বিএনপি দায়িত্বে এলে ‘ভারতের দাদাগিরি’ বন্ধে বেশি গুরুত্ব দেবে: মির্জা ফখরুল
Published: 15th, November 2025 GMT
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, তাঁর দল জনগণের ভোটে দায়িত্বে এলে বিশেষ গুরুত্ব পাবে ফারাক্কা ও তিস্তা ইস্যু। ন্যায্য পানির হিস্যা, সীমান্তে হত্যা বিষয়গুলোকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হবে। বাংলাদেশের ওপর ‘ভারতের দাদাগিরি’ বন্ধে বেশি গুরুত্ব দেবে।
আজ শনিবার দুপুরে চাঁপাইনবাবগঞ্জে মহানন্দা নদীর ওপর নির্মিত রাবার ড্যাম পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ভারত প্রতিবেশী দেশ। ইচ্ছা করলেই বাংলাদেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখতে পারে। তিনি আরও বলেন, ‘১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারত সহযোগিতা করেছিল। তাদের আরও বেশি করে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করা দরকার। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমরা উল্টো দেখেছি। মোদি সরকার বাংলাদেশকে চাপে ফেলেছে। সবকিছু নিয়ে গেছে। কিন্তু আমাদের কিছু দেয়নি।’
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর চাঁপাইনবাবগঞ্জে ‘বাঁচাও পদ্মা, বাঁচাও দেশ; সবার আগে বাংলাদেশ’ আন্দোলনের অংশ হিসেবে আয়োজিত গণসমাবেশে যোগ দিতে এখানে আসেন। আজ বিকেলে নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজ মাঠে এ গণসমাবেশ হবে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
বন্দরে হত্যা মামলা প্রত্যাহারের জন্য বাদিনীকে হুমকি
বন্দরে হোসিয়ারী শ্রমিক আলমগীর হত্যা মামলায় এজাহার নামীয় ৪ আসামী গ্রেপ্তার হলেও রহস্য জনক কারনে মামলার অপর আসামীরা এখনও অধরা ছোয়ার বাইরে!
এদিকে গা ডাকা দেওয়া এজাহার নামীয় অন্যান্য আসামীরা মামলার বাদিনীসহ তার পরিবারবর্গকে মামলা থেকে নাম প্রত্যাহারের জন্য হত্যার হুমকীসহ রাতের আধারে বাদীর বসত ঘরে আগুন লাগানোর হুমকি-ধমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বুধবার ( ১২ নভেম্বর) বন্দর থানা চত্তরে গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে এমনই অভিযোগ করেন আলমগীর হত্যা মামলার বাদীনি নিহতের ছোট বোন মোসাঃ কল্পনা বেগম।
তিনি বলেন, তার বড় ভাই আলমগীর হোসেন (৪৬)’কে হত্যা ঘটনায় তিনি বাদী হয়ে ১৯ জনের নাম উল্লেখসহ আরও ৭/৮ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে বন্দর থানায় মামলা দায়ের করেন।
উক্ত মামলার ৫ নং আসামী জুয়েল, ৬ নং আসামী আনজু, ১৩ নং আসামী ফরহাদ ও ১৮ নং আসামী রাতুল গ্রেফতার পর কারাগারে আছে। রাতুল ১৬৪ ধারায় আদালতে জবানবন্দি প্রদান করেছে। মামলাটি না’গঞ্জ জেলা পিবিআই তদন্ত করছে।
এদিকে এজাহার নামীয় সালেহনগর এলাকার খলিল মিয়ার ছেলে সোহেব, বাড়ৈপাড়া এলাকার মৃত আক্কাছ উদ্দিনের ছেলে আশরাফুল প্রকাশ কালু, বড়ৈপারা এলাকার মাসুদের ছেলে মোঃ পারভেজ, শাহীমসজিদ এলাকার ফিরোজ আলীর ছেলে রিপন, বালুচর এলাকার অকিল উদ্দিনের ছেলে আমির হোসেন, শাহীমসজিদ এলাকার বছির উদ্দিনের ছেলে সুমন, শাহীমসজিদ এলাকার রমজান মাঝির ছেলে রোবেল, শাহীমসজিদ এলাকার আব্দুল ছালামের ছেলে মনির হোসেন, শাহীমসজিদ এলাকার কাশেমের ছেলে রাসেল, সালেহনগর এলাকার কামালের ছেলে সুমন ও মহিউদ্দিনের ছেলে রাসেলগং বিভিন্ন মাধ্যমে বাদীনিসহ পরিবারবর্গকে মামলা থেকে নাম কাটানোর জন্য হত্যার হুমকীসহ রাতের আধারে বাদীর বসত ঘরে আগুন লাগানোর হুমকি-ধমকি দিচ্ছে।
আসামীদের অব্যাহত হুমকির কারণে চরম নিরাপত্তা হীনতায় দিন যাপন করছে বাদীনিসহ তার পরিবারবর্গ। এ অবস্থা থেকে রেহাই পাওয়াসহ পলাতক আসামীদের গ্রেপ্তারের জন্য জেলা পুলিশ সুপার ও বন্দর থানা অফিসার ইনচার্জের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছে হত্যা মামলার বাদিনীসহ তার পরিবার।