মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার পাল্লাথল সীমান্ত দিয়ে আরও ৪৮ জনকে ঠেলে দিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী-বিএসএফ।

বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) ভোরে তাদের আটক করেছে বিজিবি। এ নিয়ে মৌলভীবাজার জেলায় পুশইনের ঘটনায় বিজিবির হাতে আটক হয়েছেন ৪৫২ জন।

বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, বড়লেখা উপজেলা দিয়ে ৩৪১ জন, জুড়ী উপজেলা দিয়ে ১০ জন, কুলাউড়া উপজেলা দিয়ে ২১ জন, শ্রীমঙ্গল উপজেলা দিয়ে ১৯ জন ও কমলগঞ্জ উপজেলা দিয়ে ৬১ জনকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও আরও কয়েক শতাধিক লোক সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশ করলেও বিজিবি বা স্থানীয় প্রশাসন তাদের আটক করতে পারেনি।

৫২ বিজিবি জানায়, বড়লেখা উপজেলার পাল্লাথল বিওপির দায়িত্বপূর্ণ সীমান্তবর্তী এলাকার পাল্লাথল পুঞ্জি নামক স্থান হতে ৪৮ জনকে ভারত হতে অবৈধভাবে বাংলাদেশে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। তা পাহাড়ী এলাকায় ঘুরাঘুরি করছিল। বিজিবির টহলদল তাদেরকে আটক করে। আটককৃতদের মধ্যে পুরুষ ১৫ জন, নারী ১৫ জন এবং শিশু রয়েছে ১৮ জন।

বিজিবি জানিয়েছে, আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় তারা আনুমানিক ৬ মাস হতে ১৭ বছর পূর্বে চিকিৎসা এবং কাজের উদ্দেশ্যে কুড়িগ্রাম ও যশোর জেলার সীমান্ত এলাকা দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে গমন করেন। পরবর্তীতে তাদেরকে ভারতের বিএসএফ কর্তৃক বাংলাদেশে ঠেলে পাঠানো হয়।

বিজিবি ৫২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে.

কর্নেল মোহাম্মদ আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, “জিজ্ঞাসাবাদে ঠেলে পঠানো ব্যক্তিদের বাড়ি যশোর, বাগেরহাট, চাপাইনবাবগঞ্জ, বরগুনা, বরিশাল এবং কুড়িগ্রাম জেলার বাসিন্দা বলে জানা গেছে। আটককৃতদের পরিচয় নিশ্চিত সাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।”

ঢাকা/আজিজ/এস

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

দর্শনা সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে যুবকের মৃত্যুর খবর

চুয়াডাঙ্গার দর্শনা সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে ইব্রাহিম বাবু (৩০) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে তাঁর পরিবার। বুধবার দুপুরে দর্শনা থানার বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের ৭৯ নম্বর প্রধান খুঁটির কাছে ভারতের অভ্যন্তরে গুলির এ ঘটনা ঘটে।

ইব্রাহিম বাবুর বাবা মো. নূর ইসলাম বলেন, তাঁর ছেলে বুধবার দুপুর ১২টার দিকে ঘাস কাটতে সীমান্ত এলাকার মাঠে যায়। সেখানে ঘাস কাটার সময় ভুল করে ভারত অভ্যন্তরে ঢুকে পড়লে বিএসএফ তাঁকে লক্ষ্য করে পরপর দুটি গুলি ছোড়ে। এতে ঘটনাস্থলে ইব্রাহিম বাবু মারা যান।

৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো . নাজমুল হাসান সীমান্তে বিএসএফের গুলিবর্ষণের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ঝাঁঝাডাঙ্গা সীমান্তে বিএসএসফের গুলিবর্ষণের খবর পাওয়ার পরপরই ৩২ বিএসএফের কমান্ড্যান্টের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, বেশ কয়েকজন স্বর্ণ চোরাকারবারি ভারতের ২০০ মিটার অভ্যন্তরে ঢুকে পড়লে বিএসএফ তাঁদের লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করে। এ ঘটনায় একজন গুলিবিদ্ধ হন এবং অন্যরা পালিয়ে যান। গুলিবিদ্ধ ব্যক্তিকে উদ্ধার করে সেখানকার হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, গুলিবিদ্ধ ব্যক্তির মারা যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

স্থানীয় একাধিক সূত্রের ভাষ্য, চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা থানার পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউনিয়নের ঝাঁঝাডাঙ্গা গ্রামের মো. নূর ইসলামের ছেলে ইব্রাহিম বাবুসহ ৪-৫ জন দুপুর ১২টার দিকে গরুর ঘাস কাটার জন্য ভারতের সীমান্তের কাছাকাছি গালার মাঠে যান। এর কিছুক্ষণ পর স্থানীয় বাসিন্দারা পরপর দুটি গুলির শব্দ শুনতে পান। ইব্রাহিমের সঙ্গে ঘাস কাটতে যাওয়া লোকজন ফিরে এসে ইব্রাহিম বাবুর বাবাকে জানান, বিএসএফের গুলিতে তাঁর ছেলে মারা গেছেন এবং তাঁর লাশ বিএসএফ নিয়ে গেছে।

দর্শনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শহীদ তিতুমীর প্রথম আলোকে বলেন, সীমান্তে গুলিবর্ষণের খবর অনেকেই শুনেছেন। যেহেতু গুলিবর্ষণের পর ইব্রাহিম বাবু বাড়িতে ফেরেননি, এ জন্য তাঁর মা–বাবার ধারণা যে তাঁদের ছেলে মারা গেছেন। তবে গুলিবিদ্ধ লাশ দেখেছেন, এমন প্রত্যক্ষদর্শী পাওয়া যায়নি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মৌলভীবাজারের দুই উপজেলা দিয়ে ৭১ জনকে পুশইন করল বিএসএফ
  • নওগাঁয় সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত
  • মৌলভীবাজারের দুটি সীমান্ত দিয়ে ৭১ জনকে ঠেলে পাঠাল বিএসএফ
  • দর্শনা সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে যুবকের মৃত্যুর খবর
  • চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি আহত
  • বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত
  • ভারতে প্রবেশের চেষ্টাকালে আটক ৫