বলিউড অভিনেত্রী কাজলের প্রাণবন্ত অভিনয় আর সহজাত সৌন্দর্য আজও দর্শকদের মুগ্ধ করে। যদিও এখন তাঁকে বড় পর্দায় খুব বেশি দেখা যায় না। তারপরও তাঁকে নিয়ে ভক্তদের কৌতূহল রয়েছে বরাবরই। এ তারকার মতে, ফ্যাশন আর স্টাইলের মূলমন্ত্র হচ্ছে আত্মবিশ্বাস আর স্বাচ্ছন্দ্য। জীবনে চলার পথে এ মন্ত্রই তিনি অনুসরণ করেছেন বরাবর।
হাওয়ায় দুলতে থাকা শাড়ির আঁচল, হালকা মেকআপে প্রাকৃতিক দীপ্তি, একরঙা পোশাকের মৃদু অথচ দৃপ্ত বক্তব্য– সব মিলিয়ে চলতি ফ্যাশনের বাইরে নিজেকে আলাদাভাবে গড়ে তুলেছেন কাজল। ৫০ বয়সী এ তারকা বুঝিয়েছেন বয়স কেবল একটি সংখ্যা, কিন্তু স্টাইল হলো মনের তারুণ্য। ফ্যাশন-স্টাইলে ভারতীয় ও পাশ্চাত্য ধারার মিশেল মেনে চলেন তিনি। 
আরামের চেয়ে বড় কিছু নয়
ফ্যাশনের ক্ষেত্রে সব সময় ট্রেন্ড মেনে চলতে হবে– কাজল তা মনে করেন না। তিনি এ ক্ষেত্রে আরামকে প্রাধান্য দেন। প্রায়ই তিনি হালকা শাড়ি, খোলামেলা আনারকলি ড্রেস, কখনওবা কো-অর্ড সেট পরতে পছন্দ করেন। তাঁর মতে, এসব পোশাক তাঁকে স্বাচ্ছন্দ্য রাখতে সাহায্য করে। 
কম মেকআপে আত্মবিশ্বাস 
কাজলের মুখে কড়া মেকআপ, ভারী হাইলাইটার বা অতিরিক্ত ফাউন্ডেশনের প্রলেপ খুঁজে পাবেন না। তিনি যেন প্রকৃতির নিজস্ব আলোয় উদ্ভাসিত। হালকা কাজল-লেপা চোখ, ত্বকের প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা আর ঠোঁটে হালকা আর্ট– এই তো তাঁর মনকাড়া সৌন্দর্যের ফর্মুলা। তিনি মনে করেন চকচকে ত্বকই সবচেয়ে বড় অলংকার, অতিরিক্ত মেকআপ কখনও সৌন্দর্যের কারণ হতে পারে না।
শাড়িতে সৌন্দর্য
শাড়িকে কেবল বিয়েশাদি বা বড় অনুষ্ঠানেই সীমাবদ্ধ রাখার ধারণা ভেঙে দিয়েছেন কাজল। তিনি শাড়ি পরেন স্বাচ্ছন্দ্যে, মডার্ন ব্লাউজের সঙ্গে, ছোট্ট গহনা আর খোলা চুলে। প্রিন্ট থেকে শুরু করে প্যাস্টেল অরগাঞ্জা– সব ধরনের শাড়িই তিনি পরেন। তাঁর শাড়ি পরার ধরন যেন বলে, এটা কোনো বয়সের গণ্ডিতে আটকে থাকা পোশাক নয়– এটা একান্তই নিজস্ব গল্প বলা।
একরঙাও হতে পারে মনোমুগ্ধকর 
কাজলের ক্যাবিনেট দেখলেই বোঝা যায়, একরঙা পোশাক মানেই নীরস নয়। হোক সেটা সাদা আনারকলি বা গাঢ় ওয়াইন জাম্পসুট বা একরঙা কোনো শাড়ি। তিনি সবকিছুতেই এমন সামঞ্জস্য আনেন যে একরঙাও হয়ে ওঠে বহুরঙা অভিব্যক্তির বাহক। কোমরে থাকা বেল্ট বা স্টেটমেন্ট দুল যেন নিখুঁত ছোঁয়া দেয় পুরো লুকে।
বয়স নয়, মনের তারুণ্যই আসল
কাজলের ফ্যাশন থেকে সবচেয়ে বড় বার্তা– তোমার বয়স যতই হোক না কেন, পোশাক পর নিজের মনের খুশিতে। তিনি অনায়াসে ভারতীয় লেহেঙ্গায় মেসি বান বাঁধেন, আবার পাশ্চাত্য গাউনেও চালিয়ে দেন নিজের মনমতো হেয়ার স্টাইল। তাঁর স্টাইল সবার নজর কাড়ে মুখে লেগে থাকা মিষ্টি হাসির কারণে। তাঁর মতে, স্টাইল হলো তোমার এনার্জি, যা বয়সের সীমারেখায় থেমে থাকে না।
সিনেমার পর্দায় হোক সেটা শক্তিশালী মায়ের চরিত্র কিংবা কোনো সাধারণ অনুষ্ঠান– সব জায়গাতেই কাজল নিজস্ব স্টাইল-ফ্যাশন অনুসরণ করেন, যেখানে থাকে পুরোনো দিনের মায়া আর আধুনিকতার ঝলক। v
তথ্যসূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ফ য শন স ন দর য ক জল র ম কআপ

এছাড়াও পড়ুন:

ফ্যাশন-স্টাইল নিয়ে কাজলের ভাবনা

বলিউড অভিনেত্রী কাজলের প্রাণবন্ত অভিনয় আর সহজাত সৌন্দর্য আজও দর্শকদের মুগ্ধ করে। যদিও এখন তাঁকে বড় পর্দায় খুব বেশি দেখা যায় না। তারপরও তাঁকে নিয়ে ভক্তদের কৌতূহল রয়েছে বরাবরই। এ তারকার মতে, ফ্যাশন আর স্টাইলের মূলমন্ত্র হচ্ছে আত্মবিশ্বাস আর স্বাচ্ছন্দ্য। জীবনে চলার পথে এ মন্ত্রই তিনি অনুসরণ করেছেন বরাবর।
হাওয়ায় দুলতে থাকা শাড়ির আঁচল, হালকা মেকআপে প্রাকৃতিক দীপ্তি, একরঙা পোশাকের মৃদু অথচ দৃপ্ত বক্তব্য– সব মিলিয়ে চলতি ফ্যাশনের বাইরে নিজেকে আলাদাভাবে গড়ে তুলেছেন কাজল। ৫০ বয়সী এ তারকা বুঝিয়েছেন বয়স কেবল একটি সংখ্যা, কিন্তু স্টাইল হলো মনের তারুণ্য। ফ্যাশন-স্টাইলে ভারতীয় ও পাশ্চাত্য ধারার মিশেল মেনে চলেন তিনি। 
আরামের চেয়ে বড় কিছু নয়
ফ্যাশনের ক্ষেত্রে সব সময় ট্রেন্ড মেনে চলতে হবে– কাজল তা মনে করেন না। তিনি এ ক্ষেত্রে আরামকে প্রাধান্য দেন। প্রায়ই তিনি হালকা শাড়ি, খোলামেলা আনারকলি ড্রেস, কখনওবা কো-অর্ড সেট পরতে পছন্দ করেন। তাঁর মতে, এসব পোশাক তাঁকে স্বাচ্ছন্দ্য রাখতে সাহায্য করে। 
কম মেকআপে আত্মবিশ্বাস 
কাজলের মুখে কড়া মেকআপ, ভারী হাইলাইটার বা অতিরিক্ত ফাউন্ডেশনের প্রলেপ খুঁজে পাবেন না। তিনি যেন প্রকৃতির নিজস্ব আলোয় উদ্ভাসিত। হালকা কাজল-লেপা চোখ, ত্বকের প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা আর ঠোঁটে হালকা আর্ট– এই তো তাঁর মনকাড়া সৌন্দর্যের ফর্মুলা। তিনি মনে করেন চকচকে ত্বকই সবচেয়ে বড় অলংকার, অতিরিক্ত মেকআপ কখনও সৌন্দর্যের কারণ হতে পারে না।
শাড়িতে সৌন্দর্য
শাড়িকে কেবল বিয়েশাদি বা বড় অনুষ্ঠানেই সীমাবদ্ধ রাখার ধারণা ভেঙে দিয়েছেন কাজল। তিনি শাড়ি পরেন স্বাচ্ছন্দ্যে, মডার্ন ব্লাউজের সঙ্গে, ছোট্ট গহনা আর খোলা চুলে। প্রিন্ট থেকে শুরু করে প্যাস্টেল অরগাঞ্জা– সব ধরনের শাড়িই তিনি পরেন। তাঁর শাড়ি পরার ধরন যেন বলে, এটা কোনো বয়সের গণ্ডিতে আটকে থাকা পোশাক নয়– এটা একান্তই নিজস্ব গল্প বলা।
একরঙাও হতে পারে মনোমুগ্ধকর 
কাজলের ক্যাবিনেট দেখলেই বোঝা যায়, একরঙা পোশাক মানেই নীরস নয়। হোক সেটা সাদা আনারকলি বা গাঢ় ওয়াইন জাম্পসুট বা একরঙা কোনো শাড়ি। তিনি সবকিছুতেই এমন সামঞ্জস্য আনেন যে একরঙাও হয়ে ওঠে বহুরঙা অভিব্যক্তির বাহক। কোমরে থাকা বেল্ট বা স্টেটমেন্ট দুল যেন নিখুঁত ছোঁয়া দেয় পুরো লুকে।
বয়স নয়, মনের তারুণ্যই আসল
কাজলের ফ্যাশন থেকে সবচেয়ে বড় বার্তা– তোমার বয়স যতই হোক না কেন, পোশাক পর নিজের মনের খুশিতে। তিনি অনায়াসে ভারতীয় লেহেঙ্গায় মেসি বান বাঁধেন, আবার পাশ্চাত্য গাউনেও চালিয়ে দেন নিজের মনমতো হেয়ার স্টাইল। তাঁর স্টাইল সবার নজর কাড়ে মুখে লেগে থাকা মিষ্টি হাসির কারণে। তাঁর মতে, স্টাইল হলো তোমার এনার্জি, যা বয়সের সীমারেখায় থেমে থাকে না।
সিনেমার পর্দায় হোক সেটা শক্তিশালী মায়ের চরিত্র কিংবা কোনো সাধারণ অনুষ্ঠান– সব জায়গাতেই কাজল নিজস্ব স্টাইল-ফ্যাশন অনুসরণ করেন, যেখানে থাকে পুরোনো দিনের মায়া আর আধুনিকতার ঝলক। v
তথ্যসূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

সম্পর্কিত নিবন্ধ