মানবাধিকার অফিস না সরালে মার্চ টু যমুনা কর্মসূচির হুমকি
Published: 25th, July 2025 GMT
ভারতীয় আধিপত্যবাদ ও মার্কিন আগ্রাসন থেকে দেশ মুক্ত রাখতে প্রয়োজনে মার্চ টু যমুনা কর্মসূচির হুমকি দিয়েছেন তাহরিকে খতমে নবুয়ত বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা আমির পীর ড. এনায়েত উল্লাহ আব্বাসী।
শুক্রবার (২৫ জুলাই) মতিঝিলের শাপলা চত্বরে বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে তিনি এ হুমকি দেন।
দেশে জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিস স্থাপনের প্রতিবাদে ইন্তিফাদা বাংলাদেশের ব্যানারে আয়োজিত এই সমাবেশে আব্বাসী বলেন, ‘‘বাংলাদেশকে পরিকল্পিতভাবে যুদ্ধের দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। ভারতীয় আধিপত্যবাদ ও মার্কিন আগ্রাসন থেকে দেশ মুক্ত রাখতে প্রয়োজনে আমরা মার্চ টু যমুনা দিতে বাধ্য হবো। প্রয়োজনে আরেকটি বিপ্লব হবে বাংলাদেশে।’’
গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশকে পশ্চিমের তাবেদার রাষ্ট্র বানানোর চেষ্টা করা হচ্ছে এমন অভিযোগ করে ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের কার্যালয় স্থাপনের নিন্দা জানিয়ে সমাবেশে বক্তারা বলেন, শহীদের রক্ত মাড়িয়ে ক্ষমতার মসনদ দখল করা ইন্টেরিম জুলাইয়ের স্পিরিটকে ধারণ করতে ব্যর্থ হয়েছে। জুলাই গণঅভ্যুত্থান ছিলো ভারতীয় দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে এক রক্তাক্ত প্রতিরোধ। বাংলাদেশের জনগণ আর কোন রাষ্ট্রের তাবেদার হতে চায় না। অথচ আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি দেশকে পরিকল্পিতভাবে মার্কিন বলয়ে ঠেলে দেয়া হচ্ছে।
তারা বলেন, এই কার্যালয় বিশ্বের কোথাও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা করতে পারেনি। ইসরাইল এবং ভারত সবচেয়ে বেশি মানবাধিকার লঙ্ঘন করেন। কিন্তু এসব দেশে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের কার্যালয় নেই। অথচ যে সব দেশে এই কার্যালয় আছে তারা মূলত যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ। এই কার্যালয় আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করবে। পার্বত্য অঞ্চলের বিচ্ছিন্নতাবাদি আদিবাসী সন্ত্রাসীদের মানবাধিকারের নামে এ কার্যালয় সমর্থন দিবে যা দেশের সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকিস্বরূপ। এ কার্যালয় সমকামিতা প্রচার ও প্রসারে ওতোপ্রোতোভাবে জড়িত যা এদেশের ধর্মীয় ও সামাজিক মূল্যবোধের পরিপন্থী। পার্বত্য চট্টগ্রাম ও আরাকান কেন্দ্রিক আমেরিকান স্বার্থকে রক্ষা করবে এ কার্যালয় তাই দেশ ও স্বার্থবিরোধী এই মার্কিন অফিস অবিলম্বে সরাতে হবে।
মাওলানা মীর ইদরীসের সভাপতিত্বে ও মাওলানা শফিকুল ইসলামের সঞ্চালনায় এতে আরও বক্তব্য রাখেন ডা.
জুমার নামাজের পর বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেট থেকে তারা একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিলটি পল্টন ঘুরে শাপলা চত্বরে গিয়ে সমাবেশের মধ্যদিয়ে কর্মসূচি শেষ হয়।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন//
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র ম নব ধ ক র
এছাড়াও পড়ুন:
জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি থাকতে হবে: নাহিদ
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, “জুলাই সনদ হতে হবে, জুলাই সনদের ভিত্তিতেই নির্বাচন হবে। জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি থাকতে হবে। নির্বাচিত যে সরকার আসুক এই সদন বাস্তবায়নে বাধ্যবাধকতা থাকবে।”
মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) সন্ধ্যায় গাজীপুরের রাজবাড়ি সড়কে ‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’র সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।
নাহিদ ইসলাম বলেন, “৫ আগস্টের মধ্যে জুলাই সনদ ও জুলাই ঘোষণাপত্র হতেই হবে। এর বিকল্প আমরা দেখতে চাই না। সরকার সনদের খসড়া প্রকাশ করেছে। জুলাই সনদ শুধু সংস্কার হলে হবে না, এটি কীভাবে বাস্তবায়ন হবে, সে বিষয়ে ঐক্যমত হতে হবে।”
আরো পড়ুন:
ভাসানীরা না থাকলে শেখ মুজিব কখনো তৈরি হতেন না: নাহিদ
গণঅভ্যুত্থান না হলে নির্বাচনের স্বপ্নই দেখতে পারতেন না: নাহিদ
তিনি বলেন, “আমরা আশা করছি, ৫ আগস্টের আগেই অন্তবর্তীকালীন সরকার এবং সব রাজনৈতিক দল জুলাই সনদ ও জুলাই ঘোষণাপত্র জারি করতে পারবেন। আমরা সবাই মিলে আকাঙ্ক্ষিত গণঅভ্যুত্থানের একবছর উদযাপন করতে পারব।”
সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন- এনসিপির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারা, কেন্দ্রীয় সংগঠক আব্দুল্লাহ আল মুহিম, মো. মহসিন উদ্দিন ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন গাজীপুরের সাবেক আহ্বায়ক নাবিল আল ওয়ালিদ।
এনসিপির পথসভাকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার সকাল থেকে গাজীপুরের বিভিন্ন মোড়ে ও সমাবেশস্থলে বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য উপস্থিত ছিলেন। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে রাতে সন্দেহভাজনদের তল্লাশি করা হয়। রাজবাড়ীর সড়কে বন্ধ থাকে সব ধরনের যান চলাচল।
এর আগে, এনপিপির কেন্দ্রীয় নেতরা টাঙ্গাইলের পথসভা শেষে গাজীপুরে কালিয়াকৈরে উপজেলা হয়ে শ্রীপুর উপজেলার মাওনা যান। সেখানে বিকেলে পথসভা শেষে গাজীপুর শহরের রাজবাড়িতে আসেন তারা।
ঢাকা/রেজাউল/মাসুদ