Prothomalo:
2025-11-02@13:17:21 GMT

জিংকের অভাবে ভুগছেন না তো

Published: 24th, July 2025 GMT

জিংক এমন এক পুষ্টি উপাদান, যা রোজ অল্প পরিমাণে গ্রহণ করলেই আপনি সুস্থ থাকতে পারবেন। এ ধরনের পুষ্টি উপাদানকে বলা হয় মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট। সুষম খাদ্যাভ্যাস গড়ে তুললে সাধারণত আলাদাভাবে জিংকসমৃদ্ধ নির্দিষ্ট কোনো খাবার গ্রহণ করার প্রয়োজন পড়ে না। তবে কেউ কেউ এই পুষ্টি উপাদানের ঘাটতিতেও ভুগতে পারেন। জিংকের অভাবে সাধারণ কিছু উপসর্গ দেখা দেয়, অনেক সময় যেসবকে কোনো পুষ্টি উপাদানের ঘাটতি হিসেবে বিবেচনা করা হয় না।

জিংক আমাদের দেহের নানা ক্রিয়াবিক্রিয়ায় অংশ নেয়। জিংকের অভাব হলে এসব ক্রিয়াবিক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হয়। তারই কিছু উপসর্গ দেখা দেয় আমাদের দেহে। স্নায়ুর কার্যক্ষমতা ঠিক রাখতেও পর্যাপ্ত জিংক প্রয়োজন। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানালেন টাঙ্গাইলের সরকারি কুমুদিনী কলেজের গার্হস্থ্য অর্থনীতি বিভাগের প্রধান শম্পা শারমিন খান

আরও পড়ুনহিসাবের চেয়েও কম বা বেশি হতে পারে আপনার দেহের বয়স, কীভাবে২২ জুলাই ২০২৫যেসব সমস্যা দেখা দেয়

জিংকের ঘাটতি হলে কিছু উপসর্গ প্রায় সবারই হতে পারে, তবে কিছু সমস্যা আবার নির্দিষ্ট বয়স বা পরিস্থিতিতেই দেখা যায়। এ সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

জিংকের অভাবে প্রায়ই ডায়রিয়া হতে পারে। এই পুষ্টি উপাদানের অভাবে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাধাগ্রস্ত হতে পারে। তাই বারবার নানা ধরনের সংক্রমণ হওয়ার আশঙ্কা থাকে।

ত্বকে বারবার ব্রণ বা পিম্পলের মতো ক্ষত সৃষ্টি হওয়া কিংবা যেকোনো ক্ষত সহজে না শুকানোর মতো সমস্যাও দেখা যেতে পারে।

কম বয়সেই ত্বকে পড়তে পারে বয়সের ছাপ।

চুলের গড়ন বেশ পাতলা হয়ে যেতে পারে জিংকের অভাবে।

ক্ষুধামান্দ্য দেখা দিতে পারে। ওজন কমে যেতে পারে।

স্বাদ ও ঘ্রাণের অনুভূতিতে অস্বাভাবিকতা দেখা দিতে পারে।

কাজে মনোযোগ দেওয়ার ক্ষমতাও বিঘ্নিত হতে পারে। ভুলে যাওয়ার প্রবণতা দেখা দিতে পারে।

শিশুদের ক্ষেত্রে জিংকের ঘাটতি খুব বেশি হলে শারীরিক বৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত হতে পারে।

সন্তান নিতে ইচ্ছুক দম্পতির যে কারও জিংকের ঘাটতি থাকলে সন্তানধারণের চেষ্টা বিফল হতে পারে।

আরও পড়ুনকেন মিলেনিয়াল ও জেন-জিদের মধ্যে বাড়ছে কলোরেক্টাল ক্যানসার২২ জুলাই ২০২৫কারা আছেন ঝুঁকিতে

অন্তঃসত্ত্বা নারী, শিশু ও বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যক্তির ক্ষেত্রে জিংকের ঘাটতি হওয়ার ঝুঁকি বেশি। তবে যেকোনো বয়সী মানুষই জিংকের ঘাটতিতে ভুগতে পারেন। যদি কারও খাওয়াদাওয়া ঠিকঠাক না হয় কিংবা পর্যাপ্ত পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ সত্ত্বেও কোনো রোগের কারণে অন্ত্র থেকে পর্যাপ্ত জিংক দেহে শোষিত না হয়, তাহলে জিংকের ঘাটতি দেখা দিতে পারে। তবে এ ধরনের কোনো রোগ না থাকলে কেবল বয়স অনুযায়ী সুষম খাদ্যাভ্যাস বজায় রাখলেই আপনি নিশ্চিন্ত থাকতে পারেন।

উপসর্গ দেখা দিলে

উপসর্গ দেখে যদি মনে হয়, আপনি জিংকের ঘাটতিতে ভুগছেন, তাহলে নিজের খাদ্যাভ্যাসের দিকে মনোযোগ দিন। মাছ, মাংস, ডিম, দুধ, যেকোনো ধরনের বাদাম, গোটা শস্য, চানাবুট, রাজমা, শিম, মটরশুঁটি, কুমড়ার বীজ, বিভিন্ন ধরনের ডাল, মাশরুম প্রভৃতিতে আপনি জিংক পাবেন।
স্বাস্থ্যকর জীবনধারা শুরু করার কিছুদিন পরও সমস্যাগুলো থেকে গেলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। এসব উপসর্গের পেছনে অন্য কোনো সমস্যাও দায়ী থাকতে পারে, যা চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে নির্ণয় করবেন। তবে নিজে থেকে জিংকের সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করবেন না। হিতে বিপরীত হতে পারে। প্রয়োজনের অতিরিক্ত জিংক গ্রহণ করলে দেহে অন্যান্য পুষ্টি উপাদানের শোষণ বাধাগ্রস্ত হতে পারে। ফলে অন্য কোনো পুষ্টি উপাদানের অভাব দেখা যেতে পারে।
বাড়ন্ত শিশুর শরীরে জিংকের ঘাটতি দেখা দিলে অবশ্যই খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তনের কথা ভাবার আগেই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। কারণ, এ ক্ষেত্রে দেরি করলে শিশুর বৃদ্ধির সুবর্ণ সময়টা হারিয়ে যেতে পারে।

আরও পড়ুনমাইলস্টোনে বিমান বিধ্বস্তের পর ছেলের খোঁজে রুদ্ধশ্বাস ৪ ঘণ্টা২২ জুলাই ২০২৫.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: উপসর গ দ খ ব ধ গ রস ত উপ দ ন র ধরন র সমস য

এছাড়াও পড়ুন:

প্রতিষ্ঠার দেড় যুগ পর ইতিহাসের সাক্ষী হতে যাচ্ছে বেরোবি

‎বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ব্রাকসু) নিয়ে অপেক্ষার প্রহর শেষ হতে চলেছে শিক্ষার্থীদের। গত ২৮ অক্টোবর রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের মাধ্যমে ‎বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের গেজেট প্রকাশ হয়ছে গঠনতন্ত্র।

এরই মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ১৭ বছর পর হতে যাচ্ছে কাঙিক্ষত কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ তথা ব্যাকসু নির্বাচন। তবে এর জন্য আমরণ অনশন থেকে শুরু করে সব ধরনের কর্মসুচিই পালন করেছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

আরো পড়ুন:

‘আমরা একটা অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন করতে চাই’

‎বেরোবিতে শহীদ আবু সাঈদ স্মৃতিস্তম্ভের মডেল প্রদর্শন

‎জুলাই অভ্যুত্থান পর গণরুম ও গেস্ট রুমের যে সাংস্কৃতি ছিল, তা এখন বন্ধ হয়েছে। কোনো রাজনৈতিক দলের কমকাণ্ডে সামিল হওয়াও বাধ্যতামুলক নয়।

‎তাই শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এ ছাত্র সংসদ। যাতে শিক্ষার্থীদের অধিকার ও স্বার্থ সুরক্ষিত হবে।

‎কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ বেরোবির বিধিমালা অনুযায়ী, ১৩টি পদে সরাসরি নির্বাচন ও হল সংসদে নয়টি পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। যাতে শিক্ষার্থীরা তাদের প্রতিনিধির মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে সব ধরনের কথা তুলে ধরতে পারবেন।

‎পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী শেখর রায় বলেন, “সুষ্ঠু নিরপেক্ষ ও লেজুরবিত্তিক রাজনীতি ব্যতীত একটি নির্বাচন হোক। যোগ্য, আদর্শ, উত্তম চরিত্র ও মনের প্রার্থী বিজয়ী হোক। নির্বাচিত হয়ে তারা হয়ে উঠুক বেরোবির একেকজন যোগ্য প্রতিনিধি। তারা ন্যায়ের পক্ষে থাকুক । তাদের হাত ধরেই এগিয়ে যাক বেরোবি।”

‎গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী জাওয়াদ সাজিদ বলেন, “ছাত্র সংসদ শিক্ষার্থীদের দাবি, অধিকার ও স্বার্থ রক্ষার প্রধান মঞ্চ। এটি প্রশাসন ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করে, যাতে প্রতিটি শিক্ষার্থীর কণ্ঠ পৌঁছে যায় সিদ্ধান্ত গ্রহণের টেবিলে। কিন্তু এজন্য সংসদকে দলীয় প্রভাবমুক্ত, স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক হতে হবে। প্রকৃত অর্থে ছাত্র সংসদ তখনই সফল, যখন তা শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি হয়ে তাদের সমস্যার সমাধান ও কল্যাণে কাজ করে।”

‎অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী আতিকুর রহমান বলেন, “আমরা এমন ছাত্র সংসদ চাই, ‎যেখানে যোগ্য নেতৃত্ব আসবে এবং সব শিক্ষার্থীর সমস্যা সমাধানের হাতিয়ার হয়ে কাজ করবে। সবমিলিয়ে সবার বিশ্বস্ত জায়গা হবে এই ছাত্র সংসদ।”

ঢাকা/সাজ্জাদ/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ