খুলনায় গত ১০ মাসে ২৬টি হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে। এর মধ্যে নদীতে ভেসে আসা দুটি লাশের বিষয়ে নৌ পুলিশ তদন্ত করছে। অন্য ২৪টির হত্যাকাণ্ডের মধ্যে রহস্য উদ্ঘাটন হয়েছে ২২টির। এসব মামলায় এজাহারভুক্ত ৪৬ আসামিসহ ৮৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। মামলাগুলোর তদন্ত শেষ পর্যায়ে। 

মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) কমিশনার জুলফিকার আলী হায়দার। তিনি বলেন, সবচেয়ে বেশি ৭টি হত্যা হয়েছে মাদক বিক্রি সংক্রান্ত আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে। এ ছাড়া ইজিবাইক ও ভ্যান চুরি নিয়ে ৫টি এবং নারী-পুরুষের সম্পর্কের কারণে ৫টি হত্যা সংঘটিত হয়েছে। এর বাইরে তালিকাভুক্ত ১০ শীর্ষ সন্ত্রাসীসহ ২৪ সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। উদ্ধার হয়েছে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র, গুলি ও মাদক।

খুলনার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত এই সংবাদ সম্মেলনে ঘুরেফিরে কমিশনারের পদত্যাগ দাবির প্রসঙ্গ উঠে আসে। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, পুলিশের চাকরিতে পদত্যাগের সুযোগ নেই। কর্তৃপক্ষ চাইলে আমাকে বদলি করতে পারে। সে জন্য আমি প্রস্তুত। তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা এবং পরিস্থিতি উন্নতির জন্য পুলিশকে সহযোগিতা করতে হবে। চাপ দেওয়া বা দাবি আদায়ের নামে পুলিশের মনোবল ভাঙার চেষ্টা করা সমীচীন হবে না। পুলিশকে দূরে ঠেলে দেবেন না। মনোবল ভেঙে গেলে পুলিশ আর কাজ করতে পারবে না।

জুলফিকার আলী জানান, খুলনা শহরে ২০ থেকে ২২ হাজার ইজিবাইক চলাচল করে। ধারণা করা হয়, এর প্রায় ৬০ শতাংশ প্রতিদিন বাইরে থেকে শহরে প্রবেশ করে। ইজিবাইক চালকরা ট্রাফিক আইন সম্পর্কে সচেতন না হওয়ায় যানজটের কারণ হয়ে ওঠে। কেএমপির উদ্যোগে এ পর্যন্ত সাড়ে ছয় হাজার ইজিবাইক চালককে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। বাকিদের তিন থেকে চার মাসের মধ্যে প্রশিক্ষণ দেওয়া সম্ভব হবে। এ ছাড়া খুলনার সব ইজিবাইককে দুই রঙে বিভক্ত করে রং অনুযায়ী এক দিন বাদে এক দিন চলাচলের ব্যবস্থা করা বিষয়ে ভেবে দেখা যেতে পারে।

সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) মোহাম্মদ রাশিদুল ইসলাম খান, উপপুলিশ কমিশনার (উত্তর) মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, উপপুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) আবু তারেক, উপপুলিশ কমিশনার (সিটিএসবি) আবুল বাশার মোহাম্মদ আতিকুর রহমান ও উপপুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) সুদর্শন কুমার রায় উপস্থিত ছিলেন।


 

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

বন্দরে ইউএনও ও ওসির বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত  

ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মধ্যে রদবদল শুরু হয়েছে। এর অংশ হিসেবে  বন্দর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো.মোস্তাফিজুর রহমান ও বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ মো.লিয়াকত আলীকে বদলী করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) দুপুরে বন্দর উপজেলা অফিসার্স ক্লাবের আয়োজনে উপজেলা অডিটোরিয়ামে উল্লেখিত দুই কর্মকর্তার বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বিদায়ী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সহকারী কমিশনার(ভুমি) রহিমা আক্তার ইতি, প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা.সরকার আশ্রাফুল ইসলাম, নৌ পুলিশের পরিদর্শক সালেহ আহমেদ,নির্বাচন অফিসার শেখ ফরিদ,প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুল আলম জাহিদ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন সিদ্দিকী, প্রকৌশলী সামিন ইশরাক,মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার কাইয়ুম খান, সমাজসেবা কর্মকর্তা ফয়সাল কবির, যুব উন্নয়ন অফিসার মো.শাহেন শাহ, খাদ্য নিয়ন্ত্রক মুশফিকুর রহমান সহ অন্যান্য কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক ও বিভিন্ন  শ্রেনী পেশার প্রতিনিধিবৃন্দ।

অনুষ্ঠানে বিদায়ী দুই অফিসারের কার্যকালে জনস্বার্থে বিভিন্ন উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপের স্মৃতিচারন করে বক্তারা বলেন,চরম টালমাটাল অবস্থায় ইউএনও মো. মোস্তাফিজুর রহমান  এবং ওসি লিয়াকত আলী কর্মস্থলে যোগদান করেন।দু’জনেই স্ব-স্ব দায়িত্ব গ্রহণের পরপর গণ অভ্যুত্থান পরবর্তী পরিস্থিতিতে জনমনে স্বস্তি ফেরাতে নিরলস কাজ করেছেন।অনেকাংশেই তারা সফলভাবে কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করেছেন। স্বল্প সময়ের মধ্যে উপজেলা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বন্দরের মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত ও পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সক্ষম হয়েছেন। 
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ৩৩ বছর পর মুর্শিদাবাদে ‘বাবরি মসজিদের’ ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন শনিবার
  • বন্দরে ইউএনও ও ওসির বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত