ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (সিপিএল) দেখা যাবে সাকিব আল হাসানকে। অ্যান্টিগা অ্যান্ড বারবুডা ফ্যালকনসের হয়ে খেলবেন সাকিব। সিপিএল কর্তৃপক্ষ নিজেদের ফেসবুক পেইজে এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।
কিছুদিন আগে সাকিব পাকিস্তান সুপার লিগে খেলেছিলেন। এবার খুলল তার সিপিএলের দরজা। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খেলার সুযোগ না থাকায় তাকে ফ্রাঞ্চাইজি ক্রিকেটেই খেলতে হবে।
দুই বছর পর সাকিবকে দেখা যাবে সিপিএলে। সর্বশেষ ২০২২ সালে গায়ানা আমাজন ওয়ারিয়র্সের হয়ে খেলেছিলেন। সিপিএলে এখন পর্যন্ত তিনটি দলের হয়ে পাঁচ মৌসুম খেলেছেন বিশ্বের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার। ২০১৩ ও ২০১৯ সালে বার্বাডোজ ট্রাইডেন্টস এবং ২০১৬ ও ২০১৭ সালে জ্যামাইকা তালাওয়াসে। পাঁচ বছর পর সবশেষ ২০২২ সালে খেলেছিলেন। এবার তিন বছর পর নতুন আরেকটি দলে তাকে দেখা যাবে।
আরো পড়ুন:
শেয়ারবাজারের শত কোটি টাকা আত্মসাৎ: সাকিবসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা
সাকিবসহ ২৫ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
২০১৩ সালে বার্বাডোজ ট্রাইডেন্টসের হয়ে ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগোর বিপক্ষে ৬ রানে ৬ উইকেট নিয়েছিলেন। যা সিপিএলে এখন পর্যন্ত সেরা বোলিং। সব মিলিয়ে সিপিএলে ৩৬ ম্যাচ খেলেছেন সাকিব। রান করেছেন ৪৪৮। উইকেট নিয়েছেন ৩৭টি।
আগামী ১৪ আগস্ট থেকে শুরু সিপিএল। উদ্বোধনী ম্যাচেই মাঠে নামবে অ্যান্টিগা অ্যান্ড বারবুডা ফ্যালকনস ও সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস প্যাট্রিয়টস।
ঢাকা/ইয়াসিন
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ক ব আল হ স ন স প এল
এছাড়াও পড়ুন:
এভাবেও ফিরে আসা যায়
খেলার মাঠে খেলা তো হয়ই, এর বাইরে হয় বিচিত্র অনেক কিছুই। মাঠে ও মাঠের বাইরের বিচিত্র সব ঘটনা নিয়েই এ আয়োজন।
হার দিয়ে শুরু, চ্যাম্পিয়ন হয়ে শেষ—ইংল্যান্ডের নারী ইউরো জয়ের পথটা মোটেই মসৃণ ছিল না এবার। নকআউট পর্বে তো প্রতিটি ম্যাচেই শুরুতে পিছিয়ে পড়েছিল দলটি। আর তাতে বিরল কীর্তিতেও নাম উঠে গেছে দলটির। ফুটবল ইতিহাসে মাত্র দ্বিতীয় দল ইংল্যান্ড, যারা নকআউট পর্বের প্রতিটি ম্যাচেই পিছিয়ে পড়ার পর শেষ পর্যন্ত চ্যাম্পিয়ন হয়েছে।
প্রথম দলটিও একটি নারী দল, আর সেই টুর্নামেন্টও ছিল মহাদেশীয়। ২০২২ সালে নারী এশিয়ান কাপে চীনের শিরোপা জয়ের পথটাই যেন ছিল একটানা নাটকীয়তা আর অবিশ্বাস্য প্রত্যাবর্তনের গল্প। কোয়ার্টার ফাইনালে ভিয়েতনামের বিপক্ষে প্রথমে গোল খেয়ে বসেছিল তারা, এরপর ঘুরে দাঁড়িয়ে জেতে ৩-১ ব্যবধানে। সেমিফাইনালে জাপানের বিপক্ষে দুবার পিছিয়ে পড়ে দুবারই সমতায় ফেরে চীন, দ্বিতীয় গোলটি আসে ১১৯তম মিনিটে। টাইব্রেকারে গিয়েও দশম ও শেষ শটের আগে তারা একবারের জন্যও এগিয়ে ছিল না।
তবে ফাইনালে সবকিছুর মাত্রা ছাড়িয়ে যায়। দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে প্রথমার্ধ শেষে ২-০ গোলে পিছিয়ে ছিল চীন। দ্বিতীয়ার্ধের মাঝপথেও একই স্কোরলাইন। এরপর ট্যাং জিয়ালির পেনাল্টি থেকে আসে এক গোল, ৭২তম মিনিটে ঝাং লিনইয়ান সমতায় ফেরান দলকে। আর অতিরিক্ত সময়ের তৃতীয় মিনিটে বদলি খেলোয়াড় শিয়াও ইউইয়ের গোলে লেখা হয় আন্তর্জাতিক ফুটবলের সবচেয়ে রোমাঞ্চকর প্রত্যাবর্তনের অন্যতম সেরা গল্প।
২০২২ সালে মেয়েদের এশিয়ান কাপজয়ী চীন