নিশ্চিত হতে চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কাফনের কাপড় পড়া অবস্থায় পেয়ারা বেগম (৪৩) নামে এক মৃত মহিলার ইসিজি পরীক্ষা করেছে তার পরিবার। তিনি মতলব উত্তর উপজেলার ভাটী রসুলপুর গ্রামের মনির হোসেন দেওয়ানের স্ত্রী।

বুধবার (২৫ জুন) বিকেলে এ ইসিজি পরীক্ষা করা হয়। এর আগে আনুমানিক সকাল ৯টায় নিজ বাড়িতে স্ট্রোক করে তার মৃত্যু হয়।

তবে কাফনের কাপড় পড়িয়ে মহিলাকে ইসিজি করানোর জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

আরো পড়ুন:

পদ্মায় গোসলে নেমে ২ কলেজ ছাত্রের মৃত্যু

দেবীগঞ্জে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে শিশুর মৃত্যু

মৃত পেয়ারা বেগমের স্বামী মনির হোসেন দেওয়ান ও এলাকাবাসী জানান, পেয়ারা বেগম বুধবার সকাল ৯টায় স্ট্রোক করে মারা যায়। দুপুর মরহুমার গোসল শেষ করে কাঁপনের কাপড় পড়িয়ে জানাযা পড়ানোর জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছিল। এ সময় এক মহিলা পেয়ারা বেগমের চোখের কোটা নড়তে দেখেছেন বলে জানান।

সঙ্গে সঙ্গে তার পরিবারের সদস্যদের জানানো হলে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার জন্য অ্যাম্বুলেন্সযোগে কাফনের কাপড় পরানো অবস্থায় মতলব দক্ষিণ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে নিয়ে যান তারা। সেখানে ইসিজি পরীক্ষা করে পরিবারের সদস্যরা নিশ্চিত হন, পেয়ারা বেগম আর বেঁচে নেই।

এ বিষয়ে চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক নুর ই আলম অভি বলেন, “ইসিজির রিপোর্ট মোতাবেক মহিলা অনেক আগেই মারা গেছেন।”

ঢাকা/অমরেশ/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

বাবার ইচ্ছা পূরণে হেলিকপ্টারে চড়ে বিয়ে করতে গেলেন প্রবাসী তরুণ

চাঁদপুরের সৌদিপ্রবাসী মেহেদী হাসানের (২৫) বাবার ইচ্ছা ছিল ছেলেকে হেলিকপ্টারে চড়িয়ে বিয়ে করাতে নিয়ে যাবেন। বাবার সেই ইচ্ছা পূরণ করলেন তিনি।

আজ শুক্রবার বিকেলে স্বজনদের নিয়ে ভাড়া করা হেলিকপ্টারে চড়ে বিয়ে করতে কনের বাড়িতে যান মেহেদী হাসান। বিয়ের পর নববধূকে হেলিকপ্টারে নিয়ে ফিরে আসেন নিজ বাড়িতে। এ ঘটনায় উচ্ছ্বসিত এলাকাবাসী।

মেহেদী হাসান মতলব উত্তর উপজেলার এমএম কান্দি গ্রামের আবদুল বারেক দেওয়ানের ছেলে। মেহেদীর নববধূর নাম আবিদা সুলতানা। তিনি একই উপজেলার রুহিতারপাড় গ্রামের মো. আল আমিনের মেয়ে। আজ শুক্রবার বিকেল চারটায় কনের বাড়িতে বিয়ে সম্পন্ন হয়।

পরিবার ও স্থানীয় সূত্র জানায়, কয়েক বছর আগে মেহেদী হাসান সৌদি আরবে যান। বিয়ে করার জন্য কিছুদিন আগে বাড়ি ফেরেন। কনে দেখা ও বিয়ের তারিখ ঠিক হয়। আজ শুক্রবার রুহিতারপাড় গ্রামের একটি মাঠে বরপক্ষকে নিয়ে হেলিকপ্টারটি নামলে স্থানীয় লোকজন সেখানে ভিড় করেন। হেলিকপ্টার থেকে নেমে স্বজনদের নিয়ে মেহেদী হাসান হেঁটে কনের বাড়িতে যান। বিয়ের পর নববধূকে নিয়ে হেলিকপ্টারটি তাঁর গ্রামে পৌঁছালে ভিড় করেন এলাকাবাসী।

মেহেদী হাসান বলেন, তাঁর বাবার এই ইচ্ছা পূরণ করতে পেরে তিনি ও তাঁর পরিবার খুবই আনন্দিত। সবার কাছে দোয়া প্রার্থনা করেন তিনি।

মেহেদী হাসানের বাবা আবদুল বারেক দেওয়ান বলেন, ইচ্ছা ছিল ছেলে বড় ও প্রতিষ্ঠিত হলে হেলিকপ্টারে চড়িয়ে তাকে বিয়ে করাবেন। আজ তাঁর সে ইচ্ছা পূরণ হলো। এতে তিনি খুবই আনন্দিত।

মতলব উত্তর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রবিউল হক বলেন, ঘটনা জানার পর হেলিপ্যাড এলাকার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আন্দোলনে গিয়ে ‘অসুস্থ হয়ে’ মারা যাওয়া শিক্ষকের স্মরণে কালোব্যাজ ধারণ
  • মেঘনা-ধনাগোদা বেড়িবাঁধ সড়ক যেন মরণফাঁদ
  • শিক্ষক সমাবেশে সাউন্ড গ্রেনেডে আহত শিক্ষকের ঢাকায় মৃত্যু
  • ঢাকায় সমাবেশে আহত সেই শিক্ষিকা মারা গেছেন
  • বাবার ইচ্ছা পূরণে হেলিকপ্টারে চড়ে বিয়ে করতে গেলেন প্রবাসী তরুণ