চারটি শোরুম পরিচালনা করছেন শ্রাবণী রায়
Published: 27th, June 2025 GMT
শ্রাবণী রায় পড়াশোনা করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগ থেকে। বাবা প্রকৌশলী ও মা গৃহিণী। শ্রাবণী রায়ের উদ্যোক্তা হওয়ার যাত্রা শুরু হয় ২০১৭ সালে। তিনি ফার্মেসি বিভাগ থেকে মাস্টার্স শেষ করে ২০১৫ সালে একটি ফার্মাসিউটিক্যালস প্রতিষ্ঠানে চাকরিতে যোগ দেন। তবে তাঁর ভেতরের উদ্যোক্তা সত্তা তাঁকে বেশি দিন বাঁধতে পারেনি। মাত্র দেড় বছরের মাথায় তিনি চাকরি ছেড়ে নিজে কিছু করার সিদ্ধান্ত নেন।
স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে ২০১৭ সালে তিনি অনলাইনে অম্বরের যাত্রা শুরু করেন। ব্যবসার শুরুর দিকে তাঁকে কিছু চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হয়। সন্তান হওয়ার কারণে কিছুদিনের জন্য ব্যবসা থেকে বিরতি নিতে হয়েছিল তাঁকে। কিন্তু তাঁর অদম্য ইচ্ছাশক্তি এবং ব্যবসার প্রতি ভালোবাসার কারণে তিনি থেমে থাকেননি।
২০২১ সাল থেকে নতুন উদ্যমে শ্রাবণী আবার তাঁর ব্যবসাকে এগিয়ে নিয়ে যান। ২০২৩ সালে তিনি তাঁর প্রথম শোরুম প্রতিষ্ঠা করেন। প্রথম শোরুম দেন ঢাকার মিরপুরে। পরের শোরুম দেন ঢাকার উত্তরা, বেইলি রোড ও মোহাম্মদপুরে। শাড়ি, পাঞ্জাবি, সালোয়ার-কামিজ, কুর্তি, শার্টসহ সব পণ্যই তৈরি করে বিক্রি করেন। নিজস্ব ডিজাইনারের পাশাপাশি নিজেই নকশা করেন শ্রাবণী। কারখানা দিয়েছেন মিরপুরে। ফ্যাক্টরি ও শোরুম মিলিয়ে ১০০ জন কর্মী কাজ করছেন।
ব্যবসার পরিধি বাড়াতে মূলধনের প্রয়োজন ছিল। সেই সময় ব্র্যাক ব্যাংক শ্রাবণী রায়ের পাশে এসে দাঁড়ায়। ২০২২ সালে তিনি ব্র্যাক ব্যাংক থেকে ২০ লাখ টাকার এসএমই ঋণ গ্রহণ করেন। তিনি বলেন, ঋণ নেওয়ার প্রক্রিয়াটি বেশ সহজ ছিল, যা একজন উদ্যোক্তা হিসেবে আমার জন্য অত্যন্ত সহায়ক ছিল। প্রথম দিকে আমার একটু জড়তা ছিল। এত টাকা লোন নেব, দিতে পারব কি না। অনেক কাগজপত্রের বিষয় ছিল। আমি যখন ব্র্যাক ব্যাংকের মিরপুর শাখার সঙ্গে কথা বলি, তখন আমাদের তারা বেশ সহায়তা করে। সবকিছু মিলিয়ে ১০ দিনের মধ্যেই আমার লোনের কাজকর্ম শেষ হয়ে যায়। এই ঋণ আমার ব্যবসাকে নতুন গতি দেয়।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব যবস
এছাড়াও পড়ুন:
অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে, হাসিনার পরামর্শে দেশ চালাচ্ছেন ড. ইউনূস
গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান বলেছেন, “চলমান সংস্কার, খুনিদের বিচার ও দেশের বর্তমান অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে, ড. ইউনূস সরকার হাসিনার পরামর্শে দেশ চালাচ্ছেন। এভাবে চলতে থাকলে দেশ থেকে মুজিববাদ ও ফ্যাসিবাদ বিলোপ হবে না।”
মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) দুপুরে ঝিনাইদহ শহরের ফ্যামিলি জোন নামে একটি রেষ্টুরেন্টে ‘কোটা সংস্কার আন্দোলন থেকে ২০২৪ সালের রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন এবং একটি সফল গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী রাষ্ট্র সংস্কারে করণীয় শীর্ষক’ আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মো. রাশেদ খান বলেন, “চুনোপুটিদের নয়, খুনি শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদের, কামাল ও শামীম ওসমানদের দেশে ফিরিয়ে এনে ফাঁসির দড়িতে ঝোলাতে হবে। এ নিয়ে জাতি কোনো টালবাহানা সহ্য করতে পারে না। প্রয়োজন হলে আরো ১০টি ট্রাইব্যুনাল বসাতে হবে। টাকা না থাকলে জনগণ টাকা দেবে।”
এনসিপির সমালোচনা করে তিনি বলেন, “এই দলটি সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা পাচ্ছে। এটা আমার কথা নয়, টিআইবি প্রধান তাদের কিংস পার্টি বলে আখ্যা দিয়েছেন। তাছাড়া এনসিপি সমর্থিত দুই উপদেষ্টা পদ নিয়ে দেশ চালাচ্ছেন। তারপরও হাসনাত আব্দল্লারা ড. ইউনূস সরকারের সমালোচনা করছেন। তাদেরও ভুল ভাঙ্গতে বসেছে।”
তিনি বলেন, “যারা হাসিনার মতো স্বৈরশাসককে পরাজিত করতে পেরেছে, তারা আজ নানা কলঙ্কের তিলক মাথায় নিচ্ছে। চাঁদাবাজীতে লিপ্ত হচ্ছেন। মানুষ ও সমাজের কাছে এইসব বীরেরা হেয় হচ্ছেন। এখন প্রশ্ন হচ্ছে ছাত্রদের কলঙ্কিত করলো কারা?”
রাশেদ খান বলেন, “প্রত্যেক উপদেষ্টা দুর্নীতি করছেন। তারা আখের গোছাতে ব্যস্ত। ডিসি নিয়োগ থেকে শুরু করে সব কিছুতেই দুর্নীতির ছোঁয়া লেগে আছে। ১৬ বছর বিএনপি-জামায়াতের তকমা গায়ে লাগানো আমলারা এখনো নির্যাতিত ও পদ বঞ্চিত হচ্ছেন।”
জুলাই সনদ নিয়ে প্রশ্ন গণঅধিকার পরিষদের এই নেতা বলেন, “যে সরকার শহীদদের তালিকা তৈরি করতে পারে না, তাদের কাছ থেকে জাতি কি আশা করতে পারে। জাতিসংঘের তদন্তে নিহতের সংখ্যা ১৪০০, কিন্তু জুলাই সনদে সংখ্যা এক হাজার করা হলো। এটা কেন এবং কিভাবে হলো?”
গণঅভ্যুত্থানের শক্তিতে প্রতিটি রাজনৈতিক দলকে মাঠে থাকার আহ্বান জানিয়ে মো. রাশেদ খান বলেন, “মাঠে না থাকলে আওয়ামী লীগ মাঠ দখল করে অরাজকতা সৃষ্টি করতে পারে। ইতোমধ্যে তারা এমন ষড়যন্ত্র করে বসে আছে। তাই সবাইকে কোনো না কোনো কর্মসূচি নিয়ে রাজপথে থাকতে হবে। ১৪ দল ও জাতীয় পার্টি নানা বাহানায় নির্বাচন করতে চাইবে। তাদেরকেও প্রতিহত করতে হবে। কারণ তারাও হাসিনার সঙ্গী।” ১৪, ১৯ ও ২৪ সালে নির্বাচনে দায়িত্ব পালনকারী ডিসি, এসপি ও ইউএনওদের বিচার দাবি করেন তিনি।
ঝিনাইদহ জেলা গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি শাখাওয়াত হোসেনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইকবাল জাহিদ রাজন, যুব অধিকারের সভাপতি রাকিবুল হাসান রকিব, যুবনেতা মো. মিশন আলী, ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি আব্দুল্লা আল মামুন, সাধারণ সম্পাদ মো. রায়হান হোসেন রিহান, মো. মাহাফুজ রহমান, মো. হালিম পারভেজ ও মো. নাহিদ হাসনান বক্তব্য রাখেন।
ঢাকা/শাহরিয়ার/মাসুদ