সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে রক্তমাখা ছুরি দেখিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা, দেশের প্রধান বিচারপতি ও সেনাপ্রধানকে হত্যার হুমকি দেওয়া আওয়ামী লীগের এক কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁর নাম মো. আলমগীর। গতকাল শুক্রবার রাতে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি সদর থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, আলমগীর রক্তমাখা একটি ছুরি নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা, প্রধান বিচারপতি ও সেনাপ্রধানকে হত্যার হুমকি দিচ্ছেন। ভিডিওতে অশ্লীল ভাষায় গালাগাল করতে দেখা যায় তাঁকে।

ফটিকছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নুর আহমেদ আজ শনিবার দুপুরে প্রথম আলোকে বলেন, রক্তমাখা একটি ছুরি নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টাসহ রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের হত্যার হুমকি দেওয়ার একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর পুলিশ আলমগীরকে গ্রেপ্তার করে। পরে তাঁকে ফটিকছড়ি থানায় হওয়া একটি বিস্ফোরক মামলায় আদালতে পাঠানো হয়েছে।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

স্বামী দ্বিতীয় বিয়ে করা নিয়ে বিতণ্ডা, কুপিয়ে হত্যার অভিযোগে প্রথম স্ত্রী আটক

ফেনীতে দ্বিতীয় বিয়ে নিয়ে কলহের জেরে স্বামীকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগে স্ত্রীকে আটক করেছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার দুপুরে ফেনীর দাগনভূঞার পৌর এলাকার জগতপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত ব্যক্তির নাম আলমগীর হোসেন (৪৫)। তিনি একই গ্রামের গফুর ভান্ডারি বাড়ির আবদুল গফুরের ছেলে। পেশায় তিনি ট্রাকচালক ছিলেন। আটক স্ত্রীর নাম খালেদা ইয়াসমিন (৩৮)।

পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্র জানায়, ২০ বছর আগে পারিবারিকভাবে আলমগীরের সঙ্গে খালেদা ইয়াসমিনের বিয়ে হয়ছিল। তাঁদের এক ছেলে রয়েছে। তবে গত কয়েক মাস আগে নারায়ণগঞ্জ জেলায় আরেকটি বিয়ে করেন আলমগীর। এসব নিয়ে তাঁদের মধ্যে দ্বন্দ্ব ছিল। গতকাল দিবাগত রাত তিনটার দিকে নারায়ণগঞ্জ থেকে আলমগীর বাড়িতে আসেন। এরপর আজ দুপুরে তাঁর প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে দ্বিতীয় বিয়ে নিয়ে বিতণ্ডা হয়।

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, বাগ্‌বিতণ্ডার একপর্যায়ে ইয়াসমিন তাঁর স্বামীকে কুপিয়ে জখম করে। এতে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। পরে স্বজনেরা ঘরের শৌচাগারের ভেতর আলমগীরের মরদেহ দেখতে পান। এরপর পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।

জানতে চাইলে নিহত ব্যক্তির ছেলে কামরুল ইসলাম (১৬) প্রথম আলোকে বলে, নতুন বিয়ে করার পর তাঁর বাবা তাঁদের ভরণপোষণ দিতেন না। এ ঘটনার সময় তিনি বাড়িতে ছিলেন না। দুপুরের দিকে খবর পেয়ে বাড়িতে আসেন।

জানতে চাইলে দাগনভূঞা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওয়াহেদ পারভেজ বলেন, নিহত ব্যক্তির শরীরে একাধিক জখমের চিহ্ন রয়েছে। তাঁকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। অভিযুক্ত স্ত্রীকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। পারিবারিক কলহের জের ধরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আঁখির অতিথি সৈয়দ আবদুল হাদী
  • দেবী দুর্গা শক্তি ও সাহসের মূর্ত প্রতীক: মির্জা ফখরুল 
  • কাশিপুরে বিএনপি নেতা আলমগীর ও সাইদুর গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা সংঘর্ষের আশঙ্কা
  • হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে ৪১ জেলার ৪৩৮টি স্থানে
  • স্বামী দ্বিতীয় বিয়ে করা নিয়ে বিতণ্ডা, কুপিয়ে হত্যার অভিযোগে প্রথম স্ত্রী আটক