বন্দরে ৩০ কেজি ৫শ গ্রাম গাঁজাসহ গ্রেপ্তার ৩
Published: 22nd, July 2025 GMT
বন্দরে ৩০ কেজি ৫'শ গ্রাম গাঁজাসহ ৩ মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১১। গত রোববার (২০ জুলাই) দুপুর ২টায় র্যাব-১১ এর একটি আভিযানিক দল বন্দরে চট্টগ্রাম-ঢাকা মহাসড়কে মদনপুরের রাফি ফিলিং স্টেশনের সামনে চট চেকপোস্ট স্থাপন করে পিকআপ তল্লাশি চালিয়ে এদেরকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তারকৃত মাদক কারবারিরা হলো বরিশাল জেলার কাজিরহাট উপজেলার গদিকাটা এলাকার মো.
এ ব্যাপারে সোমবার (২১ জুলাই) সকালে বন্দর থানায় মাদক আইনে একটি মামলা রুজু করা হয়েছে। যার নং ২১(০৭)২১ইং। গ্রেপ্তারকৃতদের সোমবার (২১ জুলাই) দুপুরে উল্লেখিত মামলায় আদালতে প্রেরণ করেছে।
মামলার তথ্য সূত্রে জানা গেছে, গত ২০ জুলাই রোববার দুপুরে আদমজীনগর ক্যাম্পের র্যাব-১১ সিপিএসপি'র সিনিয়র অফিসার আমিরুল ইসলামের নেতৃত্বে সঙ্গীয় ফোর্স বন্দর মদনপুরস্থ ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কে টহল ডিউটি চলাকালীন সময়ে দুপুর সাড়ে ১২টার সময় মদনপুর বাসষ্ট্যান্ড এলাকায় অবস্থান করছিল।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে একটি মাদক কারবারি চক্র একটি পিকআপ গাড়ী নিয়ে কুমিল্লা হতে অবৈধ মাদকদ্রব্য ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হচ্ছে এবং একজন ব্যাক্তি মোটর সাইকেল যোগে উক্ত গাড়িটিকে গাইড করছিল।
এমন সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব মদনপুর বাসষ্ট্যান্ড রাফি ফিলিং ষ্টেশনের সামনে চেকপোষ্ট বসিয়ে সন্দেহজনক মোটর সাইকেল ও পিকআপ গাড়িটি থামিয়ে তল্লাশী করে মাদক কারবারি মোটর সাইকেল চালক,পিকআপ গাড়ির চালক ও হেলপারসহ ৩ মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
এ সময় পিকআপ ভ্যানে তল্লাশী চালিয়ে ৩০ কেজি ৫০০ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করা হয়। এবং মাদক পরিবহনে ব্যবহৃত একটি পিকআপ ভ্যান ও একটি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ মদনপ র প কআপ
এছাড়াও পড়ুন:
আসামিদের হুমকিতে অসহায় মা, নিরাপত্তা চেয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবি
খুলনা মহানগরীর লবণচরার বাংলাদেশ সী ফুডস রোড এলাকার ঘের ব্যবসায়ী মো. আলমগীর হোসেন বিদ্যুৎ (২৪) হত্যা মামলার বিচার কাজ এক যুগ অতিবাহিত হলেও এখনো শেষ হয়নি। মামলার দীর্ঘ সূত্রিতার কারণে আসামিরা জামিনে বের হয়ে মামলা তুলে নিতে হুমকি দিচ্ছেন নিহতের পরিবারকে। তাদের বিরুদ্ধে বাদীর অপর ছেলেকে হত্যার ভয়-ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগ উঠেছে।
এ অবস্থায় সাক্ষীদের নিরাপত্তা দিয়ে সাক্ষ্য গ্রহণের ব্যবস্থা এবং আসামিদের অপতৎপরতা থেকে রক্ষা করে দ্রুত মামলা নিষ্পত্তির আহ্বান জানিয়েছেন নিহত বিদ্যুতের মা জাহানারা বেগম। রবিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে খুলনা প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বিচার বিভাগ, পুলিশ বিভাগ ও সাংবাদিকসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
আরো পড়ুন:
কেএমপির ৮ থানার ওসি রদবদল
জলবায়ু পরিবর্তন আজকের বিশ্বের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ: ইইউ রাষ্ট্রদূত
লিখিত বক্তব্যে জাহানারা বেগম বলেন, “২০১২ সালের ৪ ডিসেম্বর সন্ত্রাসীরা আমার ছোট ছেলে মো. আলমগীর হোসেন ওরফে বিদ্যুৎকে (২৪) নগরীর খানজাহান আলী (র.) সেতু এলাকায় নিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। ঘটনার পর ৭ ডিসেম্বর আমি বাদী হয়ে খুলনা সদর থানায় হত্যা মামলা করি (মামল নং- ০৩)। মামলাটি বর্তমানে খুলনা মহানগর দায়রা জজ (মামলা নং: ৪৪৯/১৫) বিচারাধীন আছে।”
“মামলায় লবণচরা বাংলাদেশ সী ফুডস রোড এলাকার নাজিম খলিফার দুই ছেলে আরমান খলিফা ও আরিফ খলিফা, লবণচরা মোহাম্মদীয়া পাড়া মসজিদ এলাকার আব্দুল জলিল হাওলাদারের ছেলে হারুন হাওলাদার, লবণচরা ইব্রাহীমিয়া মাদরাসা রোড এলাকার হামিদ মিস্ত্রীর ছেলে মো. সিরাজ এবং লবণচরা মোক্তার হোসেন রোড এলাকার হযরত আলী ফকিরের ছেলে বাদল ফকিরকে আসামি করা হয়। এ মামলায় আসামিরা বিভিন্ন সময় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারেও ছিলেন। আসামিরা জামিনে মুক্তি পেয়ে জেল থেকে বের হয়ে মামলা তুলে নিতে নানাভাবে হুমকি-ধামকি অব্যাহত রেখেছে। এই সব আসামিদের বিরুদ্ধে একাধিক থানায় বিভিন্ন মামলাও রয়েছে”, যোগ করেন তিনি।
জাহানারা বেগম অভিযোগ করে বলেন, “আমার কলিজার টুকরো সন্তানকে হত্যা করেও সন্ত্রাসীরা ক্ষ্যান্ত হয়নি। উপরন্ত জামিনে মুক্তি পেয়ে তারা এখন মামলা তুলে নিতে আমি ও আমার এক মাত্র সন্তান এবং মামলার স্বাক্ষীদের জীবননাশসহ বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি ও হুমকি দিচ্ছে। এ বিষয়ে বারবার সাধারণ ডায়রি (জিডি) করার ফলে হত্যাকারী-সন্ত্রাসীরা ক্ষুদ্ধ হয়ে আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। যে কোন সময় তারা আমি ও আমার বড় ছেলেসহ আমার পরিবারের সদস্যদের বড় ধরণের ক্ষতি করতে পারে। এ অবস্থায় আমরা চরম নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে রয়েছি।”
তিনি আরো বলেন, “হত্যাকারী-আওয়ামী সন্ত্রাসীদের ভয়ে আমি এখন পর্যন্ত খুলনা ও লবণচরা থানায় চারটি সাধারণ ডায়রি করেছি। সর্বশেষ গত ৩ মার্চও আমি লবণচরা থানায় জিডি করি। কারণ ২ মার্চ দুপুরে মামলার চার্জশিটভুক্ত প্রধান আসামি আরমান তার ভাই আরিফ এবং অপর আসামি জুয়েল শেখ, হারুন হাওলাদার, সিরাজ ও বাদল ফকিরসহ আরো অনেকে আমার বাসার সামনে এসে মামলা তুলে নেয়ার জন্য ভয়ভীতি ও হুমকি দেয়। এমনকি তারা আমাকে ও আমার বড় ছেলে জাহাঙ্গীর হোসেন বিপ্লবকেও হত্যা করবেন বলেও হুমকি দেয়। এ ছাড়া, একই ধরণের ভয়ভীতি ও হুমকির কারণে আমি ২০১৪ সালের ৪ মার্চ ও ২ মে খুলনা থানায় এবং একই বছরের ৪ মে জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে লবণচরা থানায় সাধারণ ডায়রি করি।”
ঢাকা/নূরুজ্জামান/মাসুদ