পুরান ঢাকায় মিটফোর্ডের সামনে এক ব্যবসায়ীকে হত্যার ঘটনায় জরুরি সংবাদ সম্মেলন করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। আজ শনিবার সকালে রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে এই সংবাদ সম্মেলন হয়। সংবাদ সম্মেলনে সন্ধ্যায় শাহবাগ থেকে মশালমিছিলের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি রিফাত রশিদ বলেন, ‘জুলাই এসেছে এত রক্তের বিনিময়ে, জুলাইয়ের ওপর আমাদের রক্ত দেওয়ার শেষ হয়নি। আমরা যে নতুন বাংলাদেশের কথা বলছি, সে বাংলাদেশের আকাঙ্ক্ষা ও বাস্তবতার মধ্যে আকাশ–জমিন ফারাক। প্রস্তর যুগে ফিরিয়ে নেওয়ার আদিম উদ্যমতা, খুন করে লাশের ওপর নৃত্য করে। এগুলো আমরা শুনেছি জাহিলিয়ার যুগে।’

সংবাদ সম্মেলনে কর্মসূচির ঘোষণা করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক হাসান ইনাম। তিনি এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে আজ সন্ধ্যা সাতটায় মশালমিছিল কর্মসূচির ঘোষণা দেন। একই সঙ্গে ব্যক্তি উদ্যোগে সারা দেশে নিজ নিজ জায়গা থেকে প্রতিবাদ করার আহ্বান জানানো হয়। সন্ধ্যা সাতটা থেকে এই মিছিল শাহবাগ থেকে শুরু হবে। সব ছাত্রসংগঠন ও প্ল্যাটফর্মকে মিছিলে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে এই কর্মসূচির ঘোষণা দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক হাসান ইনাম।

এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

প্রেমের টানে ভারতে গিয়ে গ্রেপ্তার বাংলাদেশি তরুণী

প্রেমের টানে ভারতে অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে এক বাংলাদেশি তরুণী গ্রেপ্তার হয়েছেন। তাকে অনুপ্রবেশে সহায়তা করার অভিযোগে তার প্রেমিক ভারতীয় নাগরিককেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে ত্রিপুরার সেপাহিজলা জেলায়। অভিযুক্তরা বর্তমানে ১৪ দিনের বিচার বিভাগীয় হেফাজতে রয়েছেন।

জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিএসএফ তাদের আটক করে। পরে স্থানীয় পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। 

গ্রেপ্তার ওই বাংলাদেশি তরুণীর নাম প্রকাশ করা হয়নি। তবে তিনি বাংলাদেশের বগুড়া জেলার বাসিন্দা বলে জানানো হয়েছে। আর তার প্রেমিকের নাম দত্ত যাদব। তিনি কর্ণাটকের বাসিন্দা। 

পুলিশ জানায়, ওই বাংলাদেশি তরুণী একসময় মুম্বাইয়ের একটি বিউটি পার্লারে কাজ করতেন। পরে বেঙ্গালুরুর একটি বেসরকারি সংস্থায়  যোগ দেন। এসময় কর্ণাটকের বাসিন্দা দত্ত যাদবের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক হয়। তবে কয়েক মাস আগে ওই তরুণী আবার বাংলাদেশে চলে যায়। প্রেমিকের অনুরোধ রাখতে আবার ভারতে আসেন। তবে তার সঙ্গে পাসপোর্ট ও ভিসা ছিল না। তাই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় অনুপ্রবেশে সহায়তা করায় তার প্রেমিক দত্ত যাদবকেও গ্রেপ্তার করা হয়। 

পুলিশ আরও জানায়, তারা ত্রিপুরা থেকে বেঙ্গালুরুতে যাওয়ার পরিকল্পনা করছিলেন। এসময় বিএসএফ তাদের আটক করে। 

অভিযুক্তদের ভারতীয় পাসপোর্ট আইন এবং ১৪ ফরেনারস অ্যাক্ট ও ভারতীয় ন্যায় সংহিতার অধীন বিভিন্ন ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে বলেও জানায় পুলিশ। 

ত্রিপুরা রাজ্যের পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান, ওই বাংলাদেশি তরুণীকে ভারতে অনুপ্রবেশে কোনো দালাল সহযোগিতা করেছে কি না তা খুঁজে বের করা হচ্ছে। সেটি মানব পাচারের সঙ্গে জড়িত কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।  

সম্পর্কিত নিবন্ধ