মুরাদনগরের ঘটনায় দায়ীদের বিচার দাবি যুব মৈত্রীর
Published: 30th, June 2025 GMT
কুমিল্লার মুরাদনগরে নারীকে ধর্ষণের অভিযোগের ঘটনায় দায়ীদের বিচার দাবি করেছে বাংলাদেশ যুব মৈত্রী। আজ সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ দাবি জানায় সংগঠনটি।
সংগঠনটির দপ্তর সম্পাদক মাহাবুদ রানা তরুন স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে বলা হয়, কুমিল্লার মুরাদনগরে যা ঘটেছে, তা শুধুই একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়- এটি একটি রাষ্ট্রীয় ব্যর্থতার জ্বলন্ত দলিল। এক সংখ্যালঘু নারীর ওপর নৃশংস ধর্ষণ, তারপর তাকে বিবস্ত্র করে তার ছবি ছড়িয়ে দেওয়ার ঘটনা আমাদের বিবেককে আরেকবার স্তব্ধ করে দিয়েছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ যুব মৈত্রী কেন্দ্রীয় কমিটি মুরাদনগরে সংগঠিত ধর্ষণ ও বিবস্ত্র করে ছবি তুলে ছড়িয়ে দেওয়ার তীব্র নিন্দা জানায়। সাথে সাথে ধর্ষক ফজর আলীসহ তার সহযোগীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করে।
ধর্ম-বর্ণ-জাত-পেশা নির্বিশেষে সবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে একদিন বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জন্ম হয়েছিল, আজ সেই স্বপ্নই যেন ধর্ষিত হচ্ছে প্রতিনিয়ত। কোনো পাহারা নেই, কোনো শান্তির ভয় নেই, শুধু একের পর এক নারীদেহ লাঞ্ছিত হচ্ছে-কখনো পাহাড়ে, কখনো সমতলে, কখনো শহরে আবার কখনো গ্রামে, উল্লেখ করা হয় বিবৃতিতে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
কুমিল্লায় ধর্ষণকাণ্ড: নির্যাতনের আরও একটি ভিডিও ভাইরাল
কুমিল্লার মুরাদনগরে এক নারীকে তার বাবার বাড়িতে নিপীড়নের আরও একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। সোমবার সকালে ‘তোর বাপেরা আইছে’ নামের ফেসবুক আইডি থেকে ৩ মিনিট ৪২ সেকেন্ডের ওই ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ে।
নতুন ভিডিওতে দেখা যায়, ‘একই বিছানায় পাশাপাশি বসিয়ে নিপীড়নের শিকার নারী ও ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার ফজর আলীকে বিবস্ত্র অবস্থায় নির্যাতন করা হচ্ছে। ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি মুহাম্মদ আলী সুমনের নেতৃত্বে রমজান, অনিক, আরিফসহ ১৫-২০ জন ফজর আলীকে ব্যাপকভাবে মারধর করছেন। এ সময় নিপীড়নের শিকার নারী ও ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার ফজর আহাজারি করতে থাকেন। নির্যাতনের একপর্যায়ে ফজর আলীকে বলতে শোনা যায়, আমাকে বাঁচিয়ে দে, মরে যাব। তখন নির্যাতনকারীদের বলতে শোনা যায়, তুই মরে যা, দেশ শান্তি হইব। নির্যাতনের পর ফজরের হাত এবং মাথা থেকে রক্ত ঝরছে।’
ভিডিওতে আরও দেখা যায়, ‘ছাত্রলীগ নেতা সুমন নিজে ফজরকে মারধর করছেন। অপরদিকে তার সহযোগী অনিক নিপীড়নের শিকার নারীর কাপড় খুলছেন। তখন নারী চিৎকার করলে তার মুখ চেপে ধরা হয়।’
ভুক্তভোগী ওই নারী সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের বলে জানা গেছে।
গত শনিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ওই নারীকে নিপীড়নের প্রথম ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় গত শুক্রবার ফজর আলী নামে এক ব্যক্তিকে আসামি করে ধর্ষণের মামলা করেন ওই নারী। ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত ফজরসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ফজর ছাড়া অন্য চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ– তারা ভিডিও অনলাইনে ছড়িয়েছেন। এ অভিযোগে রোববার কুমিল্লার মুরাদনগর থানায় পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে আরেকটি মামলা করেন ভুক্তভোগী নারী। ওই মামলায় চারজনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতপরিচয় আরও ২০ থেকে ২৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। ভাইরালকাণ্ডে জড়িত গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন– একই এলাকার আবদুল হান্নানের ছেলে সুমন, জাফর আলীর ছেলে রমজান, মো. আলমের ছেলে আরিফ ও তালেম হোসেনের ছেলে অনিক।