আমাদের দায়িত্ব দলের শক্তি আরও বহুগুণ বৃদ্ধি করা : মামুন মাহমুদ
Published: 2nd, July 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য অধ্যাপক মামুন মাহমুদ বলেছেন, আগামী দিনে আমাদের যে চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে, সে চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আমাদের তরুন সমাজকে এবং আমাদের মেধাবী যারা সন্তান রয়েছে তাদেরকে আমাদের এ সদস্য কার্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
তাহলে এই তরুনরাই এবং মেধাবীরাই আগামী দিনে আমাদের পিছনে, আমাদের সামনে যে অদৃশ্য শক্তির বিরুদ্ধে আমাদের যুদ্ধ করতে হবে। সে অদৃশ্য শক্তির বিরুদ্ধে তারা লেখনির মাধ্যমে এবং প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থার মাধ্যমে তারা সে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করবে।
আমরা মুরব্বী হয়ে গেছি, আমরা ৪০/৫০ বছর যাবৎ যারা এখানে উপস্থিত রয়েছি তারা এ দলের রাজনীতি করি। এখন আমাদের দায়িত্ব হবে নতুন নতুন সদস্য সংগ্রহের মাধ্যমে এ দলের শক্তি আরো বহু বহুগুণ বৃদ্ধি করা।
বুধবার (২ জুলাই) সিদ্ধিরগঞ্জের ৩নং ওয়ার্ড বিএনপির উদ্যোগে সদস্য নবায়ন ও নতুন সদস্য সংগ্রহ কার্মক্রম অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় অধ্যাপক মামুন মাহমুদ বলেন, বিএনপি হচ্ছে উদার গনতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল। এ দলে সকলের প্রবেশ করার সুযোগ রয়েছে শুধুমাত্র অপরাধীরা ছাড়া। আর পতিত স্বৈরাচার যারা। যারা এ দেশ থেকে বিতাড়িত হয়েছে, যাদের রাজনীতি এ দেশের জনগণ প্রত্যাখান করেছে, তাদেরকে ঘৃনা ভরে এ দেশের মানুষ ছুড়ে ফেলে দিয়েছে।
সেই রাজনীতির সাথে যারা জড়িত ছিল, যারা তাদের দোসর ছিল, আওয়ামী দোসরদেরকে আমাদের বিতাড়িত করতে হয়েছে, এ দেশ থেকে বিতাড়িত হয়েছে, তাদেরকে এই কার্যক্রমের মধ্যে আমরা নিতে চাই না। তাদেরকে আমরা সদস্য করতে চাই না। সুতরাং তাদের জন্য দরজা বন্ধ থাকবে। আর সবাইর জন্য এই জাতীয়তাদী দলের দরজা খোলা থাকবে।
তিনি আরো বলেন, যারা জাতীয়তাবাদী আদর্শ বিশ্বাস করে, যারা এই বাংলাদেশকে ভালবাসে, বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব বিশ্বাস করে, তাদের জন্য বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের দরজা সব সময় খোলা থাকবে। তারা এই দলে আমন্ত্রিত হবে, তাদেরকে আমরা নতুন নতুন সদস্য করে নেব এবং তাদের মেধা ও প্রজ্ঞা দিয়ে আমাদের এই জাতীয়তাবাদী দলকে রাষ্ট্র পরিচালনায় কাজে লাগাবে।
সুতরাং এমন এমন সদস্যদেরকে আনতে হবে যাদের মেধা এবং প্রজ্ঞা দিয়ে আগামী দিনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল জনাব তারেক রহমানের নেতৃত্বে ক্ষত-বিক্ষত বাংলাদেশকে আবার নতুন করে সাঁজাতে হবে। কোন অত্যাচারী, কোন চাঁদাবাজ, কোন ভুমিদস্যু, কোন মাদক ব্যবসায়ীকে এই দলে জায়গা দেয়া হয় নাই।
নাসিক ৩নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আফজাল হোসেনের সভাপতিত্বে এবং ওয়ার্ড যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফারহান আহমেদ রুবেলের সঞ্চালনায় উক্ত অনুষ্ঠানে উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মামুন।
বিশেষ অতিথি ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য অকিল উদ্দিন ভূঁইয়া, রিয়াজুল ইসলাম রিয়াজ, সিদ্ধিরগঞ্জ ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইমাম হোসেন বাদল, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক গাজী মনির হোসেন, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা কৃষক দলের সদস্য সচিব সোহেল রহমান, থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সি: যুগ্ম আহ্বায়ক শাহ আলম মাষ্টার, মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি সিফাতুর রহমান রাজু, বিএনপি নেতা জাহাঙ্গীর হোসেন, গোলজার হোসেন, মোক্তার হোসেন মুক্তুল, রিয়াজুল ইসলাম, ফারুক হোসেন, দেলোয়ার হোসেন, মাসুদুর রহমান মাসুদ, বাবুর প্রধান, রাকিবুল দেওয়ান, লিয়াকত হোসেন লেকু, জুয়েল রানা, যুবদল নেতা মাইনুল হোসেন, বিএনপি নেতা সেলিম, এড.
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ব এনপ ন র য়ণগঞ জ আওয় ম ল গ স দ ধ রগঞ জ ব এনপ র স ন সদস য ত দ রক দল র স আম দ র র জন ত রহম ন
এছাড়াও পড়ুন:
রূপগঞ্জে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীর যাবজ্জীবন
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে আমীর হোসেন (৫০) নামে এক যুবককে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড এবং অনাদায়ে আরও ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক হুমায়রা তাসমিন এই রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আমীর হোসেন জামালপুর জেলার ইসলামপুরের মহলগিরী এলাকার শাহ জামালের ছেলে। রায় ঘোষণার সময়ে তিনি আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন।
কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক মো. কাইউম খান জানান, রূপগঞ্জের পশ্চিমগাঁও এলাকার মো. আবু তালেবের মেয়ে বিলকিছ বেগমের সঙ্গে আমীর হোসেনের বিয়ে হয়েছিল। কিন্তু বিয়ের পর থেকেই তাদের মধ্যে পারিবারিক ঝগড়া-বিবাদ লেগে থাকত।
২০০৩ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি রাতে আমীর হোসেন বিলকিছ বেগমকে তাদের বাড়ির পাশে ডেকে নিয়ে হত্যা করে। এই ঘটনায় বিলকিছের বাবা আবু তালেব রূপগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে আদালত এই রায় দেন।