অবকাশ শেষে হাইকোর্টে বিচারকাজ পরিচালনার জন্য ৪৯ বেঞ্চ গঠন করে দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ। আগামী রোববার থেকে এসব বেঞ্চে বিচারকাজ চলবে।

গতকাল মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতির এ আদেশ সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, রোববার থেকে হাইকোর্ট বিভাগের বিচার কাজ পরিচালনার জন্য ৪৯টি বেঞ্চ গঠন করা হয়েছে। নোটিশে ২৮টি দ্বৈত বেঞ্চ এবং ২১টি একক বেঞ্চের নাম এবং বিচারিক এখতিয়ার উল্লেখ করা হয়েছে।

গত ৩ জুন থেকে ২১ জুন পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগে অবকাশ চলছে। প্রথা অনুসারে প্রতিবার অবকাশ শেষে এবং প্রয়োজন অনুযায়ী প্রধান বিচারপতি তার প্রশাসনিক ক্ষমতাবলে বেঞ্চ গঠন ও পুনর্গঠন করে থাকেন।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব ঞ চ গঠন

এছাড়াও পড়ুন:

‎বেরোবি উপাচার্য কলিমউল্লাহসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

‎অর্থ আত্মসাৎ, ঠিকাদারকে অগ্রিম বিল প্রদানসহ নানা অভিযোগে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) সাবেক দুই উপাচার্যসহ মোট পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

‎বুধবার (১৮ জুন) গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদকের মহাপরিচালক আক্তার হোসেন।

‎‎মামলার আসামিরা হলেন বেরোবির সাবেক উপাচার্য ও প্রকল্প পরিচালক এ কে এম নূর-উন-নবী, সাবেক উপাচার্য নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম, ঠিকাদার আব্দুস সালাম বাচ্চু ও ঠিকাদার এমএম হাবিবুর রহমান।

আরো পড়ুন:

কিশোরগঞ্জে মাদক মামলায় নারীর যাবজ্জীবন

ঘরের দরজা ভেঙে বিধবাকে ধর্ষণ, থানায় মামলা

‎দুদক মহাপরিচালক আক্তার হোসেন বলেন, “পরস্পর যোগসাজশ, অপরাধজনক বিশ্বাসভঙ্গ, ক্ষমতার অপব্যবহার করে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় উন্নয়ন প্রকল্পের অনুমোদিত ডিপিপি উপেক্ষা করে নকশা পরিবর্তন, ৩০ কোটি টাকা মূল্যের ঊর্ধ্বের চুক্তি মন্ত্রণালয় বা বিভাগের অনুমোদন ব্যতিরেকে সম্পাদন, ঠিকাদারের রানিং বিল থেকে কর্তনকৃত নিরাপত্তা জামানতকে এফডিআর হিসেবে ব্যাংকে জমা রাখা এবং সেই এফডিআরকে লিয়েনে রেখে ঠিকাদারকে লোন প্রদান করার জন্য নো অবজেকশন সার্টিফিকেট অনুমোদন তথা গ্যারান্টর হয়ে বিশ্ববিদ্যালয় তথা সরকারের ৪ কোটি টাকা আত্মসাৎ, ঠিকাদারের সঙ্গে সম্পাদিত চুক্তিতে অগ্রিম অর্থ প্রদানের কোনো সংস্থান না থাকা সত্ত্বেও ঠিকাদারকে আর্থিক সহযোগিতার কারণ দেখিয়ে ব্যাংক গ্যারান্টি গ্রহণ করে অগ্রিম বিল প্রদান করা এবং অগ্রিম প্রদানকৃত বিল সমন্বয়ের পূর্বেই অগ্রিম বিলের বিপরীতে প্রদত্ত ব্যাংক গ্যারান্টিসমূহ অবমুক্ত করা, প্রথম পরামর্শক প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রদানকৃত ড্রইং/ডিজাইন না মেনে সরকারি খাতে ক্রয় পদ্ধতির বিধিবর্হিভূতভাবে দ্বিতীয় পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগ প্রদান, অস্বাভাবিক হারে মূল্য দাখিল বা ফ্রন্ট লোডিং থাকা সত্ত্বেও পিপিআর ২০০৮-এর বিধান অনুযায়ী দরপত্র মূল্যায়ন সম্পন্ন না করার অভিযোগ রয়েছে।”

তিনি বলেন, “এগুলো দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫(২) ও দণ্ডবিধির ৪০৯, ১০৯ ধারায় ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ।”

ঢাকা/সাজ্জাদ/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ