ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের চলমান আগ্রাসনে এবার প্রাণ হারালেন এক ফুটবলার। মুহান্নাদ আল–লেলে নামের এই ফুটবলারের মৃত্যুর খরব নিশ্চিত করেছে ফিলিস্তিন ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন।

জানা গেছে, সেন্ট্রাল গাজার আল–মাঘাজি শরণার্থীশিবিরে নিজের বাসায় ইসরায়েলি বোমা হামলায় আহত হয়ে পরে মৃত্যুবরণ করেন মুহান্নাদ। ফিলিস্তিন ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের পর এখন পর্যন্ত ৫৮৫ ক্রীড়াবিদ মৃত্যুবরণ করেছেন, যাঁদের মধ্যে শুধু ফুটবল অঙ্গনেরই ২৬৫ জন।

ফেডারেশনের ওয়েবসাইটে দেওয়া এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ‘গত সোমবার একটি ড্রোন মুহান্নাদের বাসার তৃতীয় তলায় আঘাত হানে। এ আঘাতে তাঁর (মুহান্নাদ) মাথায় মারাত্মকভাবে রক্তক্ষরণ হয় এবং মঙ্গলবার সকালে তিনি মারা যান।’

আরও পড়ুনপ্রিয় জোতা, এভাবে চলে যেতে নেই১৩ ঘণ্টা আগে

স্থানীয়ভাবে পরিচিত ফুটবলার মুহান্নাদ ফিলিস্তিনি ক্লাব খাদামাত আল–মাঘাজির হয়ে নিজের ক্যারিয়ার শুরু করেন। পরবর্তী সময়ে ২০১৬–১৭ মৌসুমে তিনি ফিলিস্তিন প্রিমিয়ার লিগে দলটির নেতৃত্বও দেন।

এরপর মাঘাজি ছেড়ে শাবাব জাবালিয়াতে যোগ দেন মুহান্নাদ। এ ক্লাবের হয়ে তিনি দুটি মৌসুম খেলেন এবং ২০১৮–১৯ মৌসুমে দলকে দ্বিতীয় স্থানে থেকে মৌসুম শেষ করতে সহায়তাও করেন। শাবাবে সাফল্য পাওয়ার পর মুহান্নাদ যোগ দেন গাজা স্পোর্টস ক্লাবে। কিন্তু লিগামেন্ট ইনজুরির কারণে দলকে থেকে ছিটকে যান তিনি। এ পরিস্থিতিতে তিনি আবার নিজের প্রথম ক্লাব খাদামাতে আল–মাঘাজিতে ফিরে আসেন।

আরও পড়ুনফিলিস্তিন ফুটবলের ‘লায়ন’কেও মেরে ফেলল ইসরায়েলি বাহিনী১৪ মার্চ ২০২৪

এদিকে ইসরায়েলি আগ্রাসনে একের পর এক ক্রীড়াবিদদের মৃত্যুর পাশাপাশি ক্রীড়া স্থাপনাও ব্যাপকভাবে ধ্বংস হওয়ার কথা জানিয়েছে ফেডারেশন।

বিবৃতিতে তারা লিখেছে, ‘দখলদার বাহিনীর হামলায় ধ্বংস হওয়া ক্রীড়া স্থাপনার সংখ্যা এখন ২৬৪–তে পৌঁছেছে। এর মধ্যে ১৮৪টি পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে। আর ৮১টি ধ্বংস হয়েছে আংশিকভাবে। এর মধ্যে ফিফার অর্থায়নে নির্মিত ১২টি স্টেডিয়ামের সব কটিই ইসরায়েলি হামলার শিকার হয়েছে এবং ধ্বংস হয়ে গেছে। এ ছাড়া গাজা উপত্যকার ইয়ারমুক ও ফিলিস্তিন স্টেডিয়ামগুলো এখন বাস্তুচ্যুত মানুষের আশ্রয়কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে।’

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ফ টবল র ইসর য় ল

এছাড়াও পড়ুন:

আড়াইহাজারে ছেলের হাতে বাবা নিহত

নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে মোটরসাইকেল কেনার টাকা না পেয়ে বাবাকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে মো. ইয়াসিন (২২) নামে যুবকের বিরুদ্ধে।

শুক্রবার (৪ জুলাই) সকালে উপজেলার বিশনন্দী ইউনিয়নের বিশনন্দী পূর্বপাড়া গ্রামে হত্যাকাণ্ডটি ঘটে। 

নিহতের নাম মো. মাহবুব (৪২)। তিনি কৃষি কাজ করতেন। অভিযুক্ত ইয়াসিন ঘটনার পর থেকে পলাতক।

আরো পড়ুন:

ঝিনাইদহে স্বামী হত্যার দায়ে স্ত্রী ও তার প্রেমিকের যাবজ্জীবন

সুন্দরগঞ্জে গৃহবধূকে হত্যা: ২ নারীসহ গ্রেপ্তার ৫

এলাকাবাসী জানায়, সকালে ইয়াসিন তার বাবা মাহবুবের কাছে মোটরসাইকেল কিনতে টাকা চান। মাহবুব টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে দুইজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে ইয়াসিন উত্তেজিত হয়ে হাতুড়ি দিয়ে মাহবুবকে এলোপাথাড়ি আঘাত করেন। গুরুতর আহত অবস্থায় মাহবুবকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানকার চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। 

আড়াইহাজার থানার ওসি খন্দকার নাসির উদ্দিন বলেন, ‍“পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত শুরু হয়েছে।”

ঢাকা/অনিক/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ