আন্তর্জাতিক নির্যাতনবিরোধী দিবস আজ বৃহস্পতিবার। বিশ্বব্যাপী নানাভাবে নির্যাতিত-নিপীড়িত মানুষ জাতিসংঘ ঘোষিত এই দিনটি পালন করে। দিবসটি উপলক্ষে এক বিবৃতিতে আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) সব নির্যাতনের শিকার মানুষের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করেছে। বিচার, মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে নির্যাতন প্রতিরোধে রাষ্ট্র যেন কার্যকর উদ্যোগ নেয়– এই আহ্বান জানায় আসক।

সংস্থাটি বলছে, বিগত বছরগুলোতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মাধ্যমে বিচারবহির্ভূত হত্যা, গুম, বেআইনি আটক ও হেফাজতে নির্যাতনের ঘটনা উদ্বেগজনকহারে ঘটেছে। এমনকি, আটক বা গ্রেপ্তার হওয়ার পর ব্যক্তি নিখোঁজ হয়ে গেছে। আবার ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। যেগুলোর অধিকাংশের কোনো বিচারিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়নি।

আসক আরও বলছে, ২০২৫ সালের প্রথম ছয় মাসেই বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী কমপক্ষে ১৫টি বিচারবহির্ভূত মৃত্যুর অভিযোগ এসেছে, যার বেশির ভাগ স্বাধীন তদন্তের আলো দেখেনি। বিগত সময়ে হেফাজতে নির্যাতন, বিচারবহির্ভূত হত্যা, সহিংসতাসহ যেসব অমানবিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে, সেগুলো আমলে নিয়ে দ্রুত নিরপেক্ষ, স্বাধীন ও স্বচ্ছ তদন্ত পরিচালনা করতে হবে। দায়ীদের আইন অনুযায়ী বিচারের আওতায় আনা ও ভুক্তভোগী পরিবারকে যথাযথ ক্ষতিপূরণে আইনি সহায়তা দিতে হবে। নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইন, ২০১৩-এর কার্যকর প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কার্যক্রমে জবাবদিহি বাড়াতে একটি স্বাধীন পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থা গড়ে তোলার কথা জানিয়েছে আসক।

পুলিশ সদর দপ্তরের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, চলতি বছরের মে মাসে দেশে নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনায় মামলা হয়েছে দুই হাজার ৮৭টি, এপ্রিলে দুই হাজার ৮৯, মার্চে দুই হাজার ৫৪, ফেব্রুয়ারিতে এক হাজার ৪৩০ ও জানুয়ারিতে এক হাজার ৪৪০টি। এ ছাড়া ২০২৪ সালে গড়ে প্রতি মাসে নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনায় মামলা এক হাজার ৪৬৪ ও ২০২৩ সালে এক হাজার ৫৭৮টি।

১৯৯৭ সালের ১২ ডিসেম্বর জাতিসংঘ প্রতিবছরের ২৬ জুন নির্যাতনবিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত নেয়। তবে এর প্রেক্ষাপট রচনা হয় আরও আগে, ১৯৮৭ সালে। সে বছরের ২৬ জুন বিশ্বের ১৩৭টি দেশ রাষ্ট্রীয় নির্যাতনের বিরুদ্ধে জাতিসংঘ কনভেনশনে সই করে। অন্যান্য দেশের মতো এতে সই করে বাংলাদেশও।

গুম হওয়ার পর সাড়ে চার মাস পর ফেরত আসা বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাবেক সদস্য ও চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির নেতা সৈয়দ সাদাত আহমেদ সমকালকে বলেন, বিগত ফ্যাসিবাদ সরকারের আমলে তাঁর মতো করে অনেককেই গুমের শিকার হতে হয়েছে। যাদের ভাগ্য ভালো তারাই হয়তো ফিরে আসতে পেরেছে। সেখানকার সেই ভয়ংকর দিনগুলো যেন আর কারও জীবনে না আসে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: এক হ জ র র ঘটন

এছাড়াও পড়ুন:

সোনারগাঁয়ে মহাষ্টমীতে মণ্ডপ পরিদর্শনে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার

শারদীয় দুর্গাপূজা নির্বিঘ্নে ও শান্তিপূর্ণভাবে উদযাপনের লক্ষ্যে মহাষ্টমীর দিন সোনারগাঁ উপজেলার বিভিন্ন পূজা মণ্ডপ পরিদর্শন করেছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা ও জেলা পুলিশ সুপার জসিম উদদীন।

মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় তারা সোনারগাঁ উপজেলার বারদী ও পঞ্চমীঘাটের পূজা মণ্ডপ ঘুরে দেখেন। এসময় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে আয়োজকদের সঙ্গে কথা বলেন।

জেলা প্রশাসক জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, “জেলার ২২৪টি মণ্ডপে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দায়িত্ব পালন করছে। আমরা বিভিন্ন মণ্ডপে গিয়ে দেখছি, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবার স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ রয়েছে। এটি আমাদের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিরই প্রতিফলন।”

তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। অতীতের মতো এখনো আমরা সেই ঐতিহ্য রক্ষা করতে সক্ষম হয়েছি। ভবিষ্যতেও এই ধারা বজায় থাকবে। বিশ্ববাসীর কাছে আমরা জানাতে চাই, আমাদের সমাজ ও সংস্কৃতির মূল শক্তি হলো সম্প্রীতি।”

জেলা পুলিশ সুপার জসিম উদদীন বলেন, “জেলার সাতটি থানায় উৎসবমুখর পরিবেশে পূজা উদযাপিত হচ্ছে। পুলিশ বাহিনীর পাশাপাশি অন্য বাহিনীগুলোও নিরাপত্তায় অংশ নিয়েছে। প্রতিটি মণ্ডপে পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকে গোয়েন্দারা সার্বক্ষণিক নজরদারি করছে। কোনো ধরনের আশঙ্কার খবর পেলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”

তিনি যোগ করেন, “বিসর্জন পর্যন্ত নিরাপত্তার এ ব্যবস্থা চলমান থাকবে। আমরা বিশ্বাস করি, এর ফলে আনন্দমুখর পরিবেশে পূজা উদযাপন সফলভাবে সম্পন্ন হবে।”

এসময় নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপার জসিম উদদীন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মেজর আয়াজ আব্দুল্লাহ,জেলা প্রশাসকের সহধর্মিণী মিসেস হেমা জেরিন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট নিলুফা ইয়াসমিন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক নায়মা ইসলাম,সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফারজানা রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার 'খ' আসিফ ইমাম, জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মকর্তা, বিকেএমইএ সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম, বারদী শ্রীশ্রী লোকনাথ ব্রহ্মচারী আশ্রম কমিটির ব্যবস্থাপক নয়ন চন্দ্র গোলদার, সভাপতি অশোক কুমার রায়, সেক্রেটারি শংকর কুমার দে, পঞ্চমীঘাট সার্বজনীন পূজা উদযাপন মণ্ডপ ও পানাম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বাবু অমল পোদ্দার (সিআইপি) এবং মণ্ডপ কমিটির সভাপতি প্রদীপ পোদ্দার,বারদী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য আব্দুল হালিম, সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপির ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল করিম,বারদী ইউনিয়ন যুবদলের সদস্য সচিব দেলেয়ার হোসেন দুলু উপস্থিত ছিলেন।

 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বৈরী আবহাওয়ায়ও উৎসবের আমেজ, এক ঘণ্টায় ১২৭ প্রতিমা বিসর্জন
  • টেকনাফের পাহাড়ে পাচারের উদ্দেশ্যে জিম্মি রাখা আরও ২১ নারী ও শিশু উদ্ধার
  • বুড়িগঙ্গায় প্রতিমা বিসর্জন, সদরঘাটে ভক্তদের ঢল
  • প্রতিমা বিসর্জন ঘিরে সতর্ক অবস্থানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী
  • আমরা নাশকতাকারীদের অ্যালাউ করবো না: র‌্যাব ডিজি
  • অনীষাদের পূজার আনন্দ বাড়িয়ে দিলেন প্রধান উপদেষ্টার সহকারী
  • চার দিন পর স্বাভাবিক যান চলাচল, জনজীবনে স্বস্তি
  • পূজামণ্ডপের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা জানতে ও ব্যবস্থা নিতে ‘শারদীয় সুরক্ষা অ্যাপ’ চালু এনটিএমসির
  • দুর্গাপূজা যাতে শান্তিপূর্ণ না হতে পারে, সে জন্যই খাগড়াছড়ির ঘটনা: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
  • সোনারগাঁয়ে মহাষ্টমীতে মণ্ডপ পরিদর্শনে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার