সর্বাধিক দরিদ্র উপজেলার সবক’টিই জলবায়ু ঝুঁকিতে
Published: 18th, June 2025 GMT
দেশে এখনও তিন কোটির বেশি মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করছে। দরিদ্র এই জনগোষ্ঠীর ওপর জলবায়ু পরিবর্তনের ব্যাপক প্রভাব পড়ে। এতে দরিদ্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর ভবিষ্যৎ আরও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠে। বর্তমানে দেশের ৩০টি সর্বাধিক দরিদ্র উপজেলার সবক’টিই উচ্চ বা মধ্যম মাত্রার জলবায়ু ঝুঁকিতে রয়েছে।
বুধবার প্রকাশিত ‘বাংলাদেশ দারিদ্র্য পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদন-২০২৪’ এ এসব তথ্য উঠে এসেছে। দারিদ্র্য ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক এ প্রতিবেদনটি প্রস্তুত করেছে ইনস্টিটিউট ফর ইনক্লুসিভ ফাইন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (আইএনএম) এবং সেন্টার ফর ইনক্লুসিভ ডেভেলপমেন্ট ডায়ালগ (সিআইডিডি)।
রাজধানীর মহাখালীর ব্র্যাক সেন্টারে প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে আইএনএমের চেয়ারম্যান ড.
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, দেশের সর্বাধিক দরিদ্র উপজেলাগুলোর মধ্যে গৌরীপুর, মাদারীপুর সদর, নেত্রকোনা সদর, চকোরিয়াসহ ৯টি উপজেলা উচ্চ পর্যায়ের জলবায়ু ঝুঁকিতে রয়েছে। এ ছাড়া ডাসার, হালুয়াঘাট, কালকিনি, রায়পুরাসহ সর্বাধিক দরিদ্র অন্য উপজেলাগুলো রয়েছে মধ্যম মাত্রার ঝুঁকিতে। প্রতিবেদনে চুয়াডাঙ্গা, নওগাঁ, ভোলা, সুনামগঞ্জ, কুড়িগ্রাম, সাতক্ষীরা ও বাগেরহাটের তথ্য বিশেষভাবে বিশ্লেষণ করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয, ভৌগোলিক অবস্থানসহ বিভিন্ন বৈশিষ্ট্যের কারণে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঝুঁকিতে রয়েছে বাংলাদেশ। জলবায়ু-দুর্যোগের বিরূপ প্রভাবে সবচেয়ে বেশি পড়তে হয় দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে। দরিদ্রদের অভিযোজন সক্ষমতা সীমিত হওয়ায় তারা আরও বেশি বিপন্ন হয়ে পড়ে।
অন্তর্ভুক্তিমূলক ও দারিদ্র্য সংবেদনশীল অভিযোজন কৌশল প্রণয়ন, জলবায়ু সংবেদনশীল দারিদ্র্য কমানোর উদ্যোগ, বিভিন্ন খাতে সমন্বয় ও আন্তঃসম্পর্কের সর্বোচ্চ ব্যবহার, সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সমন্বয় ও সংগতি বজায় রাখা এবং স্থানীয় উদ্যোগগুলোকে শক্তিশালী করার সুপারিশ করা হয়েছে প্রতিবেদনে।
ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ বলেন, জলবায়ুর পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব আমলে না নিয়ে দরিদ্র নিরসনের উদ্যোগ কোনোভাবেই সফল হবে না। বর্তমানে বিশ্ব এমন একটা পরিস্থিতিতে উপনীত হয়েছে, জলবায়ুর পরির্তন থামানো সম্ভব নয়। এ জন্য সমন্বিত দীর্ঘমেয়াদি পদক্ষেপ নিতে হবে। বাংলাদেশে বিষয়টি নিয়ে প্রচুর আলোচনা হলেও সমন্বিত অগ্রাধিকার উদ্যোগ নেই। তাই প্রতি বছর প্রায় ছয় বিলিয়ন ডলার বা স্থানীয় মুদ্রায় প্রায় ৭৩ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হলেও তার সুফল পাওয়া যায় না।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) মহাপরিচালক ড. এ কে এনামুল হক, পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. ফজলে রাব্বি ছাদেক আহমাদ প্রমুখ।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: জলব য় ঝ ক সমন ব জলব য় উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
সর্বাধিক দরিদ্র উপজেলার সবক’টিই জলবায়ু ঝুঁকিতে
দেশে এখনও তিন কোটির বেশি মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করছে। দরিদ্র এই জনগোষ্ঠীর ওপর জলবায়ু পরিবর্তনের ব্যাপক প্রভাব পড়ে। এতে দরিদ্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর ভবিষ্যৎ আরও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠে। বর্তমানে দেশের ৩০টি সর্বাধিক দরিদ্র উপজেলার সবক’টিই উচ্চ বা মধ্যম মাত্রার জলবায়ু ঝুঁকিতে রয়েছে।
বুধবার প্রকাশিত ‘বাংলাদেশ দারিদ্র্য পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদন-২০২৪’ এ এসব তথ্য উঠে এসেছে। দারিদ্র্য ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক এ প্রতিবেদনটি প্রস্তুত করেছে ইনস্টিটিউট ফর ইনক্লুসিভ ফাইন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (আইএনএম) এবং সেন্টার ফর ইনক্লুসিভ ডেভেলপমেন্ট ডায়ালগ (সিআইডিডি)।
রাজধানীর মহাখালীর ব্র্যাক সেন্টারে প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে আইএনএমের চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য দেন সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক ড. মুস্তফা কে মুজেরী। প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন আইএনএমের রিসার্চ ফেলো ড. ফারহানা নারগিস। তিন হাজার মানুষের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে বলে অনুষ্ঠানে জানানো হয়।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, দেশের সর্বাধিক দরিদ্র উপজেলাগুলোর মধ্যে গৌরীপুর, মাদারীপুর সদর, নেত্রকোনা সদর, চকোরিয়াসহ ৯টি উপজেলা উচ্চ পর্যায়ের জলবায়ু ঝুঁকিতে রয়েছে। এ ছাড়া ডাসার, হালুয়াঘাট, কালকিনি, রায়পুরাসহ সর্বাধিক দরিদ্র অন্য উপজেলাগুলো রয়েছে মধ্যম মাত্রার ঝুঁকিতে। প্রতিবেদনে চুয়াডাঙ্গা, নওগাঁ, ভোলা, সুনামগঞ্জ, কুড়িগ্রাম, সাতক্ষীরা ও বাগেরহাটের তথ্য বিশেষভাবে বিশ্লেষণ করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয, ভৌগোলিক অবস্থানসহ বিভিন্ন বৈশিষ্ট্যের কারণে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঝুঁকিতে রয়েছে বাংলাদেশ। জলবায়ু-দুর্যোগের বিরূপ প্রভাবে সবচেয়ে বেশি পড়তে হয় দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে। দরিদ্রদের অভিযোজন সক্ষমতা সীমিত হওয়ায় তারা আরও বেশি বিপন্ন হয়ে পড়ে।
অন্তর্ভুক্তিমূলক ও দারিদ্র্য সংবেদনশীল অভিযোজন কৌশল প্রণয়ন, জলবায়ু সংবেদনশীল দারিদ্র্য কমানোর উদ্যোগ, বিভিন্ন খাতে সমন্বয় ও আন্তঃসম্পর্কের সর্বোচ্চ ব্যবহার, সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সমন্বয় ও সংগতি বজায় রাখা এবং স্থানীয় উদ্যোগগুলোকে শক্তিশালী করার সুপারিশ করা হয়েছে প্রতিবেদনে।
ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ বলেন, জলবায়ুর পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব আমলে না নিয়ে দরিদ্র নিরসনের উদ্যোগ কোনোভাবেই সফল হবে না। বর্তমানে বিশ্ব এমন একটা পরিস্থিতিতে উপনীত হয়েছে, জলবায়ুর পরির্তন থামানো সম্ভব নয়। এ জন্য সমন্বিত দীর্ঘমেয়াদি পদক্ষেপ নিতে হবে। বাংলাদেশে বিষয়টি নিয়ে প্রচুর আলোচনা হলেও সমন্বিত অগ্রাধিকার উদ্যোগ নেই। তাই প্রতি বছর প্রায় ছয় বিলিয়ন ডলার বা স্থানীয় মুদ্রায় প্রায় ৭৩ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হলেও তার সুফল পাওয়া যায় না।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) মহাপরিচালক ড. এ কে এনামুল হক, পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. ফজলে রাব্বি ছাদেক আহমাদ প্রমুখ।