখা দিতে পারে। এজন্য শরীরচর্চার সময় বিশেষভাবে সতর্ক থাকা প্রয়োজন। 

শরীরচর্চার সময় সুস্থ থাকতে যা করবেন-

১. গরমের দিনে যারা রোজ হাঁটতে বা দৌড়াতে যান কিংবা জগিং করেন সকালের দিকে করার চেষ্টা করুন। রোদ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ির বাইরে শরীরচর্চা করা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে। এ সময় শরীরচর্চা করলে শরীর অসুস্থ হয়ে যাবে । এ কারণে গরমের দিনে ভোরবেলায় শরীরচর্চা করাই ভালো। 

২.

গরমকালে জিমে গেলে অতিরিক্ত পরিশ্রমের কোন কাজ করবেন না। নতুন কোনও ওয়ার্ক আউটের আগে অবশ্যই ট্রেনারের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। নিজে নিজে কিছু না করাই স্বাস্থ্যের পক্ষে ভালো। 

৩. যারা একদম ভোরবেলায় শরীরচর্চা করতে পারছেন না, তারা দিনেরবেলায় বাড়ির ভেতরেই শরীরচর্চা করার চেষ্টা করুন। দিনে না পারলে বিকেলে কিংবা রাতের দিকে হাঁটাচলা, দৌড়ানো, জগিং- এগুলি করতে পারেন। এতে ঘাম ঝরলেও শরীর অসুস্থ হয়ে যাবে না।
 
৪. বাড়ির বাইরে শরীরচর্চা করতে বেরোলে গরমের দিনে অবশ্যই পানির বোতল আর টাওয়েল সঙ্গে রাখুন। গরমে ওয়ার্ক আউট করলে ঘাম আরও বেশি হয়। এ কারণে মাঝে মাঝে বিরতি নিয়ে ঘাম মুছে নিন টাওয়েলে। তা না হলে ঘাম বসে সর্দির সমস্যা হতে পারে। গরমকালে শরীরচর্চার মাঝে বিরতি নিয়ে অল্প অল্প করে পানি না খেলে শরীরে ডিহাইড্রেড হয়ে পড়তে পারে। 

৫. গরমের দিন রোদ এড়িয়ে শরীরচর্চা করার চেষ্টা করুন। সরাসরি সূর্যের তাপে ওয়ার্ক আউট করলে অসুস্থ হতে পারেন, হিটস্ট্রোকও হতে পারে। ওয়ার্ক আউটের পর ভালভাবে গোসল করা অবশ্যই প্রয়োজন। এরপর কিছু খেয়েও নেওয়াও জরুরি। তা না হলে শরীর দুর্বল হয়ে যাবে। 

৬. গরমকালে শরীরচর্চা শুরুর অন্তত ৩০ মিনিট আগে হালকা কিছু খেয়ে নিন। খালি পেটে একসারসাইজ করা ঠিক হবে না। 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: গরম র দ ন গরমক ল

এছাড়াও পড়ুন:

শেফালি আর দীপ্তিতে নতুন মুম্বাইয়ে নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারত

নাবি মুম্বাই। নয়া মুম্বাই। নতুন সেই মুম্বাইয়ে কাল নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন পেল মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপ। ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত।

দীপ্তি শর্মার করা ৪৬তম ওভারের তৃতীয় বলে নাদিন ডি ক্লার্কের তোলা ক্যাচটি এক্সট্রা কাভারে ভারত অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌরের হাতে জমা হতেই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের আনন্দে মাতল পুরো ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকা ২৪৬ রানে অলআউট, ভারত ৫২ রানে জয়ী।

ভারতের জয়ের উৎসব অবশ্য শুরু হয়ে গিয়েছিল পাঁচ ওভার আগেই। লরা ভলভার্টকে ফিরিয়ে পথের কাঁটা উপড়ে ফেলেই উদ্‌যাপন শুরু করেছিল ভারতীয়রা। অসাধারণ এক সেঞ্চুরি করে দক্ষিণ আফ্রিকান অধিনায়ক চোখ রাঙাছিলেন ভারতের উৎসব ভন্ডুল করার। কিন্তু সেঞ্চুরি করার পরপরই ক্যাচ তুললেন ভলভার্ট। আর সেই ক্যাচ নিতে গিয়ে আমানজোত কৌর ভারতের প্রায় শত কোটি মানুষের হৃৎস্পন্দন প্রায় থামিয়ে দিয়েছিলেন। একবার নয়, দুবার নয়, তৃতীয়বারের চেষ্টাতেই ক্যাচ নিতে পারেন আমানজোত। এবারও বোলার সেই অফ স্পিনার দীপ্তি শর্মা।

৯৮ বলে ১০১ রান করে ভলভার্ট যখন ফিরলেন দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর ৪১.১ ওভারে ২২০/৭। এরপর শুধু আনুষ্ঠানিকতাই ছেড়েছে ভারত। দীপ্তি আরও ২টি উইকেট নিয়ে পেয়ে গেছেন ৫ উইকেট। আর ভারত হয়ে গেছে চ্যাম্পিয়ন। এর আগে ব্যাট হাতেও ৫৮ বলে ৫৮ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেছেন দীপ্তি।

ব্যাট হাতে ৮৭ রান করা শেফালি বর্মা বল হাতে নিয়েছেন ২ উইকেট

সম্পর্কিত নিবন্ধ