দীর্ঘমেয়াদী অর্থায়নের প্রধান উৎস হিসেবে পুঁজিবাজারকে উৎসাহিত করতে অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড একচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) প্রতিনিধিদের নিয়ে যৌথ কমিটি গঠন করা হয়েছে। 

মঙ্গলবার (১ জুলাই) পুঁজিবাজার উন্নয়নের লক্ষ্যে গঠিত যৌথ কমিটির প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় যৌথ কমিটির কার্যক্রম, উদ্যোগ ও পদক্ষেপ আগামীতে দেশের পুঁজিবাজার উন্নয়নের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা প্রকাশ করেছে বিএসইসি।

বিএসইসির পরিচালক ও মুখপাত্র মো.

আবুল কালাম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

আরো পড়ুন:

শরিয়াহ অ্যাডভাইজরি কাউন্সিল সদস্য মনোনয়নে বিএসইসির কমিটি

মামুন এগ্রোর ইজিএম: নাম বদলসহ মূল বোর্ডে তালিকাভুক্তির সিদ্ধান্ত

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার পুঁজিবাজার উন্নয়নের লক্ষ্যে গঠিত যৌথ কমিটির প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়। কমিটির জ্যেষ্ঠতম সদস্য বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ড. মো. এজাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে সকাল ১১টায় বাংলাদেশ ব্যাংকের মূল ভবনে সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।

প্রথম সভায় পুঁজিবাজারের উন্নয়ন সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় ও দিক নিয়ে আলোচনা হয়। সেখানে পুঁজিবাজারের উন্নয়নের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার ‘দেশের বৃহৎ কোম্পানিসমূহ দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের ক্ষেত্রে ব্যাংক ঋণের পরিবর্তে পুঁজিবাজারে বন্ড বা শেয়ার ছেড়ে পুঁজি সংগ্রহ করে, সে লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ’ শীর্ষক নির্দেশনা বাস্তবায়নের বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। 

এছাড়া কার্যপরিধি নির্ধারণ করে পুঁজিবাজার উন্নয়নের লক্ষ্যে গঠিত যৌথ কমিটির কাজের পদ্ধতি প্রণয়ন এবং পরবর্তী করণীয় সংক্রান্ত বিষয়ে সভায় আলোচনা হয়েছে। বিশেষত অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক ও পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির সমন্বিত ও যৌথ উদ্যোগের মাধ্যমে দীর্ঘমেয়াদী অর্থায়নের প্রধান উৎস হিসেবে পুঁজিবাজারকে উৎসাহিতকরণের বিষয়ে সভায় গঠনমূলক আলোচনা হয়েছে। সভায় সরকার ও দেশের অর্থনীতির নিয়ন্ত্রক সংস্থাদ্বয়ের সমন্বয়ের গঠিত উক্ত কমিটির কার্যক্রম, উদ্যোগ ও পদক্ষেপ আগামীতে দেশের পুঁজিবাজার উন্নয়নের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে বিএসইসি আশা প্রকাশ করেছে।

সভায় কমিটির সদস্যরা হলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক (ডিএমডি) ইস্তেকমাল হোসেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক (গবেষণা) আব্দুল ওয়াহাব, বিএসইসির পরিচালক আবুল কালাম, অর্থ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ফরিদ আহমেদ, বিএসইসির অতিরিক্ত পরিচালক ইকবাল হোসেইন এবং কমিটির সদস্য সচিব বাংলাদেশ ব্যাংকের যুগ্ম পরিচালক রেজাউল হাসান উপস্থিত ছিলেন।

গত ১৯ জুন প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশনা বাস্তবায়নের বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের সভাপতিত্বে বিএসইসি চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিএসইসির মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের প্রতিনিধির সমন্বয়ে যৌথ কমিটি গঠিত হয়েছে। 

ঢাকা/এনটি/বকুল 

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর য থ কম ট র ব এসইস র লক ষ য সদস য উৎস হ

এছাড়াও পড়ুন:

২৮ প্রতিষ্ঠানের নেগেটিভ ইক্যুইটি ও লস প্রভিশনিংয়ের সময় বৃদ্ধি

পুঁজিবাজারের সদস্যভুক্ত ২৮টি মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠানকে তাদের নেতিবাচক ইকুইটি ও অবাস্তব লোকসান সমন্বয়ের জন্য অতিরিক্ত সময়সীমা শর্তসাপেক্ষে বর্ধিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এই তালিকায় রয়েছে স্টকব্রোকার, ডিলার ও মার্চেন্ট ব্যাংকসহ একাধিক বাজার মধ্যস্থতাকারী।

বিএসইসি থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

আরো পড়ুন:

মিউচুয়াল ফান্ড বিধিমালার গেজেট প্রকাশ

নর্ডিক বাজারে রেনাটার আমান্টাডিন ওষুধ উন্মোচন

এতে বলা হয়েছে, বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের সভাপতিত্বে ৯ নভেম্বর ৯৮২তম ও ১৩ নভেম্বর ৯৮৪তম কমিশন সভায় স্টক ব্রোকার, স্টক ডিলার ও মার্চেন্ট ব্যাংকার কর্তৃক কমিশনের কাছে দাখিল করা বোর্ড অনুমোদিত নেগেটিভ ইক্যুইটি ও আনরিয়েলাইজড লসের প্রভিশন সংরক্ষণ ও সমন্বয়সংক্রান্ত অ্যাকশন প্ল্যান বিবেচনা করে ২৮টি বাজার মধ্যস্থতাকারীর প্রতিষ্ঠানের নেগেটিভ ইক্যুইটি ও আনরিয়েলাইজড লসের বিপরীতে প্রভিশন সংরক্ষণ ও সমন্বয় করার সময়সীমা বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বাজার মধ্যস্থতাকারীর প্রতিষ্ঠানগুলো হলো: এআইবিএল ক্যাপিটাল মার্কেট সার্ভিসেস, ইউসিবি স্টক ব্রোকারেজ, মার্কেন্টাইল ব্যাংক সিকিউরিটিজ, ব্যাংক এশিয়া সিকিউরিটিজ, শাহজালাজ ইসলামী ব্যাংক সিকিউরিটিজ, উত্তরা ব্যাংক সিকিউরিটিজ, এনসিসিবি সিকিউরিটিজ, আইআইডিএফসি সিকিউরিটিজ, সাউথইস্ট ব্যাংক ক্যাপিটাল সার্ভিসেস, ইউনিক্যাপ ইনভেস্টমেন্টস, আইসিবি ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট, জিএসপি ইনভেস্টমেন্ট, অগ্রণী ইক্যুইটি, প্রাইম ব্যাংক ইনভেস্টমেন্ট, আইআইডিএফসি ক্যাপিটাল, ইসি সিকিউরিটিজ, যমুনা ব্যাংক ক্যাপিটাল, ঢাকা ব্যাংক সিকিউরিটিজ, পূবালী ব্যাংক সিকিউরিটিজ, এমটিবি সিকিউরিটিজ, এবি সিকিউরিটিজ, ফিনিক্স সিকিউরিটিজ, প্রাইম ইসলামী সিকিউরিটিজ, এসবিএল ক্যাপিটাল, ট্রাস্ট ব্যাংক ইনভেস্টমেন্ট, ইবিএল ইনভেস্টমেন্ট এবং এমটিবি ক্যাপিটাল।

স্টক ব্রোকার, স্টক ডিলার ও মার্চেন্ট ব্যাংকাদের নেগেটিভ ইকুইটি ও আনরিয়েলাইজড লসের প্রভিশন ও সমন্বয়ের সময়সীমা কিছু শর্তসাপেক্ষে বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে, যার মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য হলো নেগেটিভ ইক্যুইটি ও আনরিয়েলাইজড লসের বিপরীতে বর্ধিত সময়ে প্রভিশন সংরক্ষণ ও সমন্বয়ের ক্ষেত্রে স্টক ব্রোকার, স্টক ডিলার ও মার্চেন্ট ব্যাংকারের নিট সম্পদের ঘাটতিসংক্রান্ত বিধান পরিপালনে সাময়িক শিথিলতা থাকবে। এ-সংক্রান্ত কমিশনের আদেশ কমিশনের ওয়েবসাইটের ‘সিকিউরিটিজ ল’ মেনুর ‘সিকিউরিটিজ ল, রুলস, রেগুলেশনসS’ সাব মেনুতে পাওয়া যাবে।

ঢাকা/এনটি/রাসেল

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বিএসইসির সামনে বিনিয়োগকারীদের বিক্ষোভ, ৮ দাবি পেশ
  • বেক্সিমকো সিকিউরিটিজের সনদ নবায়ন বাতিল
  • ২৮ প্রতিষ্ঠানের নেগেটিভ ইক্যুইটি ও লস প্রভিশনিংয়ের সময় বৃদ্ধি